জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে শিরায় দেওয়া স্যালাইন ও প্যারাসিটামল ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে জ্বরসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
হাসপাতালে সূত্র জানায়, ২৫০ শয্যা এই হাসপাতালে প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৬০০ থেকে ৭০০ রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। হাসপাতালে ভর্তি থাকে ৫০০ থেকে ৬০০ রোগী। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা জানান, বেশির ভাগ ওষুধই বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। ডেঙ্গু চিকিৎসায় বেশি ব্যবহৃত উপকরণ স্যালাইনও হাসপাতাল থেকে দেওয়া হচ্ছে না।
রুবি আখতার নামের রোগীর এক স্বজন বলেন, পাঁচ দিন ধরে তারা হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সকাল-বিকেল চিকিৎসক এসে খোঁজ নিলেও যেদিন থেকে ভর্তি আছেন, সেদিন থেকে এখন পর্যন্ত বাইরে থেকে স্যালাইন কিনতে হচ্ছে।
লিমা ও রশিদা আকতার নামের দুই রোগী জানান, বাইরে থেকে বেশি দামে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। এ কারণে তাঁরা চিকিৎসা নিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা শাকিলা জাহান বলেন, কয়েক দিন ধরে তিনি জ্বরে ভুগছেন। মেডিসিন কনসালট্যান্ট হাবীব লিটন চিকিৎসাপত্র দিয়েছেন। সেই চিকিৎসাপত্র নিয়ে ওষুধ বিতরণ বিভাগে গিয়ে জানতে পারেন কয়েক দিন ধরে হাসপাতালে ওষুধ নেই। এ সময় সেখানে উপস্থিত সদর উপজেলার কহরপাড়া গ্রামের মামুনুর রশিদ বলেন, তিনিও প্যারাসিটামল না পেয়ে খালি হাতে ফিরছেন।
সংশ্লিষ্ট বিভাগের ফার্মাসিস্ট ফরহাদ হোসেন ওষুধ সংকটের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বেশ কয়েক দিন ধরে প্যারাসিটামলসহ অন্যান্য ওষুধের সরবরাহ নেই।
হাসপাতালের ওষুধ ভান্ডাররক্ষক মাহবুব হোসেন বলেন, চাহিদাপত্র নিয়ে ওষুধ আনতে তিনি বগুড়ায় গিয়েছেন।
চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় মাঝেমধ্যে ওষুধের সংকট দেখা দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার সিরাজুল ইসলাম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘হাসপাতালটি ২৫০ শয্যার হলেও এখানে তিন গুণ বেশি রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। স্যালাইন ও ওষুধের জন্য চাহিদাপত্র দিয়েছি। এটা পেলে সংকট কেটে যাবে।