Dhaka ০৫:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাগাড়ে পরিণত স্বাস্থ্য বিভাগের পুকুর

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৫৯:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩
  • ৯৩ Time View
মোঃ যুবরাজ মৃধা পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে পটুয়াখালী স্বাস্থ্য বিভাগের পুকুরটি। প্রতিনিয়ত ময়লা-আবর্জনা ফেলায় আশপাশের মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। পথচারীদেরও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, দেখতে খেলার মাঠ মনে হলেও এটি আসলে একটি পুকুর। এক দশকর আগেও পটুয়াখালী বাইতুল আমান সড়কের এ পুকুরের পানি ব্যবহার করা হতো। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় পুকুরটি ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
শাহিন মিয়া নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ছোটবেলায় এ পুকুরে গোসল করতাম। রান্নার কাজেও ব্যবহার হতো এ পানি। এখন পুকুরটি আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে। আগে পৌরসভা পুকুরটি পরিষ্কার করলেও এখন সেটি করছে না।
তৌহিদুর রহমান নামের আরেকজন বলেন, পুকুরটি স্বাস্থ্য বিভাগের হলেও এটি অস্বাস্থ্যকর। সারা বছর আবর্জনায় মশা-মাছির জন্ম হচ্ছে। পানি আর জিনিসপত্র পচে দুর্গন্ধে বসবাসের কোনো উপায় নেই।
পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. এস এম কবির হাসান জানান, কিভাবে পুকুরটি সংস্কার করে ব্যবহার উপযোগী করা যায় সেজন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পুকুরের সীমানা নির্ধারণের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে।
পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ জানান, পৌরসভা শহরের জলাধারগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নিলেও সরকারের অন্যান্য সংস্থার সহযোগিতা না পাওয়ায় সেটি সম্ভব হচ্ছে না। এবিষয়ে সবার সহযোগিতা পেলে সিভিল সার্জন কার্যালয় সংলগ্ন পুকুরটিকে দৃষ্টিনন্দন করার পাশাপাশি এর পানি ব্যবহার উপযোগী করা হবে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

ভাগাড়ে পরিণত স্বাস্থ্য বিভাগের পুকুর

Update Time : ১১:৫৯:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩
মোঃ যুবরাজ মৃধা পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে পটুয়াখালী স্বাস্থ্য বিভাগের পুকুরটি। প্রতিনিয়ত ময়লা-আবর্জনা ফেলায় আশপাশের মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। পথচারীদেরও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, দেখতে খেলার মাঠ মনে হলেও এটি আসলে একটি পুকুর। এক দশকর আগেও পটুয়াখালী বাইতুল আমান সড়কের এ পুকুরের পানি ব্যবহার করা হতো। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় পুকুরটি ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
শাহিন মিয়া নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ছোটবেলায় এ পুকুরে গোসল করতাম। রান্নার কাজেও ব্যবহার হতো এ পানি। এখন পুকুরটি আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে। আগে পৌরসভা পুকুরটি পরিষ্কার করলেও এখন সেটি করছে না।
তৌহিদুর রহমান নামের আরেকজন বলেন, পুকুরটি স্বাস্থ্য বিভাগের হলেও এটি অস্বাস্থ্যকর। সারা বছর আবর্জনায় মশা-মাছির জন্ম হচ্ছে। পানি আর জিনিসপত্র পচে দুর্গন্ধে বসবাসের কোনো উপায় নেই।
পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. এস এম কবির হাসান জানান, কিভাবে পুকুরটি সংস্কার করে ব্যবহার উপযোগী করা যায় সেজন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পুকুরের সীমানা নির্ধারণের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে।
পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ জানান, পৌরসভা শহরের জলাধারগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নিলেও সরকারের অন্যান্য সংস্থার সহযোগিতা না পাওয়ায় সেটি সম্ভব হচ্ছে না। এবিষয়ে সবার সহযোগিতা পেলে সিভিল সার্জন কার্যালয় সংলগ্ন পুকুরটিকে দৃষ্টিনন্দন করার পাশাপাশি এর পানি ব্যবহার উপযোগী করা হবে।