চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়(চবি) কোটা আন্দোলন সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফীকে ট্রেন থেকে টেনে হিচরে বের করে নিয়ে আসেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা রাফীকে চবি প্রক্টরের রুমে আটকে রাখে। এ সময় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে দেখা যায়।আন্দোলনকারী বেশ কয়েকজন মেয়ে অভিযোগ করেন,ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের গায়ে হাত দিয়েছে ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে।
ঝামেলার এক পর্যায়ে সমন্বয়ক রাফীকে মারার জন্য এগেয়ে আসে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা,পরে চবি প্রক্টর রাফীকে আবার প্রক্টর রুমে নিয়ে যায়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের(চবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং(সিএসই) বিভাগের এক শিক্ষার্থীর মাথা ফেটে যায়। ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের এলোপাতাড়ি আঘাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে।
বিকেল চারটার দিকে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা প্রক্টর কার্যালয় ঘেরাও করেন। ওই কার্যালয়ে তখন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একাংশ অবস্থান করছিলেন। ঘেরাও করে তখন তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন। এদিকে ছাত্রলীগ ও পাল্টা স্লোগান দিচ্ছিল।
চবি ছাত্রলীগের নেতা আহসান হাবীব সোপান বলেন গতকাল যখন সার্বজনীনভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে তখন একটি পক্ষ হঠাৎ করে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বাজে স্লোগান দিতে থাকে, তখন প্রথমে তাদের ভিতর দ্বিধাবিভক্ত হয়ে নিজেরাই বাকবিতন্ডায় জড়ায়, পরে যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছিল তখন ছাত্রলীগের ছেলেরা এসে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থানকারীদের সমর্থন দেয় ও ধাওয়া পাল্টা শুরু হয়। তার ধারাবাহিকতায় আজকে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রলীগ। রাজাকার দাবি করা কোন গর্বের বিষয় না। বাংলার মাটিতে রাজাকারের কোন স্থান হবে না, আমরা প্রস্তুত স্বাধীনতা বিরোধী সকল অপশক্তিকে মোকাবেলা করতে।
এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের(চবি) প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ অহিদুল আলম বলেন, -আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিষয়ে ইউজিসি থেকে একটি নির্দেশনা এসেছে। যাঁরা এ নির্দেশনা মানবে,আমি তাঁদের পক্ষে। আর হামলার বিষয়ে তাঁরা কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন।