রাশেদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সারাদেশের ন্যায় বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে মেইন সড়কে যানযট নিরসন ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ঘরমুখী করতে স্বেচ্ছায় ট্রাফিক সেবা দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ রোভার সারিয়াকান্দি কলেজ এবং বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন সারিয়াকান্দির সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়কগণ।
অপর দিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে বাজার তদারকি করছে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন সারিয়াকান্দির আলাদা টিম।
বাজারে যথাযথ তদারকি না করার ফলে পণ্যের দাম প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে।
বিশেষ করে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে একের পর এক কারফিউ জারি এবং ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ ভোক্তা।
সারিয়াকান্দি উপজেলায় এবার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরাই বাজারগুলোতে বিকেল থেকে মনিটরিং শুরু করেছে। শিক্ষার্থীরা বলছে, তারা টিম গঠন করে মনিটরিং চালাচ্ছে, যাতে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম না বাড়াতে পারে।
শনিবার (১০ আগস্ট) উপজেলার পৌর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলু ৫৫-৬৫ টাকা, পেঁয়াজ ১০০-১৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, রসুন ২০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, শষা ৪০ টাকা, কচু ৬০ টাকা, আদা ২৬০-২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। ব্রয়লার মুরগি ১৫৫ টাকা, সোনালী ২৫০, লেয়ার ৩৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে আলু ৫৫ টাকা, পেঁয়াজ ১০০, আদা ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও সয়াবিন প্রতি লিটার ১৪৪-১৬৩ টাকা, প্রতি কেজি চিনি ১২৫ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১২৫ টাকা, জিরা ৭০০ টাকা, গরুর মাংস ৭০০ টাকা, ব্রয়লার ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারের ভোক্তা ও বিক্রেতারা শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, শিক্ষার্থীদের এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। তরুণ প্রজন্মের এই উদ্যোগ আমাদের ভবিষ্যতের জন্য আশার প্রদীপ।
এছাড়াও পরিচ্ছন্নতা অভিযান, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, মন্দির পাহাড়া দেওয়া এবং আজকের বাজার মনিটরিং কার্যক্রম দেখে আমারা বেশ আনন্দিত। আমরা এমন উদ্যোমী শিক্ষার্থীদের নিয়েই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই।
শিক্ষার্থীরা জানান, নতুন বাংলাদেশে বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা কাঁচাবাজার, মাছ বাজার, পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন পণ্যের মূল্য পর্যবেক্ষণ করছি।
সারিয়াকান্দি পৌর বাজারে মনিটরিং চালিয়ে পাইকারি এবং খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে দ্রব্যের দাম নিয়ে কথা বলার পর তারা আমাদের সীমিত মুনাফায় বিক্রি করার আশ্বস্ত করেছেন।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, মূল্য নির্ধারণ, মূল্য তালিকা প্রদর্শন এবং সিন্ডিকেট মোকাবিলায় তারা সদা তৎপর। এজন্য তারা ক্রেতাদের সতর্ক করছেন এবং ক্ষমতার প্রভাব দেখানোর চেষ্টা হলে শিক্ষার্থী, উপজেলা প্রশাসন এবং দায়িত্বরত সেনাবাহিনীকে জানাতে বলেছেন।