স্বাস্থ্য সেবার মান শতভাগ; প্রসংশায় ভাসছে বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
আক্তারুল ইসলাম খুলনা , বটিয়াঘাটাঃ
খুলনা জেলার অবহেলিত একটা উপজেলার নাম বটিয়াঘাটা। বটিয়াঘাটার প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকারে বদলে গেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ, গ্রামীণ মানুষের জীবনে এনেছে স্বস্তি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মিজানুর রহমানের দক্ষ ব্যবস্থাপনায় অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে রোগীরা এখন আন্তরিকতাপূর্ণ সেবা পাচ্ছেন । প্রয়োজনীয় জনবল সংকট থাকা সত্বেও এখানকার কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে সমন্বয় করে তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নানা সংকট মোকাবিলার মাধ্যমে বটিয়াঘাটায় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে চলেছেন । উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ , অন্ত: বিভাগ এবং বহির্বিভাগের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ। এ ছাড়া আছে পৃথক মা ও নবজাতক বিভাগ। বিশেষায়িত রোগ ছাড়া এই হাসপাতালে সব ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে।
এ হাসপাতালে টিকা দেওয়া হয়, শ্বাসতন্ত্রের তীব্র প্রদাহের চিকিৎসা দেয়া হয়, পরিবার পরিকল্পনা সেবা দেওয়া হয়। পুষ্টিসেবার জন্য আছে বিশেষ কর্নার। আছে এক্স-রে সুবিধাসহ পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ।
পরিষ্কার – পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যবর্ধন সার্বিক কার্যক্রম তদারকির মাধ্যমে বটিয়াঘাটার স্বাস্থ্য খাতের ইতিহাসে এক অনন্য সফলতা বলে আখ্যা দিচ্ছেন স্থানীয়রা । বটিয়াঘাটা এলাকার দীপালী মন্ডল, জাহিদ সরদার, খলিল গাজি সহ স্থানীয় বাসিন্দারা জানান , কমপ্লেক্সের দৃশ্যপট একেবারে পাল্টে দিয়েছেন বর্তমান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। তিনি এখানে যোগদানের পর থেকে হাসপাতালে রোগীদের খাবার , পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা , পরিবেশের উন্নয়নসহ নানামুখী সৃজনশীল কার্যক্রম পরিচালনা করছেন । হাসপাতালে ভর্তি থাকা রায়পুর এলাকার ইসলাম শেখ বলেন, হাসপাতালে ভর্তির পর থেকেই বেশির ভাগ ওসুধ বিনা মুল্যে পেয়ে আমরা খুব খুশি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক স্বাস্থ্যকর্মী জানান, বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কারণে এই এলাকার দরিদ্র মানুষ আজ সঠিক ভাবে স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। কীভাবে আরও স্বাস্থ্য সেবা সহজে প্রতিটি ইউনিয়ন , ওয়ার্ড এবং গ্রাম পর্যায়ে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যায় এ ব্যাপারে প্রতিনিয়ত সভা সমাবেশের মাধ্যমে তাদের সঠিক দিকনির্দেশনা এবং পরামর্শ প্রদান করেন বর্তমান স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা । তাছাড়া এ কর্মকর্তার সৃজনশীল ভাবনা এবং উদ্যোগের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান তারা । বিশেষ করে হাসপাতালের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা নিজেরাই সকল পরিচ্ছন্ন করার কর্মজজ্ঞ চালু করেন , যা চলমান রয়েছে । এমন মহতী কাজের জন্য সর্বস্তরে প্রশংসা কুড়িয়েছে এবং সারাদেশের অনেক প্রতিষ্ঠান এ পথেই হাটছেন । সমগ্র দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করার লক্ষ্যে হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থার মান সর্বোচ্চ পর্যায়ে বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা । এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মিজানুর রহমান বলেন , সকল চিকিৎসক এবং অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা , উপজেলা প্রশাসন , স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সকলের সার্বিক সহযোগিতায় আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি সেবার বৃদ্ধিসহ হাসপাতালের উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে ।
মোরেলগঞ্জে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন।
