Dhaka ০৩:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“সংকট নিরসনে সমাধান চায় সোহরাওয়ার্দী কলেজ শিক্ষার্থীরা”

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৫২:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২
  • ৯২৬ Time View
“সংকট নিরসনে সমাধান চায় সোহরাওয়ার্দী কলেজ শিক্ষার্থীরা”
সোহরাওয়ার্দী কলেজ প্রতিনিধি –
১৯৪৯ সালের ১১ নভেম্বর নালগলার জুম্মন ব্যাপারী লেনে (ভাওয়ালরাজ এস্টেট) কায়েদ-ই-আজম কলেজ নামেই গোড়াপত্তন হয় সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের। ভাওয়ালরাজ এস্টেটের জমিতে অবস্থিত একটি ভবন নিয়ে যাত্রা শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী এই কলেজটির। তবে জরাজীর্ণ ভবনটিতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে প্রয়োজন হয় সংস্কারের। এগিয়ে আসেন তৎকালীন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। সহায়তা হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা দিলে তাৎক্ষণিক কলেজটির সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়। যদিও পরবর্তীতে লক্ষ্মীবাজারের জমি কেনার পর কলেজটিকে বর্তমান স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে। আর নালগলার শুরুর ভবনটিকে রূপান্তর করা হয় ছাত্রাবাসে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে কায়েদ-ই-আজম কলেজের নাম পরিবর্তন করা হয়। প্রবীণ রাজনীতিবিদ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নামানুসারে ১৯৭২ সালে কলেজটির নাম পরিবর্তন করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ করা হয়। ১৯৮৪ সালের ১ নভেম্বর কলেজটি সরকারি কলেজে হিসেবে যুক্ত হলে এর নাম হয় সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ।
দেশের স্বাধিকার আন্দোলনসহ অসংখ্য ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাক্ষী এই সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ। কালের পরিক্রমায় ৭২ বছর পেরিয়ে এই কলেজটি আজ পা রেখেছে ৭৩ বছরে।
রাজধানীর পুরান ঢাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ।সংগ্রাম,গৌরব ও ঐতিহ্যের ৭৩বছরে পদার্পণ করেছে । অথচ ৭৩বছরেও শিক্ষার্থীদের  প্রত্যাশা পূরণে এগুতে পারেনি। বিভিন্ন  সংকট  অনিয়ম কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়নি। এই অনিয়মের জের ধরে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের চাহিদাকে অপূরণ রাখা হচ্ছে। আর এই পূরণ-অপূরণের মাঝেই বছরের পর বছর শিক্ষার্থীরা কাটিয়ে দিচ্ছে তাঁদের শিক্ষাজীবন। তবে এবার শিক্ষার্থীরা ৭৩বছর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ক্যাম্পাসে কিছু পরিবর্তন চায়  তন্মধ্যে –
১.ক্লাসরুম স্বল্পতা দূর করা
২.ক্যান্টিন চালু করা
৩. ছাত্রীদের জন্য আলাদা নামাজের স্থান চালু করা
৪.লাইব্রেরীর রুম সংস্কার করা
৫.দূর দূরান্তের শিক্ষার্থীদের জন্য কলেজ বাসের ব্যবস্থা ।
৬.ক্লাস রুম সংস্কার করা। অনেক রুমের ছাদ থেকে দেওয়াল খসে পড়ে যা শিক্ষার্থীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়াও আরও বেশ কিছু পরিবর্তন আনা দরকার সোহরাওয়ার্দী কলেজে যা শিক্ষার্থীদের একান্ত কাম্য।
শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা পূরণে ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ কলেজের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আধুনিকতার ছোঁয়া আনতে সরকারের বড় ধরনের সহায়তা প্রয়োজন বলে জানান কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহসিন কবীর।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

“সংকট নিরসনে সমাধান চায় সোহরাওয়ার্দী কলেজ শিক্ষার্থীরা”

Update Time : ০৩:৫২:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২
“সংকট নিরসনে সমাধান চায় সোহরাওয়ার্দী কলেজ শিক্ষার্থীরা”
সোহরাওয়ার্দী কলেজ প্রতিনিধি –
১৯৪৯ সালের ১১ নভেম্বর নালগলার জুম্মন ব্যাপারী লেনে (ভাওয়ালরাজ এস্টেট) কায়েদ-ই-আজম কলেজ নামেই গোড়াপত্তন হয় সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের। ভাওয়ালরাজ এস্টেটের জমিতে অবস্থিত একটি ভবন নিয়ে যাত্রা শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী এই কলেজটির। তবে জরাজীর্ণ ভবনটিতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে প্রয়োজন হয় সংস্কারের। এগিয়ে আসেন তৎকালীন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। সহায়তা হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা দিলে তাৎক্ষণিক কলেজটির সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়। যদিও পরবর্তীতে লক্ষ্মীবাজারের জমি কেনার পর কলেজটিকে বর্তমান স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে। আর নালগলার শুরুর ভবনটিকে রূপান্তর করা হয় ছাত্রাবাসে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে কায়েদ-ই-আজম কলেজের নাম পরিবর্তন করা হয়। প্রবীণ রাজনীতিবিদ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নামানুসারে ১৯৭২ সালে কলেজটির নাম পরিবর্তন করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ করা হয়। ১৯৮৪ সালের ১ নভেম্বর কলেজটি সরকারি কলেজে হিসেবে যুক্ত হলে এর নাম হয় সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ।
দেশের স্বাধিকার আন্দোলনসহ অসংখ্য ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাক্ষী এই সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ। কালের পরিক্রমায় ৭২ বছর পেরিয়ে এই কলেজটি আজ পা রেখেছে ৭৩ বছরে।
রাজধানীর পুরান ঢাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ।সংগ্রাম,গৌরব ও ঐতিহ্যের ৭৩বছরে পদার্পণ করেছে । অথচ ৭৩বছরেও শিক্ষার্থীদের  প্রত্যাশা পূরণে এগুতে পারেনি। বিভিন্ন  সংকট  অনিয়ম কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়নি। এই অনিয়মের জের ধরে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের চাহিদাকে অপূরণ রাখা হচ্ছে। আর এই পূরণ-অপূরণের মাঝেই বছরের পর বছর শিক্ষার্থীরা কাটিয়ে দিচ্ছে তাঁদের শিক্ষাজীবন। তবে এবার শিক্ষার্থীরা ৭৩বছর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ক্যাম্পাসে কিছু পরিবর্তন চায়  তন্মধ্যে –
১.ক্লাসরুম স্বল্পতা দূর করা
২.ক্যান্টিন চালু করা
৩. ছাত্রীদের জন্য আলাদা নামাজের স্থান চালু করা
৪.লাইব্রেরীর রুম সংস্কার করা
৫.দূর দূরান্তের শিক্ষার্থীদের জন্য কলেজ বাসের ব্যবস্থা ।
৬.ক্লাস রুম সংস্কার করা। অনেক রুমের ছাদ থেকে দেওয়াল খসে পড়ে যা শিক্ষার্থীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়াও আরও বেশ কিছু পরিবর্তন আনা দরকার সোহরাওয়ার্দী কলেজে যা শিক্ষার্থীদের একান্ত কাম্য।
শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা পূরণে ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ কলেজের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আধুনিকতার ছোঁয়া আনতে সরকারের বড় ধরনের সহায়তা প্রয়োজন বলে জানান কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহসিন কবীর।