Dhaka ১০:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“পিটুপি বিল্ড এক্সপো: স্বপ্ন হলো সত্যি”

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:১৪:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২
  • ৫৩৫ Time View

“পিটুপি বিল্ড এক্সপো: স্বপ্ন হলো সত্যি”
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

পাল তোলা নৌকা, গ্রামোফোন, ২০ বছর আগের টেলিফোন দেখে স্মৃতিকাতর হবেন প্রবীণরা। অবাক হবেন নতুন প্রজন্মও। ঘর সাজানোর এমন সব উপকরণ দেখে চোখ হবে ছানাবড়া। দুই লাখ ৫৭ হাজার ৬৫৫ টাকা দামের গ্লোরিয়াস সোফা বিশেষ মূল্যছাড়ে মিলছে ২ লাখ ১৯ হাজার টাকায়। ৫১ হাজার টাকার ড্রেসিং টেবিল কেনা যাবে মাত্র ৪৫ হাজার ৯শ টাকায়। এছাড়া সাড়ে ৬ হাজার টাকায় ডাইনিং টেবিল, ৮৪ হাজার টাকায় ডাবল বেডের খাট, ৭৪ হাজারে আলমারি, ৫৩ হাজার টাকায় ড্রয়ারসহ আন্তর্জাতিক মানের ফার্নিচারের সমাহার সেখানে।
আরও আছে ঝাড়বাতি, টাইলস, মার্বেল ও গ্রানাইট, ইন্ডাস্ট্রিয়াল-রেসিডেন্সিয়াল লাইটিং ও ইলেট্রিক্যাল সলিউশন, স্যানিটারি ও
হার্ডওয়্যার প্রোডাক্ট, অ্যালুমিনিয়াম প্রোফাইল, সিলিং ও গ্লাসের কাজ, কার্টেন, কিচেন সলিউশন, থ্রিডি ওয়াল পেপার ও ওয়াল প্যানেল, লাইফস্টাইল প্রোডাক্টস, পেইন্ট সলিউশন, অটোমেশন ও পাওয়ার সলিউশন সহ ভবন নির্মাণ এবং বাড়ি সাজিয়ে তোলার সবকিছু সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ সমাধান। নগরের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে শুরু হওয়া চার দিনব্যাপী পিটুপি বিল্ড এক্সপো’তে দেখা গেছে এ চিত্র, চলবে রোববার (২০ নভেম্বর) রাত ১০টা পর্যন্ত।
‘জীবন সাজাতে, জীবন রাঙাতে, স্বপ্ন কিংবা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছে পিটুপি’ বললেন পিটুপি ফ্যামিলির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা আশরাফুল ইসলাম আলভী।জানালেন, ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা থেকে পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন এবং পুরো বিল্ডিং, ফ্ল্যাট বা কমার্শিয়াল স্পেসের পূর্ণাঙ্গ আয়োজন ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয়তা ও সমস্যার সমাধান একই ছাদের নিচে এনে দিতে পিটুপি দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করেছে এই এক্সপো। গ্রাহকদের সাড়াও মিলছে বেশ।
আধুনিক ও রুচিশীল মানুষের ইচ্ছাকে বাস্তবে রূপ দিতে ২০১৬ সালে ‘পরিকল্পনা থেকে পরিপূর্ণতা স্লোগানে’ চট্টগ্রামে যাত্রা শুরু করা করপোরেট ব্র্যান্ড পিটুপি এখন পরিণত হয়েছে বটবৃক্ষে। অর্জন করেছে গ্রাহকদের আস্থা ও ভালোবাসা।
এক্সপো’তে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন নানান পেশার মানুষ। একটি বাড়ি নির্মাণের নকশা থেকে শুরু করে, নির্মাণ, সব ধরনের বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস, রড, সিমেন্ট, পাথর, ফার্নিচারসহ আধুনিক ও অভিজাত জীবনযাত্রার সবকিছু সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছেন তাঁরা। প্রতিটি পণ্যের গুণগত মানের সর্বোচ্চ সুরক্ষা, বিক্রয় ও বিক্রয়োত্তর সেবার জন্য পিটুপি’র দক্ষ প্রকৌশল ও টেকনিক্যাল টিমের সহায়তার আশ্বাসও মিলছে। পিটুপি’র কনসালটেন্ট (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) মোহাম্মদ হাসান বলেন, নির্মাণসামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির এই সময়েও সুলভে এবং সাশ্রয়ী মূল্যে গ্রাহকদের বাড়ির সাজ-সজ্জা ও হোম ম্যাটেরিয়ালস তুলে দিতে বদ্ধপরিকর পিটুপি ফ্যামিলি। এই এক্সপো’র মাধ্যমে সেই তথ্যই পৌঁছে দিচ্ছি সবার কাছে। রুচিশীল গ্রাহকদের অনেকেই ঘর সাজানোর আসবাবপত্র থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক মানের অত্যাধুনিক ফিটিংস এবং ম্যাটেরিয়ালস কিনছেন। এখানে প্রায় ২ হাজার ধরনের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রয় হচ্ছে। পাশাপাশি মেট্রোপলিটন শ্যুটিং ক্লাব ও কনভেনশন সেন্টার যে কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানে গ্রাহকদের স্বাগত জানাচ্ছে।
