রাজশাহীর তানোর পৌরসভার দুটি রাস্তা উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র ইমরুল হক।
আলিফ হোসেন, তানোরঃ
রাজশাহীর তানোর পৌরসভায় আরো দুটি রাস্তা সংস্কার কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। জানা গেছে, ৪ মার্চ শনিবার সকালে তালন্দ ও বেলপুকুর পৃথকভাবে দুটি রাস্তা সংস্কার কাজের উদ্বোধন করেন তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র ইমরুল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাছির উদ্দিন, ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোকনুজ্জামান রনি, সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর জুলেখা বেগম, তালন্দ এএম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন ও তানোর পৌরসভার কার্য্যসহকারী-২ মাহাবুর রহমান, বদিউজ্জামান বদি,সোহেল রানা, আতিকুর রহমান লিটন, ইয়াসিন আলী, নজরুল ইসলাম ও আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ। এছাড়াও এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নগর অবগাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তালন্দ বালিকা বিদ্যালয় থেকে মুসলেমের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৬০০ মিটার ও বেলপুকুরিয়া স্কুল থেকে বগুড়া মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৬৫০ মিটার ভেঙ্গে পড়া পাঁকা রাস্তা সংস্কার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। রাস্তা দুইটি সংস্কার কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮৬ লাখ টাকা।
তানোরের মোহাম্মদপুর স্কুলে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
তানোর, (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) মোহাম্মদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে মতবিরোধ ও কাঁদা ছোড়াছুড়ি প্রকট আকার ধারণ করেছে। স্থানীয়রা জানান, এসব নিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা ও বিস্ফোরণমূখ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় দুটি পক্ষ মূখোমূখি অবস্থানে রয়েছে। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত ও পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে শিক্ষকদের রেষারেষির কারণে শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। কারণ কদিন পরেই তাদের পাবলিক পরীক্ষা।অথচ শিক্ষকদের দন্দে তারা পাঠদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শিক্ষকেরা একে অপরের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা শুরু করেছে।এসব ঘটনায় এলাকার অভিভাবক মহল ও শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছ। তারা এসব শিক্ষকদের শাস্তির দাবি করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ২২ নভেম্বর মঙ্গলবার স্কুলের অফিস কক্ষে এসব নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে শিক্ষকদের মধ্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ছে।
সম্প্রতি,এলাকাবাসী বিদ্যালয়ের নানা অনিয়ম ও ৮ জন শিক্ষকের সনদ ভূয়া দাবি করে সরেজমিন তদন্তপুর্বক বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সাংসদ, রাজশাহী বিভাগীয় শিক্ষা কর্মকর্তা ও তানোর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এদিকে এখবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়, বইছে মূখরুচোক নানা গুঞ্জন, প্রতিনিয়ত গুঞ্জনের ডালপালা মেলছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, নাদিরা খাতুন সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) তার সনদ ভূয়া এবং তিনবার পরিবর্তন করা হয়েছে। লুৎফর রহমান সহকারী শিক্ষক তার বিএড সনদ ভুয়া। রুপালী খাতুন সহকারী শিক্ষক তার নিবন্ধন সনদ ভুয়া। জলি মালাকার (কাব্যতীর্থ) তার নিবন্ধন সনদ ভূয়া। ইউসুফ আলী সহকারী লাইব্রেরিয়ান তার সনদ ভূয়া। আজাহার আলী সহকারী শিক্ষক তার বিএড সনদ ভূয়া এবং উম্মে কুলসুম সহকারী শিক্ষক তার বিএড সনদ ভূয়া এসব সনদ সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করা হলে সত্যতা মিলবে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, এসব শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া সনদ দিয়ে চাকরি করছে, এটা সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা, স্থানীয় এলাকাবাসীরা পর্যন্ত জানে। কিন্ত্ত তারপরেও সংশ্লিষ্ট বিভাগের একশ্রেণীর কর্মকর্তা শিক্ষকদের কাছে থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ঘটনা ধাঁমাচাপা দিয়ে রেখেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানায়, এক ইউপি চেয়ারম্যান অতীতে শিক্ষক প্রতি
বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়ে তড়িঘড়ি করে অনেককে নিয়োগ দিয়েছিল। সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করলে,আরো অনেক শিক্ষকের নাম এসে যাবে।
স্থানীয়রা জানান, শিক্ষক-কর্মচারীদের নানামুখী অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে স্থাপনের পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও এখানো বিদ্যালয়ে কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। বিদ্যালয়ের মানসম্মত একাডেমিক ভবন নাই ও কমন রুম, বিজ্ঞানাগার, কম্পিউটার ল্যাব এবং লাইব্রেরী নাই। কম্পিউটার শিক্ষক নিজেই কম্পিউটার চালাতে পারে না, হয় না ক্লাস। ফলে বাইরের দোকান থেকে কম্পিউটারের কাজ করানো হয়, এতে প্রতিষ্ঠানের অনেক গোপণ তথ্য বাইরের মানুষের হাতে চলে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, সৃজনশীল বোঝে এবং প্রশ্ন করতে পারে এমন শিক্ষক এখানে নাই। সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও শিক্ষকরা পরীক্ষার প্রশ্ন নিজেরা প্রণয়ন করতে পারেন না। শিক্ষক সমিতি বা বিভিন্ন পেশাদার প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রশ্ন কিনে পরীক্ষা নেয়া হয়। আবার অনেক সময় গাইড বই দেখে প্রশ্ন তৈরি করা হয়। অথচ গাইড ও নোটবইয়ের দাপট কমাতে এই পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক
ওবাইদুল্লাহ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব শিক্ষকের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে জমা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, হাতাহাতির কোনো ঘটনা ঘটেনি।
তানোরে অপারেটর দুরুলের অপসারণ চায় স্থানীয় কৃষকরা।
তানোর, (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়নে (ইউপি) ইলামদহী মাঠে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) গভীর
নলকুপ অপারেটর দুরুলের বিরুদ্ধে সেচ চার্জের নামে কৃষকের কাছে থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছ। পাঁচন্দর ইউপির জেল নম্বর ৯৩, ইলামদহী মৌজার ২১৫ নম্বর দাগে অবস্থিত গভীর নলকুপের অপারেটর দুরুল।স্থানীয়রা জানান, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের ঘনিষ্ঠ সহচর দুরুল ইউপি চেয়ারম্যানের প্রভাব বিস্তার ও কৃষকদের জিম্মি করে সেচ চার্জ আদায়ের নামে রীতিমতো চাঁদাবাজি করছে।
এ ঘটনায় গত ১ মার্চ বুধবার অপারেটরের অপসারণ, স্কীমভুক্ত কৃষকের মতামতের ভিত্তিতে নতুন অপারেটর নিয়োগ ও সমিতির মাধ্যমে গভীর নলকুপ পরিচালনার দাবিতে স্থানীয় সাংসদ, বিএমডিএ’র চেয়ারম্যান ও নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে ডাকযোগে লিখিত অভিযোগ করেছেন। স্থানীয়রা জানান, স্কীমভুক্ত কৃষকের আপত্তি উপেক্ষা করে অর্থের বিনিময়ে দুরুল অপারেটর হবার পর থেকে কৃষকদের হয়রানী- দুর্ভোগ বেড়েছে। তিনি ইউপি চেয়ারম্যানের দাপট দেখিয়ে ড্রেন মেরামত, লাইনম্যান ভাতা, ট্রান্সফরমার মেরামত, ভোল্টেজ বাড়ানো, নৈশপ্রহরী ভাতা, অফিস খরচ ইত্যাদি নানা অজুহাতে কৃষকদের কাছে থেকে জোরপুর্বক টাকা আদায় করছেন।
এছাড়াও তিনি গভীর নলকূপের আয়-ব্যয়ের কোনো হিসাব কাউকে দেন না। কৃষকদের দীর্ঘদিনের দাবি সমিতির মাধ্যমে গভীর নলকুপ পরিচালনার করা হোক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্কীমের একাধিক কৃষক বলেন,এই গভীর নলকুপে প্রায় দুশ’বিঘা আলু চাষ হচ্ছে। প্রতি বিঘায় সেচ চার্জ হিসেবে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা করে নেয়া হচ্ছে। তারা বলেন, উপজেলা সেচ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি বিঘায় সেচ চার্জ এক হাজার টাকা করা হয়েছে। তারা আরো বলেন, দুরুল প্রায় লাখ টাকা খরচ করে অপারেটর হয়ে, এখন সেই টাকা কৃষকের কাছে থেকে আদায় করছেন। কেউ চেয়ারম্যানের ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারছে না। এবিষয়ে জানতে চাইলে অপারেটর দুরুল বলেন, কৃষকের অভিযোগ সঠিক নয়। তিনি আরো বলেন, কয়েকবার ট্রান্সফরমার পুড়েছে, এছাড়াও ড্রেন মেরামতসহ নানা কাজে অনেক টাকা ব্যয় হয়েছে। তিনি বলেন, কৃষকের মতামত নিয়েই প্রতি বিঘায় সেচ চার্জ ৩ হাজার ২০০ টাকা করা হয়েছে।
এবিষয়ে বিএমডিএ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী মাহাফুজুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে কৃষকের মতামতের ভিত্তিতে নতুন অপারেটর নিয়োগ ও সমিতি গঠনের ব্যবস্থা করা হবে।
তানোর প্রতিনিধি
মোঃ ০১৭১১-৪১৭৪৬৬
