(হবিগঞ্জ) মাধবপুরে মাদক জঙ্গী ও নারী নির্যাতন যৌতুক বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নাহিদ মিয়া, মাধবপুর, (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:-
মাধবপুরে মাদক বিরোধী, জঙ্গী নির্মল, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও যৌতুক বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ধর্মঘর ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে পরিষদ মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ধর্মঘর যুবলীগের সভাপতি মো: মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক আহমেদ এর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মাধবপুর চুনারুঘাট (সার্কেল) এএসপি নির্মলেন্দু চক্রবর্তী।বিশেষ অথিতির বক্তব্য রাখেন-মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক,
ধর্মঘর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো: আলী আজগর, উপজেলা আ.লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রহম আলী, যুবলীগ সহ-সভাপতি হাজী আবু তাহের, পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো: আরিফ হোছাইন, ,
আ.লীগ নেতা গোলাম রসুল,ছাত্র-লীগ নেতা সুহেল মিয়া, ইউপি সদস্য আশেকুর রহমান মামুন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রোকেয়া তৌহিদ প্রমুখ।
বার্তা প্রেরক
নাহিদ মিয়া
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:
০১৭৫১-৮২৪৬৭
আগুনে পুড়লো ৫টি দোকানে গোদাম ঘর, প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
রনি মিয়া, স্টাফ রিপোর্টারঃ
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের প্রাণকেন্দ্র পৌর পয়েন্টএ টিএনটি রোডে মিক্সফোড এর পিছনে থাকা প্রায় পাঁচটি দোকানে গোদাম সহ আশে পাশে দোকানে আগুনে পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস সহ স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ী প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন এর মধ্যে প্রায় কোটি টাকা মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
স্থানীয় জানান, বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) ১১টা ৩০ মিনিটের সময় জয় গোপালের লেপ তোষক গোদাম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে ধিরে ধিরে পাশে থাকা প্রদীব দেবের তৈলের গোদাম, রাজু ইলেকট্রনিক এর গোদাম, রিয়া ট্রেডার্সের গোদাম, ওষুধের দোকান সহ আশে পাশের কয়েকটি দোকান ও গুদাম পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে জগন্নাথপুরের ফায়ার সার্ভিসেস সদস্যারা ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে নিয়ে প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।
খবর পেয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিদুর ইসলাম, থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা মধু সূধন ধর, উপজেলা বিদুৎ অফিসের উপ-প্রকৌশলী আবুল আজাদ পাভেল সহ আরো অনেক প্রশাসনের কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, জগন্নাথপুর বাজারে ৫টি গোদাম পুড়ে গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। ঘটনা শুরুতে পুলিশ সহ স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও পুড়ে দোকানগুলো টিনের হওয়ায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
সুনামগঞ্জ জেলার ফার্য়ার সার্ভিস উপ-পরিচারক তারেক আহমেদ ভুঁইয়া বলেন, আমরা আগুন লাগার সাথে সাথে প্রথমে একটি ইউনিট কাজ করে পরে আরো দুইটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। তিনি জানিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা না গেলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
