নেজাম উদ্দীন- বিশেষ প্রতিনিধ
রাঙ্গুনিয়া বিভিন্ন জায়গায় ২৮শে অক্টোবরের খুনিদের বিচারের দাবিতে দেখা যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামীর পোস্টার ও লিফলেট
সরজমিনে দেখা যায় রাঙ্গুনিয়া বিভিন্ন হাট- বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ সহ পাবলিক স্থানে এইসব পোষ্টার ও লিফলেট বিলির ছবি। রোয়াজারহাট,মরিয়ম নগর, চন্দ্রঘোনা, শিলক, কোদালা
রানীহাট, লালানগর, পদুয়া, পোমরা, বেতাগি সহ বিভিন্ন স্থানে খুনিদের বিচার দাবিতে এইসব পোষ্টার। রাঙ্গুনিয়া জামায়াতের আমির জনাব হাসান মুরাদ সাহেব বলেন – দেশ জুড়ে পোষ্টার ও লিফলেট বিলি সহ দোয়া ও সমাবেশ হাতে নিয়েছে জামায়াতের ইসলামী বাংলাদেশ
উল্লেখ্য ২০০৬ সালের অক্টোবর। সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কে এম হাসান যাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের দায়িত্ব নিতে না পারেন সেজন্য আন্দোলন করছিল আওয়ামী লীগ। এরই মধ্যে ২৮ অক্টোবর রাজধানীর পল্টন-বায়তুল মোকাররম এলাকায় লগি-বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীরা জামায়াত-শিবিরের ৬ নেতাকর্মীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
২৮ অক্টোবর ছিল বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকারের শেষ দিন। সেদিন ঢাকার রাস্তায় প্রকাশ্যে অস্ত্র তুলে গুলি এবং মানুষ পিটিয়ে মারার ঘটনা গভীর আলোড়ন তৈরি করেছিল। ২৮ অক্টোবরের আগের দিন এবং পরের দিনও দেশের বিভিন্ন জায়গায় রক্তক্ষয়ী রাজনৈতিক সংঘাত হয়েছিল।
রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় প্রকাশ্যে লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে জামায়াত-শিবিরের ৬ নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয় বলে জানা যায়। বিএনপি-জামায়াতের দাবি, একদলীয় শাসনের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই সেদিন রাজপথে তাণ্ডব চালায় আওয়ামী লীগ। রাজপথে লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যার পর সেই লাশের ওপর নৃত্যের ঘটনাটি দেশের ইতিহাসে একটি অন্যতম নৃশংস ঘটনা।