Dhaka ০৩:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হবিগঞ্জের মাধবপুরে ফসলি জমিতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে মাটি উত্তোলন,বিনষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৪৬:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৭০৫ Time View
হবিগঞ্জের মাধবপুরে ফসলি জমিতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে মাটি উত্তোলন,বিনষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।
মাধবপুর প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জের মাধবপুরে ভূমিদস্যুদের তৎপরতা বন্ধ হচ্ছে না।বন্ধ হচ্ছে না বেআইনীভাবে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে সরকারী জমি থেকে মাটি ও বালি আহরণ। সরেজমিনে মাধবপুর পৌরসভার  গংঙ্গানগর গ্রামের এক হাজার গজ পূর্বদিকে  সোনাই নদী সংলগ্ন এলাকায় ফসলি জমিতে মাটি কাটা এমন চিত্র দেখা গেছে।ভূমিখেকোদের দাবি তারা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই মাটি উত্তোলণ করছে।পক্ষান্তরে প্রশাসন সূত্র তাদের দাবিকে অবান্তর ও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
মাধবপুর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের গংঙ্গানগর গ্রামের পুর্বদিকে সোনাই নদীর পার্শ্ববর্তী জমি থেকে বিরাট গর্ত তৈরী করে ড্রেজার মেশিনে মাটি উত্তোলন করে পাইপের মাধ্যমে আলাকপুরের কাছে কিছু জমিতে নিয়ে স্তূপীকৃত করে রাখা হচ্ছে।সেখান থেকে ইটভাটা সহ বিভিন্ন জায়গায় ট্রাক্টর যোগে মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে।প্রকাশ্য দিবালোকেই এমন কর্মকান্ড চালাচ্ছেন গোলাম নুর নামের এক ব্যক্তি।নিজেকে আওয়ামী লীগের লোক পরিচয় দেওয়া গোলাম নুর আলাকপুর গ্রামের  সাদত আলীর পুত্র।তার দাবি মাটি কাটার বিষয়ে প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছেন তিনি।অনুমতির কাগজপত্র দেখতে চাইলে গোলাম নুর কিছুই দেখাতে পারেননি। তবে তিনি নিজের জমি থেকে মাটি উত্তোলন করছেন এমন দাবি করেন।  সেইসাথে নিজেকে আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয় দিয়ে এ বিষয়ে পত্রিকায় রিপোর্ট করতে নিষেধ করেন গোলাম নুর।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ইউনিয়ন বা উপজেলা পর্যায়ের আওয়ামী লীগ বা সহযোগী কোনো সংগঠনের সাথে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহ্সান জানান এ বিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ নেবেন তিনি।
বার্তা প্রেরক
নাহিদ মিয়া
মাধবপুর(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
০১৭৫২-১৮২৪৬৭
মাধবপুরে জুতা সেলাই ও কালি করে ৭জনের সংসার হিমশিম খাচ্ছেন রেপতি ঋষি ।
নাহিদ মিয়া, মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জের  মাধবপুরের পৌরসভার জুতা সেলাই আর কালি করে যৎসামান্য আয়ে সংসার চালাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন গঙ্গানগর গ্রামের রেপতি ঋষি। স্ত্রী সন্তান আর মা সহ ৭ জনের সংসারে ঠিকমতো দুবেলা খাবারের যোগান দিতে পারছেন না তিনি। সংসারে অভাব অভিযোগ লেগেই আছে ।
যতোক্ষণ কাজে থাকেন একটা ঘোরের মধ্যে সময় কেটে যায় রেবতির। বাড়িতে গেলেই শুরু হয় অনুযোগ আর অশান্তি। নিয়মিত পত্রিকা পড়েন জুতা সারাইয়ের ছোট্ট দোকানটিতে বসে। তাকে নিয়ে ভাবার কেউ নেই জানিয়ে তিনি বলেন তার মা যমুনাবালা ঋষি এতোদিন বয়স্ক ভাতা পেতেন কিন্তু তার বয়স ৬২ বছর হয়ে যাওয়ায় কয়েকমাস আগে নিয়মানুযায়ী ভাতা বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
