Dhaka ১১:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আ’লীগকে গনহত্যাকারী সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ করতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে গণঅধিকার পরিষদের লিখিত প্রস্তাব

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৫৪:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪
  • ৮৮ Time View

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
০৫.১০.২০২৪

আ’লীগকে গনহত্যাকারী সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ করতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে গণঅধিকার পরিষদের লিখিত প্রস্তাব

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুসের সাথে গণঅধিকার পরিষদের প্রতিনিধি দলের বৈঠকে দলের পক্ষ থেকে ৮ দফা প্রস্তাবনা:
১. আ’লীগ এখন আর কোন রাজনৈতিক দলের ক্যাটাগরিতে পরেনা। আ’লীগ একটি গণহত্যাকারী সংগঠন, আর গণহত্যাকারী কোন সংগঠনের রাজনীতি করার এখতিয়ার নেই বিশ্বের কোথাও নেই। সুতরাং আ’লীগকে অবশ্যই নিষিদ্ধ করতে হবে।
২. অন্তর্বর্তী সরকারের পরিসর বৃদ্ধি করে রাজনৈতিকভাবে অভিজ্ঞ ও দেশ পরিচালনায় দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে ৫০ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ করতে হবে। এক্ষেত্রে বিগত ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলো থেকে আনুপাতিকহারে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
৩. সবগুলো মন্ত্রণালয়ের জন্য ৩/৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি পলিসি/পরামর্শক (সংসদীয় স্থায়ী কমিটির আদলে) কমিটি করতে হবে। এসব কমিটির প্রতিটিতে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয়া রাজনৈতিক দলগুলো থেকে প্রস্তাবিত সদস্য ১/২ জন, একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক এবং বিষয়ভিত্তিক এক্সপার্ট ১ জন থাকবে।
৪. জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন ভিত্তিক অভিযোগ বক্স সৃষ্টি করে জনগণের সমস্যা সনাক্ত করতে হবে, এসব সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
৫. আ’লীগের আমলে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত অফিসারের পদ থেকে অব্যহতি দিয়ে এসকল পদে দেশ-প্রেমিক ছাত্র-জনতাকে সচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়োগ দিতে হবে।
৬. রকিব কমিশন, হুদা কমিশন এবং আওয়াল কমিশনের আমলে হওয়া নির্বাচন সমুহ বাতিল করতে হবে। এই ৩ কমিশনের আমলে নেওয়া সকল সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
একইসাথে আগামী ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।

৭. প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে বিদেশী হাইকমিশন/ দূতাবাস/মিশনগুলোতে আলাদা হেল্পডেক্স স্থাপন করতে হবে যাতে করে প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে সময়ক্ষেপণ না হয়। একইসাথে অন্তর্বর্তী সরকারে একজন প্রবাসীদের মধ্য থেকে উপদেষ্টা নিয়োগ দিতে হবে।
৮. ইতোমধ্যে ৬ টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে কিন্তু এই কমিশনগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি নেওয়া হয়নি। প্রতিটি কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্য থেকে ২/৩ জন করে প্রতিনিধি নিতে হবে। একইসাথে গ্রহণযোগ্য প্রতিনিধিদের নিয়ে জাতীয় শিক্ষা সংস্থার কমিশন দ্রুত গঠন করতে হবে।

গণঅধিকার পরিষদের প্রতিনিধি দল:
১. ড. রেজা কিবরিয়া-উপদেষ্টা, গণঅধিকার পরিষদ
২. কর্নেল অবঃ মিয়া মশিউজ্জামান-আহবায়ক
৩. ফারুক হাসান-সদস্য সচিব
৪. ব্যরিস্টার জিসান মহসীন-উচ্চতর পরিষদের সদস্য
৫. সাদ্দাম হোসেন-উচ্চতর পরিষদের সদস্য
৬. এডভোকেট শিরিন আকতার-উচ্চতর পরিষদের সদস্য
৭. তারেক রহমান-যুগ্ম সদস্য সচিব

ফারুক হাসান
সদস্য সচিব
গণঅধিকার পরিষদ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

