Dhaka ০৮:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাঁচবিবিতে নিয়োগে অনিয়ম প্রধান শিক্ষকের ঘরে তালা ঝুলিয়েছে গ্রামবাসী। 

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:০৩:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২
  • ৩৩০ Time View
পাঁচবিবিতে নিয়োগে অনিয়ম প্রধান শিক্ষকের ঘরে তালা ঝুলিয়েছে গ্রামবাসী। 
মোঃ আমজাদ হোসেন, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি –
জয়পুরহাটের  পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়ন হরেনদা গ্রামে  হাকিমপুর কৈজুরী বিএনআর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে । এ ঘটনায় নিয়োগ বাতিলসহ পুনরায় নিয়োগ প্রদানের জন্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয় গ্রামবাসীরা প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরে তারা ঝাঁড়ু মিছিল করে। রবিবার সকালে ১০টায় হাকিমপুর কৈজুরী বিএনআর উচ্চ বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গত ১৭ অক্টোবর পাঁচবিবি উপজেলার হাকিমপুর কৈজুরী বিএনআর উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে গোলাম আজম, অফিস সহায়ক পদে মাসুদ মন্ডল, নিরাপত্তাকর্মী পদে রমজান আলী ও আয়া পদে সুলতানা বেগমকে নিয়োগ দেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এদিকে গোপনে কাউকে না জানিয়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়েছেন সভাপতি আব্দুর রহমান চৌধুরী ও প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য আব্দুল মুমিন চৌধুরী ও জহুরুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের পাশে আমাদের বাড়ি। অথচ চারটি পদে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে জামায়াত বিএনপির লোকজনদের গোপনে নিয়োগ দিয়েছেন সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। তাছাড়া কোনো পত্রিকা কিংবা নোটিশে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত কোনো বিষয় আমাদের চোখে পড়েনি। তারা সম্পূর্ণ গোপনে এই নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। আমরা এলাকাবাসী এই নিয়োগ বাতিলসহ পুনরায় নিয়োগের জন্য দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহানুর হোসেন বলেন, আমাদের স্কুলে গোপনে চারটি পদে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চারজনকে গোপনে নিয়োগ দিয়েছেন সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। এ কারণে আমরা গ্রামবাসীসহ এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যাক্তিদের সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা লাগিয়েছি। সেই সঙ্গে এই নিয়োগ বাতিলসহ পুনরায় নিয়োগদানের জন্য সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন মন্ডল বলেন, হাকিমপুর কৈজুরী বিএনআর উচ্চ বিদ্যালয়টি ওই গ্রামের মানুষের শ্রম দিয়ে তৈরি। সেই স্কুলে ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে গোপনে চার জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গ্রামবাসীর দাবি, নিয়োগ দেওয়া হবে ভালো কথা, কিন্তু গ্রামের মানুষকে না জানিয়ে গোপনে নিয়োগ দিয়েছে। আমিও গ্রামবাসীর এই প্রতিবাদের সঙ্গে একমত জানাচ্ছি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান বলেন, নিয়ম মেনেই নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুর রহমান চৌধুরী বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীণ। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা (টিপিও) মো. মিজানুর রহমান খান বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.বরমান হোসেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

পাঁচবিবিতে নিয়োগে অনিয়ম প্রধান শিক্ষকের ঘরে তালা ঝুলিয়েছে গ্রামবাসী। 

Update Time : ০৫:০৩:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২
পাঁচবিবিতে নিয়োগে অনিয়ম প্রধান শিক্ষকের ঘরে তালা ঝুলিয়েছে গ্রামবাসী। 
মোঃ আমজাদ হোসেন, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি –
জয়পুরহাটের  পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়ন হরেনদা গ্রামে  হাকিমপুর কৈজুরী বিএনআর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে । এ ঘটনায় নিয়োগ বাতিলসহ পুনরায় নিয়োগ প্রদানের জন্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয় গ্রামবাসীরা প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরে তারা ঝাঁড়ু মিছিল করে। রবিবার সকালে ১০টায় হাকিমপুর কৈজুরী বিএনআর উচ্চ বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গত ১৭ অক্টোবর পাঁচবিবি উপজেলার হাকিমপুর কৈজুরী বিএনআর উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে গোলাম আজম, অফিস সহায়ক পদে মাসুদ মন্ডল, নিরাপত্তাকর্মী পদে রমজান আলী ও আয়া পদে সুলতানা বেগমকে নিয়োগ দেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এদিকে গোপনে কাউকে না জানিয়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়েছেন সভাপতি আব্দুর রহমান চৌধুরী ও প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য আব্দুল মুমিন চৌধুরী ও জহুরুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের পাশে আমাদের বাড়ি। অথচ চারটি পদে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে জামায়াত বিএনপির লোকজনদের গোপনে নিয়োগ দিয়েছেন সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। তাছাড়া কোনো পত্রিকা কিংবা নোটিশে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত কোনো বিষয় আমাদের চোখে পড়েনি। তারা সম্পূর্ণ গোপনে এই নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। আমরা এলাকাবাসী এই নিয়োগ বাতিলসহ পুনরায় নিয়োগের জন্য দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহানুর হোসেন বলেন, আমাদের স্কুলে গোপনে চারটি পদে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চারজনকে গোপনে নিয়োগ দিয়েছেন সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। এ কারণে আমরা গ্রামবাসীসহ এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যাক্তিদের সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা লাগিয়েছি। সেই সঙ্গে এই নিয়োগ বাতিলসহ পুনরায় নিয়োগদানের জন্য সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন মন্ডল বলেন, হাকিমপুর কৈজুরী বিএনআর উচ্চ বিদ্যালয়টি ওই গ্রামের মানুষের শ্রম দিয়ে তৈরি। সেই স্কুলে ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে গোপনে চার জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গ্রামবাসীর দাবি, নিয়োগ দেওয়া হবে ভালো কথা, কিন্তু গ্রামের মানুষকে না জানিয়ে গোপনে নিয়োগ দিয়েছে। আমিও গ্রামবাসীর এই প্রতিবাদের সঙ্গে একমত জানাচ্ছি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান বলেন, নিয়ম মেনেই নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুর রহমান চৌধুরী বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীণ। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা (টিপিও) মো. মিজানুর রহমান খান বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.বরমান হোসেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই।