Dhaka ০৮:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“মা’কে ফিরে পেতে বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন ৩ সন্তান”

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৩১:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অক্টোবর ২০২২
  • ৩২৬ Time View
“মা’কে ফিরে পেতে বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন ৩ সন্তান”
মোঃ সোহাগ আরেফিন গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি –
সুদ কারবারি মো. আবু সামা (৩৮)। তিনি গুরুদাসপুরের ধারাবারিষা ইউনিয়নের শিধুলী গ্রামের মৃত আকেব্বর আলীর ছেলে। আবু সামা পেশায় কৃষক হলেও দীর্ঘদিন যাবত করেন সুদের ব্যবসা। সেই সুবাদে একই গ্রামের মৃত একের আলীর ছেলে কামাল হোসেন (৩৮) এর স্ত্রী তিন সন্তানের জননী ববিতা খাতুনের (৩৬) (ছদ্দনাম) সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। বর্তমানে সেই জননীকে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করেছেন বলে জানা গেছে। সামার ১ ছেলে, ১ মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছে।
এদিকে মা’কে ফিরে পেতে সামা ও তার আশেপাশের বাড়িতে গিয়ে ঘোরাঘুরি করছে ববিতার তিন সন্তান সাব্বির (১৩), শামিউল (১১) ও শাহাদত (৬)। এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। অপরদিকে ববিতার স্বামী কামাল বাদী হয়ে গুরুদাসপুর আমলী আদালতে আবু সামা ও ববিতাকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, বাড়ির সাথেই চা দোকান রয়েছে ববিতার স্বামীর। দীর্ঘদিন যাবত মাঝে মধ্যে সেই দোকানে বসে সময় কাটাতেন ও সুদের লেনদেন করতেন সামা। এতে ববিতার স্বামীর সাথে তৈরি হয় ভালো সম্পর্ক। এরপরে স্বামী থেকে সম্পর্ক গড়ায় স্ত্রী পর্যন্ত। স্ত্রীর সাথে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হলে শুর হয় বাড়িতে যাতায়ত। এরপরে ববিতাকে নিয়ে গত মাসে পালিয়ে যান সামা। সেসময় মিমাংসার মাধ্যমে ববিতাকে তার স্বামীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপরে গত ৪ অক্টোবর আবারো পালিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন সামা। তবে সামার পূর্বের স্ত্রী মেনে না নেওয়ায় ববিতাকে অন্য কোথায় রাখা হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
এবিষয়ে জানতে আবু সামার মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায় ও বাড়িতে গিয়ে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এব্যাপারে কামাল বলেন, বাড়িতে জমি ও রসুন বিক্রির ২ লাখ টাকা ও প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের গহনা ছিলো। বাড়িতে কেউ না থাকায় আবু সামা তার বাড়িতে এসে নগদ টাকা ও গহনা নিয়ে তার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যান। বর্তমানে তিন সন্তানকে নিয়ে মানবেতর দিন কাটছে তাদের।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউপি সদস্য সেন্টু আলী বলেন, এর আগেও আবু সামা ববিতাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। বিষয়টি মিমাংসা করে ববিতাকে তার স্বামীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে আবারো ববিতাকে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করেছেন সামা বলে জানান তিনি।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

“মা’কে ফিরে পেতে বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন ৩ সন্তান”

Update Time : ০৬:৩১:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অক্টোবর ২০২২
“মা’কে ফিরে পেতে বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন ৩ সন্তান”
মোঃ সোহাগ আরেফিন গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি –
সুদ কারবারি মো. আবু সামা (৩৮)। তিনি গুরুদাসপুরের ধারাবারিষা ইউনিয়নের শিধুলী গ্রামের মৃত আকেব্বর আলীর ছেলে। আবু সামা পেশায় কৃষক হলেও দীর্ঘদিন যাবত করেন সুদের ব্যবসা। সেই সুবাদে একই গ্রামের মৃত একের আলীর ছেলে কামাল হোসেন (৩৮) এর স্ত্রী তিন সন্তানের জননী ববিতা খাতুনের (৩৬) (ছদ্দনাম) সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। বর্তমানে সেই জননীকে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করেছেন বলে জানা গেছে। সামার ১ ছেলে, ১ মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছে।
এদিকে মা’কে ফিরে পেতে সামা ও তার আশেপাশের বাড়িতে গিয়ে ঘোরাঘুরি করছে ববিতার তিন সন্তান সাব্বির (১৩), শামিউল (১১) ও শাহাদত (৬)। এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। অপরদিকে ববিতার স্বামী কামাল বাদী হয়ে গুরুদাসপুর আমলী আদালতে আবু সামা ও ববিতাকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, বাড়ির সাথেই চা দোকান রয়েছে ববিতার স্বামীর। দীর্ঘদিন যাবত মাঝে মধ্যে সেই দোকানে বসে সময় কাটাতেন ও সুদের লেনদেন করতেন সামা। এতে ববিতার স্বামীর সাথে তৈরি হয় ভালো সম্পর্ক। এরপরে স্বামী থেকে সম্পর্ক গড়ায় স্ত্রী পর্যন্ত। স্ত্রীর সাথে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হলে শুর হয় বাড়িতে যাতায়ত। এরপরে ববিতাকে নিয়ে গত মাসে পালিয়ে যান সামা। সেসময় মিমাংসার মাধ্যমে ববিতাকে তার স্বামীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপরে গত ৪ অক্টোবর আবারো পালিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন সামা। তবে সামার পূর্বের স্ত্রী মেনে না নেওয়ায় ববিতাকে অন্য কোথায় রাখা হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
এবিষয়ে জানতে আবু সামার মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায় ও বাড়িতে গিয়ে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এব্যাপারে কামাল বলেন, বাড়িতে জমি ও রসুন বিক্রির ২ লাখ টাকা ও প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের গহনা ছিলো। বাড়িতে কেউ না থাকায় আবু সামা তার বাড়িতে এসে নগদ টাকা ও গহনা নিয়ে তার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যান। বর্তমানে তিন সন্তানকে নিয়ে মানবেতর দিন কাটছে তাদের।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউপি সদস্য সেন্টু আলী বলেন, এর আগেও আবু সামা ববিতাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। বিষয়টি মিমাংসা করে ববিতাকে তার স্বামীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে আবারো ববিতাকে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করেছেন সামা বলে জানান তিনি।