শফিকুল ইসলাম সোহাগ, দিনাজপুর –
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার পাকেরহাটে রোগাক্রান্ত গরু জবাই করে বিক্রি করছিলেন জাকির নামে এক কসাই।
এ সময় গোপন সংবাদের ভিক্তিতে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর ঘটনাস্থলে যান। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাশিদা আক্তারকে খবর দিলে তিনিও সেখানে ছুটে যান। কসাই জাকির হোসেন উপজেলার পাকেরহাটে গ্রামের আলমের ছেলে। জানা যায়, মাংস বিক্রেতা কসাই সোহেল রানা রোগাক্রান্ত একটি গরু ক্রয় করে জবাই করে মাংস বিক্রি করছিলেন।
এ সময় কসাই দোষ শিকার করায় জনসস্মুখে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ভোক্তা আইনে ২০০৯/৪৩ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এ বিষয়ে কয়েকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, কতিপয় মাংস ব্যবসায়ী প্রায় খাওয়ার অনুপযোগী অসুস্থ পশু জবাই করে মাংস বিক্রি করেন। এসব মাংস বিক্রির জন্য অনেকেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কিংবা বাসাবাড়ির ফ্রিজে রাখা হয়। সেগুলো হাটে আবার বিক্রি করা হয়। কিন্তু স্থানীয় সরকারের ইউনিটগুলোর নীরব ভূমিকার কারণে ক্রমশই বেপরোয়া হয়ে উঠছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর দোকান পরিদর্শনে যাই। সেখানে রোগাক্রান্ত গরুর মাংস বিক্রির সত্যতা পেয়ে কসাইকে জেল ও জরিমানা করা হয়। আমাদের এই রকম অভিযান অব্যাহত থাক
শিরোনাম :
“জমিজমার জেরে শিশু তানভির হত্যা মামলায় ৪জনের যাবজ্জীবন”
- Reporter Name
- Update Time : ০৭:২৫:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২
- ৮০৪ Time View
“জমিজমার জেরে শিশু তানভির হত্যা মামলায় ৪জনের যাবজ্জীবন”
মোঃ আমজাদ হোসেন, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি –
জয়পুরহাটে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে শিশু তানভীর হত্যা মামলায় ৪জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার সূর্যবান এলাকার মৃত মোবারকের ছেলে বাবলু, ইংরাজ মন্ডলের ছেলে আমিনুল ইসলাম লালু, মৃত আব্দুল কাদের কাদেরের ছেলে আব্দুল হামিদ ও ফিদা মিয়ার ছেলে কাজল।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার সূর্যবান গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক ওবাইদুর রহমানের পরিবারের সাথে আসামীদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ২০০৮ সালের ৩ মে ওবাইদুর ও তার স্ত্রী প্রতিদিনের মতো কাজে বাহিরে যান। এসময় তার শাশুড়িসহ ৮ বছরের ছেলে তানভীর ও ১০ বছরের মেয়ে হাবিবাকে বাসায় রেখে যান। পরে আসামীরা পুর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী শিশু তানভীরকে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে পাশের একটি পুকুরে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। এরপর বাবা-মা সন্ধ্যায় বাড়িতে এসে ছেলেকে দেখতে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুজির পর পুকুরে মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় সেদিনই ক্ষেতলাল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলে মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় দেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল।
“দিনাজপুরে এক কসাইকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৩ মাসের জেল”
Tag :
আলোচিত