Dhaka ০৬:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জে ৪০ দিনের কর্মসূচি বহাল ও পূর্বের মাটিকাটার টাকা ফেরতের দাবীতে মানববন্ধন!

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৩৫:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
  • ৬৪ Time View

কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৩ নং নিতাই ইউনিয়নের ইজিপিপি প্রকল্পের অধীনে মাটিকাটা কাজ বহাল পূর্বক পূর্বের ৭০ জন শ্রমিকদের ৪০ দিনের জন প্রতি ১৬ হাজার টাকা করে ফেরতের দাবীতে মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান।

ইজিপিপি প্রকল্পটি সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন। বছরের কর্মহীন দুটি মৌসুমে অতিদরিদ্র গ্রামীণ বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে ইউপি। সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য হন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি।

জানা যায়, ইজিপিপি প্রকল্পে পুরাতন শ্রমিক বাদ দিয়ে ৬/৮ হাজার টাকা ঘুষের বিনিময়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা তাদের আত্নীয় – স্বজনদের নাম তালিকাভুক্ত করেছেন। তাদের দিয়ে চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা ব্যক্তিগত জমি জায়গার কাজে ব্যবহার। ইজিপিপি প্রকল্পে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা নিজস্ব ধন্যঢ্য ব্যক্তির নাম ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সহ তাদের নিয়োগ করা কিছু ভুয়া শ্রমিকদের নাম তালিকা হতে বাতিল করা, নিতাই ইউনিয়নের ৭০ জন অসহায় দুস্ত মজুরদের নাম তালিকায় বহাল রাখার দাবীতে মানববন্ধনে মোছাঃ নাজলী বেগম জানান, আনরা চাই, ইজিপিপি বাস্তবায়নে সব অনিয়ম দূর্ণীতির অবসান ঘটুক এবং অনিয়ম ও দূর্ণীতির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থার মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বিচার দাবী করেন।

জানা যায়, এই প্রকল্পের তালিকায় যাঁদের নাম আসছে, তাঁরা ইজিপিপি প্রকল্পের নীতিমালার যোগ্য নন। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের বিরুদ্ধে অর্থ নিয়ে তালিকা তৈরির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

যেখানে গ্রামাঞ্চলের একদম অতিদরিদ্র বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি এবং সেই কর্মসংস্থানের মাধ্যমে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন করাই হলো এই প্রকল্পের লক্ষ্য। কিন্তু এই প্রকল্পের তালিকা তৈরিতে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের দুর্নীতির কারণে এই প্রকল্পের লক্ষ্য ভেস্তে যাচ্ছে। তালিকায় নাম ওঠাতে অতিদরিদ্র ব্যক্তিরা সুদে বা ধারদেনা করে পরিষদ-সংশ্লিষ্টদের হাতে টাকা তুলে দিচ্ছেন—এমন খবরও পাওয়া যাচ্ছে। এতে প্রকৃত উপকারভোগীরা সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছেন। মানববন্ধনে ৭০ জন অসহায় হতদরিদ্রকে তালিকায় বহাল রেখে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বিচার দাবী করেন এবং সুষ্ঠু তদন্ত করে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

কিশোরগঞ্জে ৪০ দিনের কর্মসূচি বহাল ও পূর্বের মাটিকাটার টাকা ফেরতের দাবীতে মানববন্ধন!

Update Time : ০৭:৩৫:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৩ নং নিতাই ইউনিয়নের ইজিপিপি প্রকল্পের অধীনে মাটিকাটা কাজ বহাল পূর্বক পূর্বের ৭০ জন শ্রমিকদের ৪০ দিনের জন প্রতি ১৬ হাজার টাকা করে ফেরতের দাবীতে মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান।

ইজিপিপি প্রকল্পটি সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন। বছরের কর্মহীন দুটি মৌসুমে অতিদরিদ্র গ্রামীণ বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে ইউপি। সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য হন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি।

জানা যায়, ইজিপিপি প্রকল্পে পুরাতন শ্রমিক বাদ দিয়ে ৬/৮ হাজার টাকা ঘুষের বিনিময়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা তাদের আত্নীয় – স্বজনদের নাম তালিকাভুক্ত করেছেন। তাদের দিয়ে চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা ব্যক্তিগত জমি জায়গার কাজে ব্যবহার। ইজিপিপি প্রকল্পে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা নিজস্ব ধন্যঢ্য ব্যক্তির নাম ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সহ তাদের নিয়োগ করা কিছু ভুয়া শ্রমিকদের নাম তালিকা হতে বাতিল করা, নিতাই ইউনিয়নের ৭০ জন অসহায় দুস্ত মজুরদের নাম তালিকায় বহাল রাখার দাবীতে মানববন্ধনে মোছাঃ নাজলী বেগম জানান, আনরা চাই, ইজিপিপি বাস্তবায়নে সব অনিয়ম দূর্ণীতির অবসান ঘটুক এবং অনিয়ম ও দূর্ণীতির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থার মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বিচার দাবী করেন।

জানা যায়, এই প্রকল্পের তালিকায় যাঁদের নাম আসছে, তাঁরা ইজিপিপি প্রকল্পের নীতিমালার যোগ্য নন। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের বিরুদ্ধে অর্থ নিয়ে তালিকা তৈরির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

যেখানে গ্রামাঞ্চলের একদম অতিদরিদ্র বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি এবং সেই কর্মসংস্থানের মাধ্যমে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন করাই হলো এই প্রকল্পের লক্ষ্য। কিন্তু এই প্রকল্পের তালিকা তৈরিতে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের দুর্নীতির কারণে এই প্রকল্পের লক্ষ্য ভেস্তে যাচ্ছে। তালিকায় নাম ওঠাতে অতিদরিদ্র ব্যক্তিরা সুদে বা ধারদেনা করে পরিষদ-সংশ্লিষ্টদের হাতে টাকা তুলে দিচ্ছেন—এমন খবরও পাওয়া যাচ্ছে। এতে প্রকৃত উপকারভোগীরা সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছেন। মানববন্ধনে ৭০ জন অসহায় হতদরিদ্রকে তালিকায় বহাল রেখে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বিচার দাবী করেন এবং সুষ্ঠু তদন্ত করে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।