এক্সপোতে অংশ নিয়েছে দেশের স্বনামধন্য স্টিল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জিপিএইচ ইস্পাত, ক্রাউন সিমেন্ট, ক্রাউন রেডিমিক্স কনক্রিট, প্রিমিয়ার সিমেন্ট, পিটুপি ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন, পিটুপি এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার, পিটুপি-৩৬০, স্ট্রাইপ, এলিট পেইন্ট, রিম্যাক, পিটুপি ফার্নিচারসহ বিল্ডিং নির্মাণ ও বিল্ডিং ম্যাটেরিয়াল উৎপাদনকারী ৩০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান। কো-স্পন্সর হিসেবে অংশ নিয়েছে সুজান, ক্যাসারিকা ফার্নিশিং, ওপেল ইটালি, আর এম মেটাল, ইনোভেটিভ ডেকর এবং বারকোড রেস্টুরেন্ট গ্রুপ। এছাড়া পিটুপি’র সহযোগী আবাসন কোম্পানি উইকন প্রপার্টিজ রয়েছে অত্যাধুনিক বহুতল ভবন নির্মাণের পূর্ণাঙ্গ আয়োজন নিয়ে। এই এক্সপোতে উইকন ১২টি অত্যাধুনিক বিলাসবহুল প্রজেক্ট উপস্থাপন করেছে। প্রবেশ ফি ছাড়াই সবার জন্য উন্মুক্ত এই এক্সপো থেকে সব দর্শনার্থী ও আগ্রহীরা বিনামূল্যে সেবা পাচ্ছেন। পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে পাচ্ছেন ডিসকাউন্ট সুবিধা। বিভিন্ন কোম্পানির পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে সাশ্রয়ী অফার। এর মধ্যে রয়েছে- এক্সপোতে ফ্ল্যাট কিনলেই একটি ব্র্যান্ড নিউ গাড়ি ফ্রি, ফার্নিচার ও লাইফস্টাইল প্রোডাক্টে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক, আইফোন-১৪ প্রো সহ র‌্যাফেল ড্রতে আকর্ষণীয় পুরস্কার। এক্সক্লুসিভ অফার হিসেবে টার্নকি কনস্ট্রাকশন এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইন কনসালটেন্সিতে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এক্সপো’তে কথা হয় বেশ ক’জন গ্রাহকের সঙ্গে। ব্যবসায়ী সামিয়ুল নিজাম, প্রকৌশলী সামিনা চৌধুরী, চিকিৎসক মানজারুল হক, কলেজ শিক্ষক মুনতাহা নাজিরের কথায়, সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন করে আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গা তৈরি করেছে পিটুপি। সামর্থ্য থাকলেও কর্মব্যস্ত সময়ে নানা ধরনের ঝামেলা ও ভোগান্তি পোহাতে হয় সুখের নীড় সাজাতে। পিটুপি একই ছাদের নিচে এনে সব সমস্যার সমাধান করে দিচ্ছে। এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
পিটুপি’র গ্রুপ অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার রমেন দাশ গুপ্ত বলেন, নাগরিক জীবনে আভিজাত্যের ছোঁয়া লাগছে প্রতিনিয়ত। শুরু থেকেই পিটুপি ডিজাইন বিল্ড ম্যাটেরিয়াল ও ফার্নিচারের সমন্বিত সবকিছু নিয়েই কাজ করছে। বিল্ডিং ম্যাটেরিয়াল থেকে শুরু করে ঘর সাজানোর সব ধরনের ফার্নিচার, লাইটিং, বাড়ি বা অফিস ডেকোরেশনের অত্যাধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের সামগ্রী মিলছে এখানে। পিটুপির প্রতিষ্ঠান ‘উইকন প্রপার্টিজ’ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে মানসম্পন্ন দ্রুত নির্মাণ ও হস্তান্তরে নতুন বিপ্লব সূচনা করেছে। এক্সপো’তে প্রদর্শিত দোলনায় দুলতে গিয়ে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা সাজ্জাদ আলী তাই বললেন, পিটুপি’র কল্যাণে এবার হবে স্বপ্নপূরণ।

