পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি :
রাজনৈতিক দৃষ্টি কোন দিয়ে স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে সমুদয়কাঠী ইউনিয়নের সেহাঙ্গল গ্রামের সুপরিচিত সর্বত্র। দলমত নির্বিশেষে সকলের সুনজরে ছিল সেহাঙ্গল গ্রাম। বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের অবস্থান তৈরী হয়েছে এ গ্রামে । বহু জ্ঞানী গুনীজনরা বসবাস করতেন ঐতিহ্য বাহী সেহাঙ্গল গ্রামে। অথচ এতকিছুর পরেও নানান কায়দায় অপরাধ মূলক কাজ কর্ম করে বিগত সময় থেকে বদনাম ছড়াচ্ছে একটি পক্ষ। ছাগলচুরি,গরু চুরি, মহিষ চুরি সহ সব ধরনের অপকর্মে লিপ্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে নেশ কয়েক বছর ধরে । অবশ্য বাদ যায়নি গত পরশুর সুপরি চুরির ঘটনাও। গত মাসের বণ্যার রাতেও সুপরী চুরির ঘটনা ঘটে। বণ্যার রাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে বাঁচা মরার লড়াই হয়। অথচ সেহাঙ্গল গ্রামে চলে সুপারি চুরির হিড়িক। সেহাঙ্গল বাজার সংলগ্ন রেটম সহিদের ছেলে মুবিন হাওলাদার (২২) বণ্যাকে উপেক্ষা করে ১৫ বস্তা সুপারি চুরির ঘটনা ঘটান। যার বাজার মূল্য প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকার মত।বিগত সময়েও নানান কায়দায় অপরাধ মূলক কাজ কর্ম বিতর্কিত ছিল। সর্বশেষ সুপারি চুরির অভিযোগ উঠেছে মুবিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে । স্থানীয় চেয়ারম্যান সহ এলাকায় গণ্য মান্য লোকজন পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে ঘটনার পর পরই । চুরির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয় সেহাঙ্গল এলাকার মধ্যে । পরবর্তী সময়ে এলাকার সুশীল সমাজের লোকজন সহ স্থানীয় চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ুন বেপারী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সোহেল পারভেজ সহ বহু শীর্ষ নেতৃবৃন্দ গ্রাম্য শালিশী বৈঠকে বসেন চুরির ঘটনা নিয়ে। আইনের শাসনকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বেআইনী ভাবে বিচারের আসর বসে।অবশ্য চুরি করার অপরাধের জন্য সর্বসম্মতিক্রমে ৫০ জুতা পিটা সহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।কিন্তু শালিশী বৈঠকে চোর চক্রের সদস্য হাজির হয়নি সুকৌশলে। অথচ মনগড়া শালিশীর গরম হাওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও সুপরি চুরির ঘটনা ঘটে। অবশ্য এবারের চুরির ঘটনা একটু ব্যাতিক্রমই বটে । সেহাঙ্গল এলাকার বিচারপতির বাগানের সুপরি চুরির ঘটনা ঘটে মাত্র দুইদিন আগের। অবশ্য বাদীর পরিবারের জোরালো ভূমিকায় চুরির ঘটনার পর পরই চোর চক্রের সদস্যরা গ্রেফতার হয়। উপর মহলের চাপে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা মুহুর্তের মধ্যে পাথুলিপাড়ার রব মিয়ার ছেলে মোঃ ফেরদৌস ও রুহুল লালের ছেলে রমজানকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে শ্রীঘরে আছেন । এ ব্যাপারে সুশীল সমাজের লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন পূর্বের চুরির বিচার করে এলাকার চেয়ারম্যান আর এবারের চুরির বিচার হবে আইনের ধারায়। “বিচিত্র চিন্তা ভাবনা আর বিচিত্র সেলুকাস”। আর সেই কারণে সেহাঙ্গল এলাকার বদনাম ছড়াচ্ছে বিভিন্ন কাজকর্ম দিয়ে। চুরি চোট্টামি সহ নানান অপরাধ মূলক ঘটনার বিষয় মুহুর্তের মধ্যে ধামাচাপা দেওয়ার বহু নজির স্থাপন করে । আইনের ধারায় বিচার না হওয়ায় অপারাধী চক্র অপরাধ করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। বহুদিন পর সুপারি চুরির সদস্যরা আইনের কাঠগড়ায়। অথচ পূর্বের সুপরি চুরির নায়ক মাত্র ৫০ হাজার টাকা দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে স্থানীয় শালিশী বৈঠককে কারণে। বিগত সময়ে গরু, মহিষ ছাগল চুরির বিষয় গুলো সুকৌশলে ধামাচাপা দেওয়ার বিস্তার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে কথা হয় এলাকার চেয়ারম্যান সহ বহু শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে। গণ মাধ্যম কর্মীদের সঠিক প্রশ্নের জবাব দিতে সক্ষম হয়নি। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুখোড় জনপ্রিয় অফিসার আবির মোঃ হোসেন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া দরকার সকলের। চুরি ডাকাতি কিংবা নারী ঘটিত ঘটনা নিয়ে স্থানীয় ভাবে বিচার করা ঠিক নয়। বরং আইনের ধারায় কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার। তাহলে এলাকায় অপরাধীরা সব সময় আতঙ্কে দিন কাটায়। তাতে স্ব স্ব এলাকায় অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডের ঘটনা হ্রাস পায়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এলাকার সুশীল সমাজের লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের জ্ঞাতার্থে বলেন, ” চুরি, ডাকাতি সহ যাবতীয় অপরাধ মূলক কাজ কর্মের জন্য কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার “। গ্রাম্য শালিশি বৈঠকে এক ধরনের প্রহসনের বিচার হয়। বিশেষ করে আমাদের সেহাঙ্গল মধ্যে।