একটা ভিজিডি কার্ডের ব্যবস্থা হলে অন্তত কিছুটা হলেও উপকার হতো।টিসিবির একটা কার্ড রয়েছে রেপতির।এটা তার খুব একটা কাজে আসছে না বলে জানান তিনি।
রেপতি ঋষির বাড়ি মাধবপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গঙানগর গ্রামে। বসতবাড়ির ১ শতাংশ জমি ছাড়া তার আর কোনো সহায় সম্বল নেই। সংসারে স্ত্রী,৪ মেয়ে আর মা সহ সদস্য রয়েছেন ৭ জন। বড় মেয়ে বিয়ের উপযুক্ত বয়সে পৌঁছালেও অর্থাভাবে বিয়ে দিতে পারছেন না। বাকিরাও প্রাথমিকের গন্ডি পার হতে পারেনি।সকাল সন্ধ্যা মাধবপুর বাসস্ট্যান্ড লাগা প্যাভমেন্টে বসে জুতা সারাই ও কালি (জুতা রং) র কাজ করেন রেপতি।সারাদিন খুব একটা কাজ জুটে না। অলস সময়ে বসে পত্রিকা পড়েন। পত্রিকা পড়া তার দীর্ঘদিনের অভ্যাস।
সকালে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে আসার পথেই পত্রিকা এজেন্টের কাছ থেকে একটা পত্রিকা নিয়ে আসেন রেপতি।খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়েন। ভালো খবরে উচ্ছসিত হন। মন্দ খবর পড়ে বিমর্ষ ও বিষাদগ্রস্ত হন। লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ থাকলেও অল্প বয়সে পিতৃহারা হয়ে আর পড়তে পারেন নি।রেপতি ঋষি জানান,দিনের শেষে যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চলে না। অসুখে বিসুখে মানুষের কাছে হাত পাততে হয়।ঋণ করতে হয়।ঋণ শোধ করতে গিয়ে সংসারের অনটন আরো বাড়ে।৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বকুল চন্দ্র ঋষি রেপতি ঋষির দূর্দশার কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, ‘রেপতিকে আমরা সাধ্য অনুযায়ী সহায়তা করতে চেষ্টা করি। তবে পৌরসভায় ভিজিডি কার্ড দেওয়ার সুযোগ নেই। ভবিষ্যতে সরকারীভাবে যদি কোন সুযোগ-সুবিধা আসে তার বিষয়টি খেয়াল রাখবো।
বার্তা প্রেরক
নাহিদ মিয়া
মাধবপুর হবিগঞ্জ প্রতিনিধি।
০১৭৫০-০০৪৬৭৫
০১৭৫২-১৮২৪৬৭
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

হবিগঞ্জের মাধবপুরে ফসলি জমিতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে মাটি উত্তোলন,বিনষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।

Update Time : ০৭:৪৬:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
হবিগঞ্জের মাধবপুরে ফসলি জমিতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে মাটি উত্তোলন,বিনষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।
মাধবপুর প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জের মাধবপুরে ভূমিদস্যুদের তৎপরতা বন্ধ হচ্ছে না।বন্ধ হচ্ছে না বেআইনীভাবে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে সরকারী জমি থেকে মাটি ও বালি আহরণ। সরেজমিনে মাধবপুর পৌরসভার  গংঙ্গানগর গ্রামের এক হাজার গজ পূর্বদিকে  সোনাই নদী সংলগ্ন এলাকায় ফসলি জমিতে মাটি কাটা এমন চিত্র দেখা গেছে।ভূমিখেকোদের দাবি তারা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই মাটি উত্তোলণ করছে।পক্ষান্তরে প্রশাসন সূত্র তাদের দাবিকে অবান্তর ও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
মাধবপুর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের গংঙ্গানগর গ্রামের পুর্বদিকে সোনাই নদীর পার্শ্ববর্তী জমি থেকে বিরাট গর্ত তৈরী করে ড্রেজার মেশিনে মাটি উত্তোলন করে পাইপের মাধ্যমে আলাকপুরের কাছে কিছু জমিতে নিয়ে স্তূপীকৃত করে রাখা হচ্ছে।সেখান থেকে ইটভাটা সহ বিভিন্ন জায়গায় ট্রাক্টর যোগে মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে।প্রকাশ্য দিবালোকেই এমন কর্মকান্ড চালাচ্ছেন গোলাম নুর নামের এক ব্যক্তি।নিজেকে আওয়ামী লীগের লোক পরিচয় দেওয়া গোলাম নুর আলাকপুর গ্রামের  সাদত আলীর পুত্র।