নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বান্দরবানের নাইক্ষ্যাংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ৩নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ’কে, এম, জাহাঙ্গীর আজিজ এর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এক সংবাদিকের পৈতৃক জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছে। স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার ও চেয়ারম্যান থাকাকালীন
তার পালিত সন্ত্রাস দ্বারা ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি দখল করে নেন। মৃত নুরুল বশরের ছেলে আজিজ স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের সাথে জড়িত ছিল। তার লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে জোরপূর্বক জমি দখল, সীমান্ত এলাকায় অবৈধ অস্ত্র ব্যাবসা , চোরাচালান কারবার,রোহিঙ্গা ভোটারসহ বিভিন্ন অপকর্মের মামলাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।
ভোক্তভোগি সাংবাদিক হোসেন সুমন জানান ১৯৮১ সালের রেজিষ্ট্রি মূলে আনোয়ার উল্লাহ পিতা মৃত মুমিন উল্লাহ ঘুমধুম ৩ ওয়ার্ল্ড এলাকায় আর ৮১ নং হোল্ডিং মূলে মালিকানা হিসাবে দীর্ঘ দিন ধরে ভোগদখল করে আসিতেছিল। মুমিন উল্লাহ মৃত্যু বরণ করিলে তার ওয়ারিশ দের ভয়ভীতি দেখাইয়া জোরপূর্বক জবরদখল করে তার ওয়ারিশদেরকে বেদখল করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ,কে,এম,জাহাঙ্গীর আজিজ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় আলোচিত রতন হত্যা ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় জি,আর মামলা রয়েছে, যাঁহার মামলা নং ৪৮/২৪ এই ছাড়া ও তাঁর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা ভোটার করার অভিযোগ রয়েছে। যা নিয়ে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে যাঁর মামলা নং সি,আর,৩৪/২০২১। ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের নিজের পৈতৃক সম্পদ মনে করে মনগড়া কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ভোক্তভোগিরা বলেন তিনি রাষ্ট্রের বিধি বিধান তোয়াক্কা না করে জোরপূর্বক আমাদের জমি দখল করে রেখেছে । আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড.মো ইউনূস মহোদয়ের কাছে আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি ফিরিয়ে পাওয়া জন্য সুষ্ঠ বিচার কামনা করছি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমন্বয়ক,বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করছি। সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক আইনি সহযোগিতা চেয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
এই বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য ৩নং ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ,কে,এম জাহাঙ্গীর আজিজকে মোটো ফোনে কল দিলে সে কল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।