জিকে টেড্রার্সের লাইসেন্স বাতিলের দাবিতে কৃষকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।
আলিফ হোসেন,তানোরঃ:
রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী কাঁকনহাট পৌরসভার বিসিআইসি অনুমোদিত সার ডিলার মেসার্স জিকে টেড্রার্সের বিরুদ্ধে সার পাচার ও কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে বেশী দামে সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এসব কারণে মেসার্স
জিকে টেড্রার্সের লাইসেন্স বাতিলের দাবিতে এলাকার কৃষকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।এদিন কাঁকন হাট পৌরসভার বিসিআইসি সার ডিলার মেসার্স জিকে ট্রেড্রার্সের সত্ত্বাধিকারী তুহিনা আক্তার ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মরিয়ম আহমেদ কৃষকদের কাছে অবরুদ্ধ হন। কৃষি কর্মকর্তার সহায়তায় নানান অনিয়ম করে সারের বেশি দাম ও সংকট দেখানোর প্রতিবাদে তাদেরকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষুব্ধ কৃষকেরা।
সম্প্রতি সারের সংকট ও দাম বেশি নেওয়ায় ডিলারকে অবরুদ্ধ ও ডিলারের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে কৃষকরা।
গত সোমবার দুপুরে কাঁকন হাটে বিসিআইসি ডিলার মেসার্স জিকে ট্রেড্রার্সের সত্ত্বাধিকারী তুহিনা আক্তারের দোকানে সারের জন্য যায় কৃষকরা। এ সময় ডিলার কৃষকদের জানায় সারের সংকট আছে বেশি দাম না দিলে সার দেয়া যাবে না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জননান, এসময় কৃষকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং ডিলারের কাছে জানতে চাই বরাদ্দকৃত সার দুইদিনের মধ্যে কোথায় দেয়া হয়েছে। কিন্তু সার ডিলার কোন উত্তর না দিয়ে কৌশলে দোকান বন্ধ করে পালানোর চেষ্টা করে। তবে বিষয়টি বুঝতে পেরে বিক্ষুব্ধ কৃষকেরা ডিলারকে দোকান ঘরে অবরুদ্ধ করে শাস্তির দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে
বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে সেখানে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এদিকে খবর পেয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মরিয়ম আহমেদ রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ পরিচালককে সঙ্গে নিয়ে ডিলারের দোকান ঘরে গেলে কৃষকেরা বিক্ষোভ করতে থাকে। কৃষকের দাবির প্রেক্সিতে
কৃষি কর্মকর্তা ডিলারের গুদাম ঘরে গিয়ে বরাদ্দকৃত ৩৬ টন সার দেখতে পায়। এক পর্যায়ে সারের কৃত্রিম সংকট রোধ ও নায্যমূল্য নিশ্চিতকরনের দাবিতে ডিলার ও কৃষি কর্মকর্তাকেও অবরুদ্ধ করে কৃষকরা। কিন্ত্ত রহস্যজনক কারণে কৃষি কর্মকর্তা অভিযুক্ত সার ডিলারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে রশিদের মাধ্যমে সরকার নিধ্যরিত মূল্য কৃষকদের কাছে সার বিক্রির নির্দেশ দেন।
স্থানীয় কৃষক আব্দুস সালাম বলেন, এই ডিলার দীর্ঘদিন ধরে সার পাচার ও কৃত্রিম সংকটের কথা রশিদ ছাড়াই বেশী দামে সার বিক্রি করছেন। এছাড়াও চাহিদার তুলনায় কম সার দেন। এসব নিয়ে অভিযোগ করেও লাভ হয় নি। কাদিপুর গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, সারকারি দামের থেকেও বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে। কিছু করার নেই। বেশি দামেও ঠিক মতো সার দেয় না। তাই আজকে তাকে আটকিয়ে রেখেছিলাম। আমরা এই দুর্নীতিবাজ ডিলারের লাইসেন্স বাতিল করে নতুন ডিলার নিয়োগের দাবি করছি। কৃষকেরা বলেন, অভিযুক্ত ডিলারের দৃশ্যমান কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবেন।৷ স্থানীয় কৃষকরা অতিরিক্ত উপ-পরিচালকের কাছে ডিলারের বিরুদ্ধে সার কালোবাজারি করে বেশি দামে বিক্রি, সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি, কৃষকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও সময় মতো সার না দেওয়াসহ নানা অভিযোগ করেন।কৃষকেরা জানায় ডিলার পটাশ সার ১৭০০-১৮০০টাকা দাম নিলেও এর সরকারি বিক্রয় মূল্য ৭৫০ টাকা, টিএসপি সার ১১০০ টাকায় বিক্রির নিয়ম থাকলেও নিচ্ছেন ২০০০টাকা, ডিএপি সারের দাম নিচ্ছেন এভাবেই। একটি সার নিলে অন্য সার নিতে বাধ্য করছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার যোগসাজশ ও সখ্যতা করে ডিলার এসব করছে বলে কৃষকরা প্রচন্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেছন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মরিয়ম আহমেদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, উপজেলায় সারের সংকট নেই। ডিলার গুদামে সার রেখে সংকট দেখিয়ে কৃষকদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করেছে অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।