৩ ফসলী জমিতে কোন প্রকল্প নয় খুলনার পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন।
শেখ খায়রুল ইসলাম পাইকগাছা খুলনা প্রতিনিধি:-
খুলনার পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিরোধ এবং মাদক নির্মুল বিষয়ক মতবিনিময় সভা বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে।উক্ত সভায় প্রধান অতিথির ছিলেন খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন।প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন দেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই আমরা সবাই স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছি।কিন্তু জাতি হিসেবে আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে তাদের কাছে চির ঋণী,যে ঋণ শোধ হবার নয়।প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে,তবে সমাজে শান্তি,শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক মানবিকভাবে আমাদের উন্নত হতে হবে।ন্যায় ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে বলেন,স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বহুমুখী শিক্ষা গ্রহণ,সোস্যাল মিডিয়া পরিমিত ব্যবহার এবং স্মার্ট ফোন যতটা সম্ভব ব্যবহার কম করতে হবে।প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার সহ নারীদের জন্য আলাদা ওয়াশ রুম স্থাপন,এলাকার ঐতিহ্য সংরক্ষণ,৩ ফসলী জমিতে কোন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ না করা এবং কোন জমি যাতে পতিত না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানান।উন্নয়ন ও অগ্রগতি যাতে ব্যাহত না হয় সে জন্য বৈশিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকারি ব্যয়ে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান।উক্ত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন,মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, সহকারী কমিশনার আরাফাত হোসেন, সহকারী কমিশনার মুনতাসির হাসান খান,ওসি জিয়াউর রহমান,সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিপিকা ঢালী,ইউপি চেয়ারম্যান কেএম আরিফুজ্জামান তুহিন,অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ,রিপন কুমার মন্ডল,কাজল কান্তি বিশ্বাস,কওছার আলী জোয়াদ্দার,জিএম আব্দুস সালাম কেরু,আব্দুল মান্নান গাজী, শাহজাদা আবু ইলিয়াস,শেখ জিয়াদুল ইসলাম,অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডল সহ আরও অনেকে।সভায় সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা,প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।জেলা প্রশাসক এছাড়াও পৌরসভা ও অরন্য পাইকগাছা আয়োজিত ১৩ দিন ব্যাপি একুশে বই মেলার উদ্বোধন,পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরদের সাথে মতবিনিময়, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময় ও আর্থিক সহায়তা প্রদান,চতুর্দশ খুলনা জেলা রোভার মুট কার্যক্রম,হরিঢালী ইউনিয়নে তৃতীয় পর্যায়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ ও কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির পরিদর্শন করেন।
অশুভ শক্তিকে মোকাবেলা করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এগিয়ে যেতে হবে- দাকোপের সম্মেলনে বাহাউদ্দিন নাছিম।
মোঃ শামীম হোসেন- খুলনা –
উন্নয়ন ও গনতন্ত্রের পথ হারা বাংলাদেশকে দক্ষ নেতৃত্ব দিয়ে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল আতœ মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে এ কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলছেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার সরকার গ্রামকে করেছে শহর। এ সরকার বিভিন্ন ধরনের ভাতার আওতায় এনে এ দেশের হতদরিদ্র মানুষদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও পদ্মা সেতু মেট্রো রেলের মত মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়নের সাহস একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার পক্ষে দেখানো সম্ভব হয়েছে। দেশের এই অগ্রযাত্রা উন্নয়ন দেখে জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি জামায়াত জোটের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা এখন যে কোন মূল্যে ক্ষমতায় যেতে দেশ বিরোধী নানা ষড়যন্ত্র করছে। তাদেরকে আর সেই সুযোগ দেওয়া হবেনা। সকল ষড়যন্ত্র আর অশুভ শক্তিকে মোকাবেলা করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। ১৬ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার খুলনার দাকোপ উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। স্থানীয় মোহাম্মদ আলী স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি , জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশিদ। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব শেখ আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বিনয় কৃষ্ণ রায় ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পঞ্চানন মন্ডলের যৌথ পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলন অনেক বেশী গুরুত্ব বহন করে। শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এবং দেশ বিরোধী সকল চক্রান্ত নস্যাৎ করতে শক্তিশালী সুশৃংক্ষল সংগঠনের কোন বিকল্প নেই। আমরা এক এবং অভিন্ন শেখ হাসিনার অনুসারী। আমাদের মনে রাখতে হবে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশ এগিয়ে যাবে আমরা ভাল থাকবো। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বলেন আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ফজরের নামাজ পড়ে দেশের কাজে আত্ম নিয়োগ করেন আর গভীর রাত পর্যন্ত সেই ধারা অব্যহত রাখেন। তিনি অসংখ্যবার সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েও জীবনের ঝুকি নিয়ে দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নের ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে আমাদের তেমনি দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দলকে সুসংগঠিত করতে হবে। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন জাতীয় সংসদের হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস এমপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এ্যাডঃ আমিরুল আলম মিলন এমপি, কেন্দ্রীয় নেত্রী ও জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত সংসদ সদস্য এ্যাডঃ গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এমপি, কেন্দ্রীয়নেতা নির্মল কুমার চ্যাটার্জি।
প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ সুজিত অধিকারী। বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা আওয়ামীলীগনেতা এ্যাডঃ সোহরাব আলী সানা, এ্যাডঃ কাজী বাদশা মিয়া, এ্যাডঃ নিমাই চন্দ্র রায়, মোঃ সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, কামরুজ্জামান জামাল, এ্যাডঃ ফরিদ আহমেদ, সরদার আবু সালেহ, এস এম খালেদীন রশিদী সুকর্ন, জোবায়ের আহমেদ খান জবা, এ্যাডঃ নবকুমার চক্রবর্তী, কাজী শামিম আহমেদ, মোল্যা মোজাফ্ফার হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার প্রেম কুমার মন্ডল, শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল, সাবেক এমপি ননী গোপাল মন্ডল, উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম খান, খায়রুল আলম, শ্রী নান্টু রায়, রবার্ট নিক্সন ঘোষ, আজগর বিশ্বাস তারা, ফারহানা হালিম, জামিল খান, শিউলী সরোয়ার, এস এম শফিকুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সভাপতি চৌধুরী রায়হান ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিঃ মাহফুজুর রহমান সোহাগ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শেখ মোঃ আবু হানিফ, সাধারণ সম্পাদক এম এম আজিজুর রহমান রাসেল, জেলা আ’লীগের মহিলা লীগনেত্রী হোসনে আরা চম্পা, নাজনিন নাহার কনা, শেখ রেজাউল করিম রেজা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেনসহ দাকোপ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।
এর আগে সম্মেলনের শুরুতে অতিথিবৃন্দ জাতীয় এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর বেলুন ও শান্তির প্রতিক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। সকাল ১০ টায় সম্মেলন শুরু হয়। তার আগে উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভা থেকে রং বেরঙের ব্যানার ফেস্টুন ও টি শার্ট পরে বর্ণাঢ্য মিছিল সহকারে নেতাকর্মিরা সম্মেলনস্থলে জড়ো হয়। দীর্ঘ ১০ বছর পর ক্ষমতাসীনদলের এই সম্মেলনকে ঘিরে চালনা পৌর এলাকা উৎসবের শহরে পরিনত হয়। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিভেশনে সভাপতি পদে ৩ জন সাধারণ সম্পাদক পদে ৬ জন প্রার্থী হয়। এর মধ্যে সভাপতি পদে সমঝোতার ভিত্তিতে এবং সাধারণ সম্পাদক পদে সমঝোতা না হওয়ায় কাউন্সিলরদের সমর্থনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নির্বাচন করেন। সব শেষে প্রধান অতিথি আলহাজ্ব শেখ আবুল হোসেনকে সভাপতি ও শেখ যুবরাজকে সিনিয়র সহ- সভাপতি এবং বিনয় কৃষ্ণ রায়কে সাধারণ সম্পাদক এছাড়া ১ নং সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য ননী গোপাল মন্ডল ২ নং সদস্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনসুর আলী খানের নাম ঘোষনা করে কমিটি ঘোষনা করেন।