সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ ৩৫ বছর পর অপারেশন থিয়েটার চালু করা হয়েছে।
মোঃ মাসুদ রানা, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন থিয়েটার দীর্ঘ ৩৫ বছর পর চালু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উল্লাপাড়ার রাজিব সরকারের স্ত্রী, প্রসূতি মোছা. মিম খাতুনের সিজারিয়ানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অপারেশন চালু করেন, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ। সিরাজগঞ্জ জেলা সির্ভিল সার্জন ডা. রামপদ রায়, তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. নুরনাহার পারভীন ও কনসালটেন্ট (এনেস্থিসিয়া) ডা. জহুরুল ইসলাম তালুকদার এ সময় তাকে সহযোগিতা করেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে অপারেশন থিয়েটার উদ্বোধনের সময় তাড়াশ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবাউল করিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ খন্দকার ও সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত কর্মকার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মর্জিনা ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মনোয়ার হোসেনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম অপারেশন হওয়া মিম খাতুনের স্বামী রাজিব সরকার বলেন, আমার স্ত্রীর সমস্যার কারণে স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্ম হবে না, তাই তাড়াশ হাসপাতালে নিয়ে আসি এবং এখানে বিনামূল্যে সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। পুত্র সন্তানের বাবা হয়েছি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন চালু না হলে বেসরকারি ক্লিনিক বা হাসপাতালে অপারেশন করা লাগত। যার ব্যয় বহন করা আমার জন্য কষ্টকর ছিল।
উল্লেখ্য, তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে-এর অপারেশন থিয়েটার চালুর মাধ্যমে চলনবিল অধ্যুষিত এ উপজেলার হাজার হাজার প্রসূতি মায়েরা বিনা মূল্যে সিজারিয়ান ও নরমাল ডেলিভারির সেবা পাবেন। এতে প্রসূতি মায়েদের প্রসব পূর্ববর্তী, প্রসবকালীন ও প্রসব পরবর্তী সেবা পাবেন। এ ছাড়া তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মনোয়ার হোসেন জানান, ১৯৮৭ সালের ১৩ সেপ্টম্বর তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করা হয়।
সর্বশেষে ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট তাড়াশ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রূপান্তরিত করা হয়। তবে চালু ছিল না অপারেশন থিয়েটার। এখন থেকে সরকারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগ নির্ণয় পরীক্ষাগার পুরোদমে চালু রয়েছে। এতে করে রোগীরা প্রাইভেট হাসপাতালের তুলনায় নাম মাত্র মূল্যে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পাশাপাশি অপারেশান করাতে পারবেন।