মো. আরিফুল ইসলাম মুরাদ নেএকোনা,
বর্ষা মৌসুম শেষে শুষ্ক মৌসুম আসতে না আসতেই মাটি খেকোদের আনন্দের ফোয়ারা বইতে চলছে। হাওরের বুক ছিড়ে কেটে নেওয়া হচ্ছে মাটি। জমির টপসয়েল কেটে ট্রাকে করে বিক্রি করছে লোকালয়ে। ভেকুর থাবা সইতে না পেরে নিরবে আর্তনাত করছে হাওর। কেউ যেনো দেখার নেই! এ যেনো মগের মুল্লুক!
বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সময় ভেকু ও মাটি ব্যবসায়ীদের দোহাই ছিলো স্থানীয় সাংসদ ও ক্ষমতাশীলদের। তাদের দাবি ছিলো ক্ষমতাসীন ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এ ব্যবসা করছেন।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের মুখে পতন হলো আওয়ামীলীগ সরকারের। ভাবনায় ছিলো সংস্কারের ছোঁয়া পড়বে প্রতিটি সেক্টরে, বন্ধ হবে তৃণমূল পর্যায়ের সকল অনিয়ম। কিন্তু না! তৃণমূল পর্যায়ে চলছেই অনিয়মের কান্ডকারখানা। তবে আগের ব্যক্তিরা কৌশলে সিটকে পড়লেও নতুন এক শ্রেণির প্রভাব ও ক্ষমতাসীলদের জন্ম হয়েছে। তাদের একাট্টা দাবি ওরা সতেরো বছর খেয়েছে, আমরাও খাবো। আগের খেকোরা আড়ালে থেকে নতুনদের অংশীদার করে প্রভাব খাটানোর এক অনিয়মের রাজত্ব সৃষ্টি করছে হাওরের বুকসহ কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন ফসলী মাঠে মাটি কাটার ক্ষেত্রে।
ভাবনায় ছিলো প্রশাসনের ব্যক্তিদের দায়িত্বশীলতার পরিধি ও ব্যবস্থা নেওয়ায় আগের চেয়ে নতুনত্ব আসবে। তৃণমূল পর্যায়ে ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার থাকলেও আগের মতোই তাদের নজরে
এখনো ধরা পড়েনা মাটি কাটার অনিয়ম!
সংবাদকর্মীদের এক শ্রেণির টিম বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করলে কিছু ক্ষেত্রে টনক নড়ে প্রশাসনের। আবার যারা খবর দেয় তাদের মধ্যে একটি শ্রেণি তৃণমূল পর্যায়ের কিছু খবর নিরবে গিলে ফেলে অবৈধ সুবিধা আদায়ের মাধ্যমে।
খবর পেয়ে কিছু জায়গায় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা শুনলেও প্রশাসনিক টিম চলে যাওয়ার পরপরই অলিখিত অনুমতি পাওয়ার মতো আবারো চলে মাটি কাটার কার্যক্রম।
আফসোস করে অনেককেই বলতে শুনা যায়, হাওর তোমার রক্ষা নেই কারন তুমি যে অবলা বাকহীন।