জামাল কাড়াল বরিশাল –
“হেযবুত তওহীদের বিভাগীয় আমির সম্মেলন-২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে”
১১ই নভেম্বর, ২০২২ রোজ শুক্রবার সকাল ১১ টায় হেযবুত তওহীদের বরিশাল বিভাগীয় হলরুমে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল ‘আসন্ন দুর্ভিক্ষ ও রাজনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলায় করণীয়’ এবং “সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে যোগ্য নেতৃত্ব সৃষ্টির বিকল্প নেই” বরিশাল বিভাগীয় দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবদুল আমিন এর সঞ্চালনায় হেযবুত তওহীদের বিভাগীয় আমির জনাব মোঃ আল আমিন সবুজ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিভাগীয় এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে প্রত্যেক জেলা থেকে আসা হেযবুত তওহীদের জেলা-উপজেলা- ইউনিট পর্যায়ের আমির, অতিথি ও ডেলিগেটরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এবারের সম্মেলনটি সবদিক দিয়েই ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী অস্থিরতা, ক্রমাগত অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের এমন এক সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে হেযবুত তওহীদের বক্তব্য জাতির সামনে তুলে ধরা হয়।
হেযবুত তওহীদের বিভাগীয় আমির জনাব মোঃ আল আমিন সবুজ প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ইসলামের প্রকৃত আদর্শ বুকে ধারণ করে ও এমামুযযামানের প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে বর্তমান বিশ্বব্যবস্থাকে নেতৃত্ব দেওয়ার গুণাবলি অজর্ন করতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্ব একটি ব্যর্থ বিশ্বব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে। রাজনৈতিক সঙ্কট, সামাজিক অস্থিরতা, রাষ্ট্রীয় দ্বন্দ্ব, ধর্মীয় উন্মাদনা, জঙ্গিবাদ, পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক সিস্টেম ও সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের দুর্নীতির ফলে এই সভ্যতা এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। মানুষ এই সভ্যতা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। নতুন সভ্যতার আগমন অবশ্যম্ভাবী। তাই এখন থেকে আমাদের নতুন সভ্যতায় নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমানের বিকৃত ইসলামের ধারক-বাহকরা মুসলিম জাতির নেতৃত্ব দিতে অক্ষম। হেযবুত তওহীদের কর্মীদেরই এই দায়িত্ব নিতে হবে। এরজন্য ৫ দফা কর্মসূচির উপর নিজেদের চরিত্র গঠন করতে হবে। অনুষ্ঠানের দুপুরের খাবার বিরতির পরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমাম জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম সকলের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন ।
এছাড়াও সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন হেযবুত তওহীদের বরিশাল জেলা সভাপতি মোঃ কবির মৃধা, বরিশাল মহানগরের সভাপতি নুর মোহাম্মদ আরিফ, পটুয়াখালী জেলা সভাপতি সাইফুর রহমান সাইফ, ভোলা জেলা সভাপতি মোঃ লোকমান হোসেন, শরীয়তপুর জেলা সভাপতি মোঃ বায়েজিদ মালত, মাদারীপুর জেলা সভাপতি মোঃ নূরনবী মাতুব্বর, গোপালগঞ্জ জেলা সভাপতি আরিফ মোঃ আলী আহসান, ফরিদপুর জেলা সভাপতি মোঃ মাহবুবুল আলম (নিক্কন) , হেযবুত তওহীদের বরিশাল বিভাগীয় নারী সম্পাদক আসমা আক্তার, বিভাগীয় সহকারি নারী সম্পাদক মরিয়ম আক্তার বিউটি,বরিশাল জেলা নারী সম্পাদক খাদিজা রহমান মুন্নি , ভোলা জেলা নারী সম্পাদক তাহমিনা আক্তার রুমি, মাদারীপুর জেলা নারী সম্পাদক নিলুফা ইয়াসমিন, ফরিদপুর জেলা নারী সম্পাদক সুস্মিতা জামান প্রমুখ।
বরিশাল নগরী বাজারে বেড়েছে চাল, পেইজ, চিনি ও বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম বৃদ্ধি।
যা গত সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে মোটা চাল কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে। তাছাড়া নগরী রুপাতলী বাজারে বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম অতিরিক্ত নেওয়া হচ্ছে যা অন্যন্য বাজারের তুলনামূলক থেকেও বেশি, এমন অভিযোগ পাওয়া যায় ক্রাতাদের কাজ থেকে। এতে বিপাকে পরেছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ। রুপাতলী বাজারে পূন্য কিনতে আসা রিকশাচালক মোঃ রেজাউল বলেন দিন দিন এই বাজারে যেন কোন কিছু কিনতে আসলে আমাদের মত গরীব মানুষের কাজ থেকে অতিরিক্ত নিত্যপুন্যরে দাম বেশি নিচ্ছে, আমি অন্যন্য বাজারে থেকে পুণ্য কিনি কিন্তু এই রুপাতলী বাজারের মত কোথাও দেখি নাই।
শনিবার (১২) নবেম্বর সকালে কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে।
নগরীর রুপাতলী সহ পোর্টরোড সবজি বাজার, মানভেদে প্রতি কেজি ফুলকপি ৬০ টাকা, বেগুন ৮০, টমেটো ১৬০, ধনেপাতা ২৫০, মুলা ৬০, কাঁচামরিচ ৮০, বাঁধাকপি ৬০, বরবটি ৮০, গাজর ১৬০, শসা ৪০, পেঁপে ৪০, করলা ৮০, পটল ৬০ মিষ্টি কুমড়া ৪০, ঢ্যাঁড়শ ৫০, চিচিঙ্গা ৫০, চাল কুমড়া ৪০ ও কাঁকরোল ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু সপ্তাহ দুয়েক আগেও মানভেদে প্রতি কেজি ফুলকপি ৫০ টাকা, টমেটো ১৫০, ধনেপাতা ২০০, মুলা ৪০, কাঁচামরিচ ৫০, গাজর ১৫০, শসা ৬০, করলা ৬০ ও কাঁকরোল ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
খুচরা বাজারে আদা (চায়না) কেজি প্রতি ২১০-২২০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। সপ্তাহ দুয়েক আগেও যা ১৪০-১৫০ টাকা ছিল বলে জানান বিক্রেতারা। দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। খোলা চিনি ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেট আটা ৫৮ টাকা ও প্যাকেট ময়দা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি দেশি রসুন ১৬০ টাকা ও চায়না রসুন ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা দানার মসুর ডাল ১১০ টাকা এবং ছোট দানার মসুর ডাল ১২৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আলুর কেজি ৩০ টাকা।
পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা এবং ভারতের পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়।
এদিকে, খুচরা বাজারে বেড়েছে মোটা চালের দাম। কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা বেড়ে বিআর-২৮ চাল এখন ৬০ -৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরু চালের দাম একই আছে। প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৭০-৭৩ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।