আ’লীগকে গনহত্যাকারী সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ করতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে গণঅধিকার পরিষদের লিখিত প্রস্তাব

Update Time : ০৯:৫৪:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
০৫.১০.২০২৪

আ’লীগকে গনহত্যাকারী সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ করতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে গণঅধিকার পরিষদের লিখিত প্রস্তাব

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুসের সাথে গণঅধিকার পরিষদের প্রতিনিধি দলের বৈঠকে দলের পক্ষ থেকে ৮ দফা প্রস্তাবনা:
১. আ’লীগ এখন আর কোন রাজনৈতিক দলের ক্যাটাগরিতে পরেনা। আ’লীগ একটি গণহত্যাকারী সংগঠন, আর গণহত্যাকারী কোন সংগঠনের রাজনীতি করার এখতিয়ার নেই বিশ্বের কোথাও নেই। সুতরাং আ’লীগকে অবশ্যই নিষিদ্ধ করতে হবে।
২. অন্তর্বর্তী সরকারের পরিসর বৃদ্ধি করে রাজনৈতিকভাবে অভিজ্ঞ ও দেশ পরিচালনায় দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে ৫০ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ করতে হবে। এক্ষেত্রে বিগত ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলো থেকে আনুপাতিকহারে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
৩. সবগুলো মন্ত্রণালয়ের জন্য ৩/৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি পলিসি/পরামর্শক (সংসদীয় স্থায়ী কমিটির আদলে) কমিটি করতে হবে। এসব কমিটির প্রতিটিতে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয়া রাজনৈতিক দলগুলো থেকে প্রস্তাবিত সদস্য ১/২ জন, একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক এবং বিষয়ভিত্তিক এক্সপার্ট ১ জন থাকবে।
৪. জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন ভিত্তিক অভিযোগ বক্স সৃষ্টি করে জনগণের সমস্যা সনাক্ত করতে হবে, এসব সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
৫. আ’লীগের আমলে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত অফিসারের পদ থেকে অব্যহতি দিয়ে এসকল পদে দেশ-প্রেমিক ছাত্র-জনতাকে সচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়োগ দিতে হবে।
৬. রকিব কমিশন, হুদা কমিশন এবং আওয়াল কমিশনের আমলে হওয়া নির্বাচন সমুহ বাতিল করতে হবে। এই ৩ কমিশনের আমলে নেওয়া সকল সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
একইসাথে আগামী ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।

৭. প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে বিদেশী হাইকমিশন/ দূতাবাস/মিশনগুলোতে আলাদা হেল্পডেক্স স্থাপন করতে হবে যাতে করে প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে সময়ক্ষেপণ না হয়। একইসাথে অন্তর্বর্তী সরকারে একজন প্রবাসীদের মধ্য থেকে উপদেষ্টা নিয়োগ দিতে হবে।
৮. ইতোমধ্যে ৬ টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে কিন্তু এই কমিশনগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি নেওয়া হয়নি। প্রতিটি কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্য থেকে ২/৩ জন করে প্রতিনিধি নিতে হবে। একইসাথে গ্রহণযোগ্য প্রতিনিধিদের নিয়ে জাতীয় শিক্ষা সংস্থার কমিশন দ্রুত গঠন করতে হবে।

গণঅধিকার পরিষদের প্রতিনিধি দল:
১. ড. রেজা কিবরিয়া-উপদেষ্টা, গণঅধিকার পরিষদ
২. কর্নেল অবঃ মিয়া মশিউজ্জামান-আহবায়ক
৩. ফারুক হাসান-সদস্য সচিব
৪. ব্যরিস্টার জিসান মহসীন-উচ্চতর পরিষদের সদস্য
৫. সাদ্দাম হোসেন-উচ্চতর পরিষদের সদস্য
৬. এডভোকেট শিরিন আকতার-উচ্চতর পরিষদের সদস্য
৭. তারেক রহমান-যুগ্ম সদস্য সচিব

ফারুক হাসান
সদস্য সচিব
গণঅধিকার পরিষদ