সিলেটের গোয়াইনঘাটে অবৈধ যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়ার নৈরাজ্য চলছে।
মিজানুর রহমান, (লাভলু), সিলেটঃ
গোয়াইনঘাটে রাস্তা ভাঙ্গার অজুহাতে যানবাহনের ভাড়া বাড়ে, রাস্তা ভালো হলে ভাড়া আর কমে না।যাত্রীরা জিম্মী,শিক্ষার্থীরা উদ্বিগ্ন। যত্রতত্র ষ্টেশন নেই কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ। গোয়াইনঘাটের বিভিন্ন সড়কে অবৈধ যানবাহন অদক্ষ চালক দিয়ে যাত্রী পরিবহনে দীর্ঘদিন থেকে আদায় হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া,যাত্রীরা জিম্মী, শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনের ক্লাসে উপস্থিত হতে হচ্ছে বাধাগ্রস্ত।যানবাহনের নিদৃষ্ট ষ্টেশন থাকা সত্বেও উপজেলা সদরে বিভিন্ন প্রশাসনিক অফিসের সামনে দেড় থেকে দু’শ মিটারের মধ্যে একাধীক অবৈধ
অটোবাইক ষ্টেশন গড়ে তুলা হয়েছে, ফলে বাজারে আসা লোজজনের যাতায়াতে এবং অফিস আদালতে সেবা গ্রহনে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় প্রতিদিনের জনসাধারনের।সাবরেজিস্টার অফিস, সহকারী কমিশনারভূমি,ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনে অটোবাইকের দীর্ঘ লাইন থাকায় সেবা গ্রনহকারী নারী পুরুষ প্রতিদিনই বিরক্তিকর অবস্হায় পড়তে হয়,বাজার ও প্রশাসনিক সড়কে সৃষ্টি হয় যানজট।গুরুত্বপূর্ণ কাজে প্রশাসন, পুলিশের গাড়ি চলাচলে বিঘ্ন ঘটলেও নেয়া হচ্ছেনা কোন ব্যবস্থা। অবৈধ যানবাহন অদক্ষ কিশোর চালক দিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন হলেও পড়ছেনা সংশ্লিষ্টদের নজরে,বাড়ছে দূর্ঘটনার ঝুঁকি। গোয়াইনঘাটের পিরিজপুর সোনারহাট, রাধানগর গোয়াইনঘাট, গোয়াইনঘাট হাদারপার রাস্তায় পূর্বের চেয়ে ৩/৪ গুন বেশী ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
গোয়াইনঘাট থেকে হাদারপার ৬০ টাকা,আহারকান্দি৩০, মাতুরতল ৪০, রাধানগর বাজার মাত্র ৬ কিঃ মিঃ রাস্তায় সিএনজি ভাড়া দিতে হচ্চে ৩০টাকা। গোয়াইনঘাট টু তোয়াকুল ৫০, তোয়াকুল থেকে সালুটিকর ৩০ টাকা রাস্তা ভাংগার অজুহাতে বাড়া বাড়ানো হলেও অধিকাংশ রাস্তা মেরামতের পরও বর্ধিত ভাড়া আদায় হচ্ছে। অটোবাইক অবৈধ হলেও গোয়াইনঘাটের প্রশাসনিক অফিসের সামনা সড়ক,বাজারজুড়ে রয়েছে ষ্টেশন।
ঐ সকল যানবাহনে ৮জন যাত্রী ছাড়া গন্তব্যে ছুটেনা যেখানে ৪জন কোনমতে বসা যায়।আদায় হয় তাদের ইচ্চেমত ভাড়া। এলাকার শিক্ষার্থীরা যথাসময়ে স্কুল-কলেজে যেতে হলে ৮জন যাত্রীর অপক্ষায় ক্লাশের সময় পার করতে হয়। মুক্তি যোদ্ধা সিরাজ উদ্দিন ও ছাতার গ্রামের আঃ ছালাম বলেন অটোবাইকে এখন রাস্তা ভাল হওয়ার পরও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে, রয়েছে জীবনের ঝুকিও, এ ছাড়া প্রতিদিন শিক্ষা প্রতিষ্টানে শিক্ষার্থী আসা যাওয়ার ব্যয় মেটানো কষ্টকর হচ্ছে।যাত্রীরা বলেন অটো বাইকে ৮ জন যাত্রী বসা যায়না, সেখানে স্কুল কলেজের মহিলা শিক্ষার্থীরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। মিশুক নিয়ে ২জন যাত্রী যাতায়াত করার কথা থাকলেও ৫ জনের ভাড়া দিতে হয়। গোয়াইনঘাটে যাতায়াতে যাত্রীসাধারণ অবৈধ চালক যানবাহনের জিম্মীদশায় থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিরব রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকাবাসী যাত্রীসাধারনের প্রত্যাশা যাতায়াতে যানবাহনে ঝুকি, অতিরিক্ত ভাড়া থেকে পরিত্রানের ব্যবস্থা গ্রহনে কতৃপক্ষ আন্তরিক হবেন ।