তার দাবি মাটি কাটার বিষয়ে প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছেন তিনি।অনুমতির কাগজপত্র দেখতে চাইলে গোলাম নুর কিছুই দেখাতে পারেননি। তবে তিনি নিজের জমি থেকে মাটি উত্তোলন করছেন এমন দাবি করেন।  সেইসাথে নিজেকে আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয় দিয়ে এ বিষয়ে পত্রিকায় রিপোর্ট করতে নিষেধ করেন গোলাম নুর।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ইউনিয়ন বা উপজেলা পর্যায়ের আওয়ামী লীগ বা সহযোগী কোনো সংগঠনের সাথে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহ্সান জানান এ বিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ নেবেন তিনি।
বার্তা প্রেরক
নাহিদ মিয়া
মাধবপুর(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
০১৭৫২-১৮২৪৬৭
মাধবপুরে জুতা সেলাই ও কালি করে ৭জনের সংসার হিমশিম খাচ্ছেন রেপতি ঋষি ।
নাহিদ মিয়া, মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জের  মাধবপুরের পৌরসভার জুতা সেলাই আর কালি করে যৎসামান্য আয়ে সংসার চালাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন গঙ্গানগর গ্রামের রেপতি ঋষি। স্ত্রী সন্তান আর মা সহ ৭ জনের সংসারে ঠিকমতো দুবেলা খাবারের যোগান দিতে পারছেন না তিনি। সংসারে অভাব অভিযোগ লেগেই আছে ।
যতোক্ষণ কাজে থাকেন একটা ঘোরের মধ্যে সময় কেটে যায় রেবতির। বাড়িতে গেলেই শুরু হয় অনুযোগ আর অশান্তি। নিয়মিত পত্রিকা পড়েন জুতা সারাইয়ের ছোট্ট দোকানটিতে বসে। তাকে নিয়ে ভাবার কেউ নেই জানিয়ে তিনি বলেন তার মা যমুনাবালা ঋষি এতোদিন বয়স্ক ভাতা পেতেন কিন্তু তার বয়স ৬২ বছর হয়ে যাওয়ায় কয়েকমাস আগে নিয়মানুযায়ী ভাতা বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
একটা ভিজিডি কার্ডের ব্যবস্থা হলে অন্তত কিছুটা হলেও উপকার হতো।টিসিবির একটা কার্ড রয়েছে রেপতির।এটা তার খুব একটা কাজে আসছে না বলে জানান তিনি।
রেপতি ঋষির বাড়ি মাধবপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গঙানগর গ্রামে। বসতবাড়ির ১ শতাংশ জমি ছাড়া তার আর কোনো সহায় সম্বল নেই। সংসারে স্ত্রী,৪ মেয়ে আর মা সহ সদস্য রয়েছেন ৭ জন। বড় মেয়ে বিয়ের উপযুক্ত বয়সে পৌঁছালেও অর্থাভাবে বিয়ে দিতে পারছেন না। বাকিরাও প্রাথমিকের গন্ডি পার হতে পারেনি।সকাল সন্ধ্যা মাধবপুর বাসস্ট্যান্ড লাগা প্যাভমেন্টে বসে জুতা সারাই ও কালি (জুতা রং) র কাজ করেন রেপতি।সারাদিন খুব একটা কাজ জুটে না। অলস সময়ে বসে পত্রিকা পড়েন। পত্রিকা পড়া তার দীর্ঘদিনের অভ্যাস।
সকালে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে আসার পথেই পত্রিকা এজেন্টের কাছ থেকে একটা পত্রিকা নিয়ে আসেন রেপতি।খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়েন। ভালো খবরে উচ্ছসিত হন। মন্দ খবর পড়ে বিমর্ষ ও বিষাদগ্রস্ত হন। লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ থাকলেও অল্প বয়সে পিতৃহারা হয়ে আর পড়তে পারেন নি।রেপতি ঋষি জানান,দিনের শেষে যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চলে না। অসুখে বিসুখে মানুষের কাছে হাত পাততে হয়।ঋণ করতে হয়।ঋণ শোধ করতে গিয়ে সংসারের অনটন আরো বাড়ে।৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বকুল চন্দ্র ঋষি রেপতি ঋষির দূর্দশার কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, ‘রেপতিকে আমরা সাধ্য অনুযায়ী সহায়তা করতে চেষ্টা করি। তবে পৌরসভায় ভিজিডি কার্ড দেওয়ার সুযোগ নেই। ভবিষ্যতে সরকারীভাবে যদি কোন সুযোগ-সুবিধা আসে তার বিষয়টি খেয়াল রাখবো।
বার্তা প্রেরক
নাহিদ মিয়া
মাধবপুর হবিগঞ্জ প্রতিনিধি।
০১৭৫০-০০৪৬৭৫
০১৭৫২-১৮২৪৬৭