চিলাহাটি প্রতিনিধি
নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার ভোগডাবুরী ইউনিয়নের গোঁসাইগঞ্জে রেজিস্টার বিহীন শামীম ফার্মেন্সিতে চতুর্থ বার ডেলিভেরি করতে গিয়ে তিন সন্তানের জননী মমতাজ বেগমের মৃত্যু ঘটে। শনিবার সকাল দশটায় শামীম ফামেন্সির তত্ত্বাবধায়ক সুইটি বেগম নরমাল ডেলিভেরি পর মমতাজ বেগমের রক্ত খনন বন্ধ করতে না পারায় তার মৃত্যু ঘটেছে বলে স্থানীয়দের দাবি। মমতাজ বেগম ভোগডাবুরী ইউনিয়নের সবুজপাড়া গ্রামের আব্দুস সুবহানের স্ত্রী। স্থানীয়রা আরো বলেন, সুইটি বেগম দীর্ঘদিন থেকে তার রেজিস্টার বিহীন শামীম ফার্মেন্সিতে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে নরমাল ডেলিভারি করে আসছে। ইতিপূর্বে ওই ফার্মেসীতে নরমাল ডেলিভারি করতে গিয়ে একাধিক মা ও শিশু মৃত্যু ঘটেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না নেওয়ায় সুইটি বেগম স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তারদের সহযোগিতায় বেপরোয়া ভাবে তার কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। সুইটির স্বামী মোকলেসার রহমান বলেন, সুইটি ওই রোগীর গায়ে হাত দেওয়ার আগেই মমতাজ বেগমের সন্তান প্রসব হয়েছে। সন্তান প্রসবের পর তার খিচুনি দেখা দিলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। তবে তিনি রক্তক্ষরণের কথা অস্বীকার করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাঃ রায়হান বারী বলেন, ভুক্তভোগী পরিবার থেকে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ওই ফার্মেসির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।