জাহাঙ্গীর হোসেন, শেরপুর প্রতিনিধি :
শেরপুরের নকলায় সংবাদ সম্মেলনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার।
ওই মুক্তিযোদ্ধার নাম আমজাদ হোসেন (৭৫)। তাঁর স্থায়ী ঠিকানা নকলা পৌরসভার কুর্শাবাদাগৈড় মহল্লায়। বর্তমানে তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে পাঠাকাটা ইউনিয়নের পাঁচকাহনীয়া গ্রামে বাস করেন।
২৮ মে রবিবার রাতে নকলা পৌরশহরের শহীদ শাহজাহান সুপার মার্কেটে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন, তাঁর ছেলে আছাদুজ্জামান (৩৮) ও নিকটাত্মীয়গণ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠে আছাদুজ্জামান জানান পাঠাকাটা ইউনিয়নের কৈয়ায়কুড়ি নামাপাড়া গ্রামের আবুল কালামের স্ত্রী আয়শা বেগম ওরফে তারাফুলি (৪৮) একজন দাদন ব্যবসায়ী। আমার জরুরি প্রয়োজনে তারাফুলির কাছে ২লাখ ৩০ হাজার টাকা ধার নেই। পরবর্তীতে আমি সেই টাকা সুদাসলে ২ লাখ ৮২ হাজার টাকা পরিশোধ করি। কিন্তু তারাফুলি আমার কাছে বাড়তি আরও ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন। আমি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারাফুলি তাঁর ছেলে তরিকুলসহ ১০/১৫ জন লোক নিয়ে গত ঈদুল ফিতরের দিন আমার বাড়িতে হামলা চালায়। ওই সময় তাঁরা আমি ও আমার বাবা অসুস্থ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেনকে শারিরীকভাবে লাঞ্জিত করেন এবং আমার হাতে থাকা একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
বিষয়টি নিয়ে আমি ২৪/০৪/২০২৩ ইং তারিখে নকলা থানায় লিখিত অভিযোগ করি।
পরবর্তীতে ২৮/০৫/২০২৩ ইং তারিখ রবিবার বিকেলে তারাফুলি তার অনুসারিদের নিয়ে নকলা পৌরশহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আমাকে জড়িয়ে তারাফুলির বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তাছাড়া আমার স্বাক্ষরিত ৫ লাখ টাকার যে চুক্তিপত্রের কথা বলেছেন তা সম্পূর্ণ ভূয়া। আসলে আমি এরকম কোন চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করিনি। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং ন্যায় বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
নকলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন আহমেদ জানান এব্যাপারে উভয়পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।