Dhaka ০৬:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বটিয়াঘাটার চক্রাখালী এলাকায় যাতায়াতের জন্য রাস্তা না দেওয়ার অভিযোগ

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:১৭:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪
  • ৮৩ Time View

আক্তারুল ইসলাম বটিয়াঘাটা খুলনা:

যাতায়াতের রাস্তা না দেওয়ার জন্য অভিযোগ উঠেছে খুলনা রেলওয়ে স্কুলে চাকুরিরত এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই ২০২৪),উপজেলার জলমা চক্রাখালী এলাকার বিধান সড়কস্থ বসবাসরত ৫০/৬০ টি পরিবার উক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, একই এলাকার বসবাসকারী জনৈকা রেলওয়ে স্কুলের চাকুরীরত এক শিক্ষিকা যাতায়াতের জন্য পানি নিষ্কাশন ও ড্রেনের জন্য এক থেকে দেড় ফুট রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু সে উক্ত জায়গা না ছেড়ে পাকা ভবন নির্মাণ করে চলেছে।
ফলে বর্ষা মৌসুমে ও বিভিন্ন দুর্ঘটনা কবলে পড়লে সেখান থেকে জরুরি সেবার জন্য কোন সরকারি বা বেসরকারি গাড়ি এমনকি অ্যাম্বুলেন্স ফায়ার সার্ভিস এর গাড়ি ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না।
যে কারণে উক্ত,সড়কের ভিতর কোন দুর্ঘটনা ঘটলে সেটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না। ফলে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি সহ বড় ধরনের ক্ষতি হবে উক্ত পরিবার গুলোর। স্থানীয়রা একাধিকবার তাকে ডেকে বিভিন্ন সালিশের মাধ্যমে জায়গা ছেড়ে ভবনির্মাণের কথা বললেও তাতে কোন কর্ণপাত করেন না তিনি। খুলনা মহানগরীর ২১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ও কাউন্সিলর প্রার্থী মিন্টুর বোন বলে পরিচয় দিয়ে তিনি এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
উক্ত সড়কে বসবাসকারী নাজমুল, নুর ইসলাম, হেমায়েত বলেন, এই শিক্ষিকা তার ভাইয়ের ক্ষমতাবলে এই পানি নিষ্কাশনের জায়গা না ছেড়ে এলাকাবাসীর সাথে বিরোধ সৃষ্টি করছে। যার ফলে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগী পরিবারবর্গ বলেন,যাতায়াতের রাস্তার জন্য আমরা সবাই এক থেকে দেড় ফুট যায়গা ছেড়ে দিয়েছি কিন্ত বিধান সড়কে ঢোকার বাম হাতের প্রথম প্লটের মালিক জনৈক রেলওয়ে স্কুলের শিক্ষিকা পানি নিষ্কাশনের জন্য যায়গা তো দেয়ই নি বরং রাস্তার যায়গা কিছুটা দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মান করে চলেছে। যার ফলে উক্ত সড়কে ফায়ার সার্ভিস বা এম্বুলেন্স সহ বিভিন্ন জরুরি সেবার জন্য গাড়ি ঢোকার কোন সুযোগ থাকছে না। এ ব্যাপারে স্থানীয় ভাবে একাধিক বার বসাবসি হলেও তিনি কোন শালিস মানেন নি।
এ বিষয়ে তার সাথে তার মুঠোফোন (০১৯০২৫১৭৬০০) এ যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি আমার যায়গায় কাজ করছি। আমি পানি নিষ্কাশনের জন্য কোন জায়গা দিতে পারবো না। বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগ পেয়েছি জনস্বার্থে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

বটিয়াঘাটার চক্রাখালী এলাকায় যাতায়াতের জন্য রাস্তা না দেওয়ার অভিযোগ

Update Time : ১১:১৭:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

আক্তারুল ইসলাম বটিয়াঘাটা খুলনা:

যাতায়াতের রাস্তা না দেওয়ার জন্য অভিযোগ উঠেছে খুলনা রেলওয়ে স্কুলে চাকুরিরত এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই ২০২৪),উপজেলার জলমা চক্রাখালী এলাকার বিধান সড়কস্থ বসবাসরত ৫০/৬০ টি পরিবার উক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, একই এলাকার বসবাসকারী জনৈকা রেলওয়ে স্কুলের চাকুরীরত এক শিক্ষিকা যাতায়াতের জন্য পানি নিষ্কাশন ও ড্রেনের জন্য এক থেকে দেড় ফুট রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু সে উক্ত জায়গা না ছেড়ে পাকা ভবন নির্মাণ করে চলেছে।
ফলে বর্ষা মৌসুমে ও বিভিন্ন দুর্ঘটনা কবলে পড়লে সেখান থেকে জরুরি সেবার জন্য কোন সরকারি বা বেসরকারি গাড়ি এমনকি অ্যাম্বুলেন্স ফায়ার সার্ভিস এর গাড়ি ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না।
যে কারণে উক্ত,সড়কের ভিতর কোন দুর্ঘটনা ঘটলে সেটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না। ফলে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি সহ বড় ধরনের ক্ষতি হবে উক্ত পরিবার গুলোর। স্থানীয়রা একাধিকবার তাকে ডেকে বিভিন্ন সালিশের মাধ্যমে জায়গা ছেড়ে ভবনির্মাণের কথা বললেও তাতে কোন কর্ণপাত করেন না তিনি। খুলনা মহানগরীর ২১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ও কাউন্সিলর প্রার্থী মিন্টুর বোন বলে পরিচয় দিয়ে তিনি এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
উক্ত সড়কে বসবাসকারী নাজমুল, নুর ইসলাম, হেমায়েত বলেন, এই শিক্ষিকা তার ভাইয়ের ক্ষমতাবলে এই পানি নিষ্কাশনের জায়গা না ছেড়ে এলাকাবাসীর সাথে বিরোধ সৃষ্টি করছে। যার ফলে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগী পরিবারবর্গ বলেন,যাতায়াতের রাস্তার জন্য আমরা সবাই এক থেকে দেড় ফুট যায়গা ছেড়ে দিয়েছি কিন্ত বিধান সড়কে ঢোকার বাম হাতের প্রথম প্লটের মালিক জনৈক রেলওয়ে স্কুলের শিক্ষিকা পানি নিষ্কাশনের জন্য যায়গা তো দেয়ই নি বরং রাস্তার যায়গা কিছুটা দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মান করে চলেছে। যার ফলে উক্ত সড়কে ফায়ার সার্ভিস বা এম্বুলেন্স সহ বিভিন্ন জরুরি সেবার জন্য গাড়ি ঢোকার কোন সুযোগ থাকছে না। এ ব্যাপারে স্থানীয় ভাবে একাধিক বার বসাবসি হলেও তিনি কোন শালিস মানেন নি।
এ বিষয়ে তার সাথে তার মুঠোফোন (০১৯০২৫১৭৬০০) এ যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি আমার যায়গায় কাজ করছি। আমি পানি নিষ্কাশনের জন্য কোন জায়গা দিতে পারবো না। বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগ পেয়েছি জনস্বার্থে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।