রাজশাহীর তানোরে শ্রম আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘন করে কোল্ড স্টোরগুলো (হিমাগার) আলু সংরক্ষন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরে শ্রম আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘন করে কোল্ড স্টোরগুলো (হিমাগার) আলু সংরক্ষন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে হিমাগারে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্ত্ত চাকরি হারানোর ভয়ে তারা কেউ প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতে পারছেন না। অন্যদিকে প্রতিটি হিমাগারে শ্রম আদালত ও জাতীয় ভোক্তা অধিকারসহ প্রশাসনের নিয়মিত তদারকি করার কথা থাকলেও তারা সেটা করছেন না বলে শ্রমিকেরা নিশ্চিত করেছে।
সুত্র জানায়, শ্রমিকদের দাবির মুখে শ্রম আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন প্রতি বস্তায়
৫০ কেজির বেশী আলু রাখা যাবে না।কিন্ত্ত তানোরের হিমাগারগুলো শ্রম আদালতের নির্দেশনা লঙ্ঘন করে প্রতি বস্তায় ৬৫ থেকে ৭০ কেজি করে আলু সংরক্ষণ করছে। এবং প্রতি বস্তা আলুর ভাড়া নেয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা করে।
স্থানীয়রা জানান, বিগত ২০১৮ সাল পর্যন্ত হিমাগারে প্রতি বস্তায় ৮০ থেকে ৯০ কেজি করে আলু রাখা হতো। এসব বস্তা বহনে শ্রমিকদের অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়তো।এদিকে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে তা উচ্চ আদালতের নজরে আশে। বিগত ২০১৭ সালে উচ্চ আদালত থেকে নির্দেশনা দেয়া হয় প্রতি বস্তায় ৫০ কেজির বেশী আলু রাখা যাবে না। এরই প্রেক্ষিতে
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা কার্যকর হচ্ছে কি না তা তদারকি করতে প্রশাসন বিভিন্ন
হিমাগারে ঝটিকা অবিযান শুরু করে। এতে৷ হিমাগারগুলো প্রতি বস্তায় ৫০ থেকে ৫৫ কেজি করে আলু সংরক্ষণে বাধ্য হয়।কিন্ত্ত প্রশাসনের অভিযান শিথিল হওয়ায় ফের হিমাগারগুলো প্রতি বস্তায় ৬৫ থেকে ৭০ কেজি করে আলু সংরক্ষণ শুরু করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিগত দিনে প্রতি বস্তায় ৮০ থেকে ৯০ কেজি আলুর জন্য প্রতি বস্তায় ভাড়া ছিল ৩০০ টাকা।পরবর্তীতে প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি আলুর জন্য ভাড়া নির্ধারণ করা হয় ২৭০ টাকা। তবে আবারো প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি আলুর জন্য ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০০ টাকা। কিন্ত্ত প্রতি বস্তায় ৫০ কেজির পরিবর্তে ৬৫ থেকে ৭০ কেজি করে আলু রাখা হচ্ছে। এসব বস্তা বহন করতে শ্রমিকদের অবর্ননীয় কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে, কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ছে।একাধিক কৃষক জানান, হিমাগার মালিকেরা ৫০ কেজির বস্তায় ভাড়া কম পাবেন, তাই তারা কৃষকদের প্রতি বস্তায় ৬৫ থেকে ৭০ কেজি আলু রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। উপজেলায় পাঁচটি হিমাগার রয়েছে। প্রতিটি হিমাগারেই প্রতি বস্তায় ৬৫ থেকে ৭০ কেজি করে আলু রাখা হচ্ছে। এবিষয়ে মেসার্স তামান্না হিমাগারের ম্যানেজার বলেন, ৫০ কেজি ওজনের বস্তা রাখার নির্দেশনা রয়েছ, তারাও প্রচারণা করছেন, তবে কৃষকেরা মানছে না। তিনি বলেন, প্রয়োজনে তারা ৫০ কেজির বস্তা করবেন। এবিষয়ে মেসা ্স রহমান হিমাগারের ম্যানেজার একই ধরণের কথা বলেন।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, হিমাগারগুলো এমন ঘটনার জন্ম দিলে আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#
তানোর
২১ ফেব্রুয়ারি/২০২৩
Your point of view caught my eye and was very interesting. Thanks. I have a question for you.