নাজিরুল ইসলাম, বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার শাজাহানপুরে ব্যক্তি মালিকানাধিন ফলজ ও বনজ বৃক্ষ বাগান থেকে জোর করে গাছ কেটে রাস্তা নির্মাণর অভিযাগ উঠেছে।
এঘটনায় গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মরজিনা বেগম নামে এক নারী ৩ জনকে বিবাদী করে উপজেলার চোপীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বিবাদীরা হলেন, উপজেলার চোপীনগর ইউনিয়নের বৃ-কুষ্টিয়া তালতলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ২ ছেলে বিপ্লব হোসেন (২৬) ও নাইম হোসেন (২১) এবং একই গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (৩০)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চোপীনগর ইউনিয়নের বৃ-কুষ্টিয়া তালতলা গ্রামের মৃত হবিবর রহমানের ছেলে রজিবুল ইসলামের বসতবাড়ির পূর্বপাশে ফলজ ও বনজ বৃক্ষ বাগান রয়েছে। এর পাশই একই গ্রামের বিবাদীদেরও জমি আছে। গত শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিবাদীগন তাদর জমিতে না গিয়ে রজিবুল ইসলামের বৃক্ষ বাগানের ৫টি লিচু, ৫টি আম, ১টি তাল এবং ১টি আকাশ মনি গাছ সহ মোট ১২টি গাছ জোর করে কেটে নতুন করে রিক্সা ভ্যান চলাচলের মত রাস্তা বের করে নেন। গাছগুলির আনুমানিক মূল্য ৩ লক্ষ টাকা। এঘটনায় রজিবুল ইসলামের স্ত্রী মরজিনা বেগম বাদি হয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযাগ দায়ের করেন।
বাদি মরজিনা বেগম জানান, তার স্বামী রজিবুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবদ মালয়শীয়াতে আছেন। এই সুযোগে তার স্বামীর ভাতিজারা উভয় সীমানার উপর দিয়ে রাস্তা না করে তার স্বামীর ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির গাছ কেটে রাস্তা নির্মাণ করেছেন। বাধা দিতে গেলে তারা বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখায়। বিষটি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানালে তিনি বিবাদীদের পক্ষ নিয়ে বলেন, অভিযাগ দিয়ে তুমি কি করত পারো তা দেখে নেয়া হবে।
বিবাদী বিপ্লব হাসান জানান, চাপীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যর উপস্থিতিতে জমি মাপযোগ করে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। তাছাড়া বাদি পক্ষের লোকজন বিবাদী রাশেদুল ইসলামরে ২টি নারকেল গাছ ও ৩টি আম গাছ কাটা হয়েছে।
ইউপি সদস্য আবু সাইদ জানান, কারো পক্ষ নিয়ে এধরনের কোন কথা কাউকে বলা হয়নি।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজার রহমান বাবলু বলেন, এই বিষয়ে গত বহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ঘটনাস্থল গিয়ে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজন পড়ায় সেখান থেকে অন্যত্র চলে এসেছি। বিষয়টি ইউপি সদস্যকে বিস্তারিত জানতে বলা হয়েছে। এমনকি তড়িঘড়ি করে এভাবে গাছগুলো কাটা ঠিক হয়নি। এবিষয়ে খুব তাড়াতাড়ি গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে মিমাংসা করার ব্যবস্থা নেয়া হবে।