মোঃনাজমুল, মোরেলগঞ্জ, বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে প্রতারণামূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী আলমগীর শেখ এর স্ত্রী মাসুদা বেগম। মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবে বৃহস্পতিবার দুপুরে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) উপজেলার লক্ষীখালী গ্রামের আলমগীর শেখ এর স্ত্রী মাসুদা বেগম লিখিত বক্তব্যে বলেন, একই ইউনিয়নের বড়ইতলা গ্রামের ছালাম হাওলাদার বাদী হয়ে গত ২৪ জানুয়ারী একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার ৫ নং সাক্ষী ময়না বেগম লিখিত বক্তব্য বলেন, ‘আমি খুবই গরীব অসহায় একজন নারী। আসামিরা আমাকে মারপিট করে নাই এবং স্বর্ণের চেইন ছিনতাই করে নাই। আমি কোনদিন স্বর্ণের চেইন ব্যবহার করি নাই। আমি গরীব মানুষ এক ভরি ২ আনা ওজনের স্বর্ণ যার মূল্য ৯০ হাজার টাকা ক্রয় করার সামর্থ্য আমার বা আমার স্বামীর নাই।’ময়না বেগম আরও বলেন, মামলার ৩নং স্বাক্ষী মানিক হাওলাদার এর মাথা বাদী নিজেই ব্লেড দিয়ে কেটে জখম করে এবং হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। আমাকে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য বাদী বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। সাক্ষ্য দিতে রাজি না হওয়ায় বাদী ও তার অনুসারীরা আমাকে খুন জখম করার হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী মাসুদা বেগম আরো বলেন, মোঃ জালালের অবৈধ টাকার বলে এসব কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। বিভিন্ন লোকের নামে মিথ্যা মামলা, হামলা, অত্যাচার নির্যাতন, জোর জুলুম করে জমা জমি জবর দখলের লক্ষে এলাকায় ত্রাস কায়েম করছে আব্দুল হালিম হাওলাদার, হানিফ হাওলাদার, সালাম হাওলাদার, কাদের হাওলাদার, জলিল হাওলাদার, মানিক হাওলাদার, নূর মোহাম্মদ শেখ সহ একাধিক সংঘবদ্ধ চক্র।এ ব্যাপারে মামলার বাদী ছালাম হাওলাদার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন মিথ্যা মামলা করিনি আমাদেরকে তারা মেরেছে এবং আমাদের জমা জমির জোর করে তারা ভোগ দখল করছে।মাসুদ বেগম বলেন, মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা এবং আইনি সহায়তা পেতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
পাইকগাছায় ৪ সাংবাদিকসহ ৫ জনের নামে মিথ্যা মামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
পাইকগাছা প্রতিনিধি:-
খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার আগড়ঘাটা উপস্বাস্হ্য কেন্দ্রে অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করায় উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন চার সাংবাদিকসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। তারই মিথ্যা মামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের অংশ গ্রহণে (বৃহস্পতিবার) ২রা মার্চ দুপুর ১২টায় পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের সামনে মেইন সড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি (বিএমএসএস)’র পাইকগাছা উপজেলা শাখা কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধনে সাংবাদিক শেখ আঃ গফুরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম মিজানুর রহমান মিজান। এ সময় বক্তব্য রাখেন, জিএম আসলাম হোসেন, শেখ সেকেন্দার আলী, পলাশ কর্মকার, মহানন্দ অধিকারী মিন্টু, খোরশেদ আলম। উক্ত মানববন্ধনে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি (বিএমএসএস)’র পাইকগাছা উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফসিয়ার রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কাজী সাখাওয়াত হোসেন পাপ্পু, সাংবাদিক আব্দুল মজিদ, হাফিজুর রহমান রিন্টু, এ কে আজাদ, মোঃ আসাদুল ইসলাম আসাদ, মোঃ মানছুর রহমান জাহিদ, মিলন দাস,শেখ আব্দুল আলিম, সবুর আল-আমিন, জিয়াউদ্দিন নায়েব, হাবিবুর রহমান, মোঃ মুজিবুর রহমান মল্লিক, আবু ইসাহাক, মোঃ ফিরোজ আহমেদ, মাজহারুল ইসলাম মিথুন, শাহরিয়ার কবির শাহজাহান বাদশা, এম জালাল উদ্দিন সুজন, সাহেব আলী, কাজী সোহাগ, সফিয়ার রহমান, ফয়সাল হোসেন, খলিলুর রহমান, লুৎফর রহমান কিনু, সৈয়দ মিনারুল ইসলাম, শাহিনুর রহমান, মোঃ সহিদ হোসেন, সাহাদাত হোসেন, রেজাউল ইসলাম, ফারুক হোসেনসহ আরও উপস্থিত ছিলেন, রাজু মোড়ল, মনিরুল ইসলাম, আসিফ ইকবাল ইমন, মনিরুল ইসলাম মনি, মোঃ মুক্ত, আবদুল্লাহ আল মামুন, মোঃ ডাব্লু প্রমুখ। এছাড়াও মানববন্ধনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ও শুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অতি বিলম্বে হয়রানি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না হলে কঠোর কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।