“রাজাকারের প্রেতাত্মাদের দেশ ছাড়া করতে হবে- এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন।”
শওকত হাসান, তাহিরপুর প্রতিনিধিঃ-
রাজাকারের প্রেতাত্মাদের দেশ ছাড়া করতে হবে। রাজাকারা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার বিপক্ষে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সাথে কাজ করেছে। এখন তাদের প্রেতাত্মারা সরকারের উন্নয়নের বাঁধা হয়ে কাজ করছে। তাহিরপুর হায়দার মুক্ত দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন, সুনামগঞ্জ-১আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন।
রবিবার ৪ঠা ডিসেম্বর সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে এ উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালী উপজেলা সদর বাজারসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে রাজাকারের প্রতিকী ফাঁশি দেওয়া হয়। পরে তাহিরপুর সদর পূর্ব বাজারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুপ্রভাত চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস শহিদের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক অমল কান্তি কর। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ সভাপতি আলখাছ উদ্দিন খন্দকার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগ আহবায়ক হাফিজ উদ্দিন, সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন, উপজেলা যুব মহিলালীগ সভাপতি আইরিন আক্তার, উপজেলা ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি আবুল বাশার প্রমুখ।
সভায় তাহিরপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার রফিকুল ইসলাম সহ অন্য মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, তাহিরপুর উপজেলা ৫নং সেক্টরের ৪নং সাব সেক্টরের বড়ছড়া, টেকেরঘাট এর অধিনে ছিল। এই দিনে মুক্তিযোদ্ধারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সারা রাত জেগে যুদ্ধ করে হানাদার বাহিনীদের কে পরাজিত করে। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাহিরপুর উপজেলা ছেড়ে জামালগঞ্জ উপজেলা হয়ে সুনামগঞ্জ শহরের দিকে পালিয়ে যায়।
শওকত হাসান
তাহিরপুর, সুনামগঞ্জ
০১৭১৭৯৮৬২৩২