Dhaka ০৫:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেরপুরের নকলায় প্রচন্ড শীতে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন চলছে পিঠা বিক্রি করে 

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৫৩:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • ১৫৪ Time View

জাহাঙ্গীর হোসেন, শেরপুর প্রতিনিধি :

গত কয়েকদিন ধরে শেরপুরের নকলায় ঝুঁকে বসেছে শীত। দিনরাত বিরাজ করছে কনকনে হিমেল হাওয়া। সারাদিন রোদের বালাই নেই। ঘন কুয়াশার আড়ালে গা ঢাকা দিয়েছে সূর্য্যি মামা। প্রচন্ড ঠান্ডায় ব্যাহত হচ্ছে বোরো আবাদ। স্হবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। কষ্টে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। কাজ না থাকায় পরিবারের মুখে দু’মুঠো খাবার তুলে দিতে তাঁদের অনেকেই শুরু করেছেন শীতের নানাধরণের পিঠার ব্যবসা। প্রতিদিন সন্ধা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এ ব্যবসা। এমনই এক পিঠা বিক্রির বাজার বসে নকলা পৌরশহরের কাচারী পুকুরপাড়ে ঢাকা-শেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে। এখানে তৈরি হয় ভাঁপা, মেরা, পোয়া, চিতইসহ নানাধরণের শীতের পিঠা। সাথে থাকে আলুর দম ও ধনে সংযুক্ত ঝাল ভর্তা। গরম গরম এ পিঠা খেতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের থাকে উপচে পড়া ভীড়। 

পৌসভার লাভা মহল্লার পিঠা বিক্রেতা শহীদুল ইসলাম (৪৫) জানান তিনি প্রতিদিন ৩০/৪০ কেজি চালের পিঠা বিক্রি করেন। এতে যা আয় হয় তাতে তাঁর সংসার কোনভাবে চলে যাচ্ছে। দড়িপাড়া মহল্লার পিঠা ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন (৪০) ও রাজু মিয়া (৩৫) জানান তাঁরাও প্রতিদিন ১৫/২০ কেজি চালের পিঠা বিক্রি করে পরিবার পরিজন নিয়ে কোনমতে বেঁচে আছেন।

পৌরসভার ধুকুড়িয়া এ-জেড টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের প্রভাষক মাহমুদুল হাসান সুমন জানান প্রতিদিন সন্ধার পর বন্ধুদের নিয়ে এখানে গরম গরম পিঠা খেতে আসি। ধনেযুক্ত ঝাঁল ভর্তা দিয়ে গরম গরম পিঠা অনেক মজাদার। ষাটোর্ধ বয়সের বৃদ্ধ আমির আলী জানান প্রতিদিন রাতে গুড় দিয়ে গরম গরম ভাঁপা পিঠা খেতে এখানে আসি। নাতি-নাতনীদের জন্য নিয়ে যাই। স্কুল শিক্ষার্থী ফরিদুল আলম (১২) জানান প্রতিদিন সন্ধায় এখান থেকে পিঠা কিনে নিয়ে পরিবারের সবাই মিলে একসাথে খাই। খুব মজা হয়। 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

শেরপুরের নকলায় প্রচন্ড শীতে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন চলছে পিঠা বিক্রি করে 

Update Time : ০১:৫৩:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪

জাহাঙ্গীর হোসেন, শেরপুর প্রতিনিধি :

গত কয়েকদিন ধরে শেরপুরের নকলায় ঝুঁকে বসেছে শীত। দিনরাত বিরাজ করছে কনকনে হিমেল হাওয়া। সারাদিন রোদের বালাই নেই। ঘন কুয়াশার আড়ালে গা ঢাকা দিয়েছে সূর্য্যি মামা। প্রচন্ড ঠান্ডায় ব্যাহত হচ্ছে বোরো আবাদ। স্হবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। কষ্টে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। কাজ না থাকায় পরিবারের মুখে দু’মুঠো খাবার তুলে দিতে তাঁদের অনেকেই শুরু করেছেন শীতের নানাধরণের পিঠার ব্যবসা। প্রতিদিন সন্ধা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এ ব্যবসা। এমনই এক পিঠা বিক্রির বাজার বসে নকলা পৌরশহরের কাচারী পুকুরপাড়ে ঢাকা-শেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে। এখানে তৈরি হয় ভাঁপা, মেরা, পোয়া, চিতইসহ নানাধরণের শীতের পিঠা। সাথে থাকে আলুর দম ও ধনে সংযুক্ত ঝাল ভর্তা। গরম গরম এ পিঠা খেতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের থাকে উপচে পড়া ভীড়। 

পৌসভার লাভা মহল্লার পিঠা বিক্রেতা শহীদুল ইসলাম (৪৫) জানান তিনি প্রতিদিন ৩০/৪০ কেজি চালের পিঠা বিক্রি করেন। এতে যা আয় হয় তাতে তাঁর সংসার কোনভাবে চলে যাচ্ছে। দড়িপাড়া মহল্লার পিঠা ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন (৪০) ও রাজু মিয়া (৩৫) জানান তাঁরাও প্রতিদিন ১৫/২০ কেজি চালের পিঠা বিক্রি করে পরিবার পরিজন নিয়ে কোনমতে বেঁচে আছেন।

পৌরসভার ধুকুড়িয়া এ-জেড টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের প্রভাষক মাহমুদুল হাসান সুমন জানান প্রতিদিন সন্ধার পর বন্ধুদের নিয়ে এখানে গরম গরম পিঠা খেতে আসি। ধনেযুক্ত ঝাঁল ভর্তা দিয়ে গরম গরম পিঠা অনেক মজাদার। ষাটোর্ধ বয়সের বৃদ্ধ আমির আলী জানান প্রতিদিন রাতে গুড় দিয়ে গরম গরম ভাঁপা পিঠা খেতে এখানে আসি। নাতি-নাতনীদের জন্য নিয়ে যাই। স্কুল শিক্ষার্থী ফরিদুল আলম (১২) জানান প্রতিদিন সন্ধায় এখান থেকে পিঠা কিনে নিয়ে পরিবারের সবাই মিলে একসাথে খাই। খুব মজা হয়।