সারিয়াকান্দী ও ধুনটে যমুনার পূর্ব তীর কেঁটে মাটি বিক্রি-হুমকির মুখে গ্রাম রক্ষা বাঁধ।
মাসুদ রানা,ষ্টাফ রিপোর্টার –
বগুড়ার সারিয়াকান্দির কামালপুর ইউনিয়নের পূর্ব দড়িপাড়া ও ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের চুনিয়াপাড়া এলাকার শেষ সিমান্ত এলাকায় যমুনা নদীর তীর ঘেঁষে আবাদী জমির বেলে দৌয়াস মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে বিভিন্ন ভরাটের কাজে এতে হুমকির মুখে নদী সংরক্ষিত তীর ও প্রায় (৩০০ কোটি) টাকার গ্রাম রক্ষা বাঁধ।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, কামালপুর ইউনিয়নের পূর্ব দড়িপাড়া এলাকার সাবেক চেয়ারম্যান মৃত ইমেন আলীর বাড়ির পূর্বপাশে যমুনার তীর ঘেঁষে প্রায় তিনটি পয়েন্ট ও ধুনটের গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের চুনিয়াপাড়া এলাকার শেষ সিমান্ত এলাকায় একটি পয়েন্ট থেকে অবৈধ ভাবে আবাদী জমির মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে বিভিন্ন ভরাটের কাজে এবং সরকারি কোটি টাকার গ্রাম রক্ষা বাঁধের ধুনট থানা এরিয়ার চুনিপাড়ার শেষ সিমানার গ্রাম রক্ষা বাঁধের একাংশ কেঁটে তৈরি করা হয়েছে মাটি বহনকারী ট্রাক্টর চলাচলের রাস্তা।এতে বর্ষা মৌসুমে যে কোনো সময় ধসে যেতে পারে গ্রাম রক্ষা বাঁধ ও যমুনা নদীর ড্রাইলোশন।ক্ষতির মুখে পড়তে পারে প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম।
মাটি উত্তোলন কারী জমির মালিক দড়িপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর পিতা বারেক খাঁ জানান,তার চাচা সাবেক ইউপি সদস্য আলম ও তার ভাই সবুজের নির্দেশে এই আবাদী জমির মাটি বিক্রি করে দিচ্ছি তিনি আরো জানান প্রতি গাড়ি মাটি বিক্রি করতেছি (৩০০ শ, টাকা করে। মাটি ব্যবসায়ীরা আবার ভরাটের কাজে প্রতি গাড়ি মাটি বিক্রি করে দিচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায়।
এই বিষয়ে অবৈধ ভাবে আবাদী জমির মাটি উত্তোলনে অনুমতি কারী সাবেক ইউপি সদস্য আলম জানান,আমাদের জমির মাটি আমরাই বিক্রি করতেছি এতে কারো যায় আসে না। আপনি একজন সাবেক ইউপি সদস্য হয়েও যমুনা নদীর পাড় ও আবাদী জমির মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করতেছেন এতে বর্ষা মৌসুমে আপনার এলাকার মানুষেরই হ্মতি হবে এরকম প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান,এলাকার মানুষের হ্মতি হোক না ভালো হোক সেটা দেখার দায়িত্ব আপনাদের ও আমাদের কারোই না,তাদের কি হবে তখন তারাই বুঝে নিবে। অবৈধ ভাবে আবাদী জমি ও যমুনার তীর কেঁটে মাটি উত্তোলন করা বিক্রিকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার আসস্থ করলেন সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব রেজাউল করিম।
এই বিষয়ে ধুনট উপজেলার নির্বাহী অফিসার জনাব সঞ্জয় কুমার মহন্তর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।