Dhaka ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে পলাতক প্রধান আসামি সাদেকুলকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:০৮:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ২০৪ Time View

সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে পলাতক প্রধান আসামি সাদেকুলকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব

রউফুল আলম, ব্যুরো চীফ, রংপুরঃ
রংপুরের মিঠাপুকুরে এক গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হয়। ঘটনার দিন ধর্ষককে হাতেনাতে আটক করে একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখেন স্থানীয়রা। কিন্তু পরে ধর্ষকের লোকজন সন্ত্রাসী কায়দায় বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে ধর্ষককে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তারপর থেকে আত্মগোপনে থাকেন ধর্ষক সাদেকুল ইসলাম। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ভুক্তভোগী পরিবার গরীব হওয়ায় সঠিক বিচার পাওয়া নিয়েও জনমনে সংশয় দেখা দেয়। অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে পলাতক প্রধান আসামি সাদেকুলকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মধ্য রাত দেড়টার দিকে র‌্যাব রংপুরের একটি আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পলাতক সাদেকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে মিঠাপুকুর থানায় হস্তান্তর করেন।
আজ (১৬ সেপ্টেম্বর) শনিবার  দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব রংপুরের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লে. মাহমুদ বশির আহমেদ।
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান জানান, গতরাত ৪ টার দিকে ধর্ষণ মামলার আসামি সাদেকুলকে থানায় হস্তান্তর করেছে র‌্যাব। শনিবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ আগষ্ট রাতে উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের নিঝাল গ্রামের দরিদ্র কৃষক হামিদুল তার বন্ধু সাদেকুলসহ পার্শ্ববর্তী আখিরা নদীতে মাছ ধরতে যায়। হামিদুলের স্ত্রী (৩০) বাড়িতে একা শুয়ে থাকে। এ সময় মাছ ধরা বাদ দিয়ে কৌশলে হামিদুলকে রেখে বন্ধু সাদেকুল ইসলাম ওই গৃহবধূর ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক গৃহবধুকে ধর্ষণ করে। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষককে ঘরে আটক করে রাখে। খবর পেয়ে পরদিন ১ সেপ্টেম্বর  সকালে ধর্ষকের লোকজন দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে ধর্ষককে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ধর্ষিতার স্বামী ধর্ষক ও হামলা-ভাংচুরে নেতৃত্ব দেওয়া সাইদুল ইসলামসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মামলার পর আসামীরা পলাতক থাকে। পরে আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য মামলার তদন্তকারী অফিসার উপপ্রিদর্শক নুর আলম সরকার র‌্যাব-১৩ রংপুরকে পত্রের মাধ্যমে বিষয়টি অবগত করেন। র‌্যাব তথ্য উপাত্ত বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত শুরু করে মামলার প্রধান আসামি সাদেকুলকে মিঠাপুকুরের ভগবতিপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে পলাতক প্রধান আসামি সাদেকুলকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব

Update Time : ০৬:০৮:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
রউফুল আলম, ব্যুরো চীফ, রংপুরঃ
রংপুরের মিঠাপুকুরে এক গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হয়। ঘটনার দিন ধর্ষককে হাতেনাতে আটক করে একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখেন স্থানীয়রা। কিন্তু পরে ধর্ষকের লোকজন সন্ত্রাসী কায়দায় বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে ধর্ষককে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তারপর থেকে আত্মগোপনে থাকেন ধর্ষক সাদেকুল ইসলাম। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ভুক্তভোগী পরিবার গরীব হওয়ায় সঠিক বিচার পাওয়া নিয়েও জনমনে সংশয় দেখা দেয়। অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে পলাতক প্রধান আসামি সাদেকুলকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মধ্য রাত দেড়টার দিকে র‌্যাব রংপুরের একটি আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পলাতক সাদেকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে মিঠাপুকুর থানায় হস্তান্তর করেন।
আজ (১৬ সেপ্টেম্বর) শনিবার  দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব রংপুরের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লে. মাহমুদ বশির আহমেদ।
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান জানান, গতরাত ৪ টার দিকে ধর্ষণ মামলার আসামি সাদেকুলকে থানায় হস্তান্তর করেছে র‌্যাব। শনিবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ আগষ্ট রাতে উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের নিঝাল গ্রামের দরিদ্র কৃষক হামিদুল তার বন্ধু সাদেকুলসহ পার্শ্ববর্তী আখিরা নদীতে মাছ ধরতে যায়। হামিদুলের স্ত্রী (৩০) বাড়িতে একা শুয়ে থাকে। এ সময় মাছ ধরা বাদ দিয়ে কৌশলে হামিদুলকে রেখে বন্ধু সাদেকুল ইসলাম ওই গৃহবধূর ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক গৃহবধুকে ধর্ষণ করে। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষককে ঘরে আটক করে রাখে। খবর পেয়ে পরদিন ১ সেপ্টেম্বর  সকালে ধর্ষকের লোকজন দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে ধর্ষককে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ধর্ষিতার স্বামী ধর্ষক ও হামলা-ভাংচুরে নেতৃত্ব দেওয়া সাইদুল ইসলামসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মামলার পর আসামীরা পলাতক থাকে। পরে আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য মামলার তদন্তকারী অফিসার উপপ্রিদর্শক নুর আলম সরকার র‌্যাব-১৩ রংপুরকে পত্রের মাধ্যমে বিষয়টি অবগত করেন। র‌্যাব তথ্য উপাত্ত বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত শুরু করে মামলার প্রধান আসামি সাদেকুলকে মিঠাপুকুরের ভগবতিপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।