“চট্টগ্রামে সাজ সাজ রব, সর্বত্র উৎসবের আমেজ”
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

নগরজুড়ে ব্যস্ততা। কেউ দেয়ালে রঙ তুলিতে, কেউ আবার প্লাস্টার করতে।
কেউবা সড়ক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নে কাজে মনোনিবেশ। প্রস্তুতি চলছে তোরণ ও অভ্যর্থনা গেটের। সাজানো হচ্ছে বিভিন্ন
সরকারি-বেসরকারি দপ্তর ও অফিস। সড়কের ডিভাইডার, পুরাতন দেয়ালগুলো ধুয়ে মুছে ফেলা হচ্ছে। সব মিলিয়ে
বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বিরাজ করছে সাজ সাজ রব। নগরের প্রধান প্রধান সড়ক ছাপিয়ে অলি-গলিতে ছেয়ে গেছে
রাজনৈতিক নেতাদের ব্যানার-ফেস্টুনে।
সরেজমিনে দেখা যায়,  সিআরবির সাত রাস্তার মুখ এবং টাইগারপাশ মোড়ে বাঁশ দিয়ে বানানো হচ্ছে বড় গেইট । দেড়শো
শ্রমিক রঙ তুলির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।  তারই পাশে দেয়ালে  তুলি দিয়ে আছড় কাটছেন শিল্পীরা। সাদা, লাল ,
হলুদ এবং সবুজ রঙয়ে সেজে উঠছে দেওয়াল।  পলোগ্রাউন্ড মাঠে নতুন রুপ দিতে চলছে কর্মযজ্ঞ। আট ফুট উচু বাঁশ দিয়ে
পুরো মাঠ ঘেরা হয়েছে। সেখানে কিছু দিন পর ব্যানার ফেস্টুনে সেজে উঠবে। আগামী দশ থেকে ১২ দিনের মধ্যে  কাজ
শেষ করার কথা বলছেন নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, চট্টগ্রামে স্মরণকালের বৃহৎ জনসমাবেশ ঘটাতে এরই মধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছেন দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের
নেতাকর্মীরা। জনসভায় ১০ লাখ মানুষের সমাগমের টার্গেট নেওয়া হয়েছে। জনসমাবেশের বাইরে আশেপাশের এলাকায়
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনার জন্য ৩০০ মাইক লাগানোর ব্যবস্থা করা হবে। সাত ফুট উঁচু মঞ্চ তৈরির কাজ করা হবে। যার
দৈর্ঘ্য হবে ১২০ ফুট ও প্রস্ত ১৪০ ফুট। প্রধান অতিথির সঙ্গে ২০০ অতিথি বসার সুযোগ পাবেন মঞ্চে। জনসভায় নগরের
পাশাপাশি বিভিন্ন উপজেলার নেতাকর্মীরা অংশ নিবে।
আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডের মাঠে দলীয় জনসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসার খবর কানে পেতেই
তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে দিনটি ঘিরে। কয়েক ঘণ্টার জন্য চট্টগ্রামে আসা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে ব্যাপক প্রস্তুতি ও
কর্মযজ্ঞ চলছে দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও স্থানীয় প্রশাসনে। দফায় দফায় সমন্বয় সভায় বসছে সেবা সংস্থাগুলো।
দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পোহানো সড়কের খানাখন্দ সংস্কার ও মেরামতে হাত পড়েছে। এর সঙ্গে রাত দিন এক করে
নেতাকর্মীরা কাজ করে চলেছেন সমাবেশ সফল করতে। চাঙ্গা ভাব বিরাজ করছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝেও। এমন
সাজগোছ দেখে নগরবাসীর প্রত্যাশা হয়তো, প্রধানমন্ত্রী প্রতি বছর চট্টগ্রামে আসলে বদলে যাবে শহরটি।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন পর
প্রধানমন্ত্রী জনসমাবেশের জন্য চট্টগ্রামে আসছেন। আমাদের আনন্দের মাত্রা বুঝানো যাবে না। কোনো কমতি রাখা হবে
না।  ওই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে  দিক নির্দেশনা দিবেন। দলীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে
তিনি জনগণের কাছে বীর চট্টলা ও দেশের সম্পর্কেও বার্তা দিতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা দিন রাত নিরলনসভাবে কাজ করছেন। সবার লক্ষ্য একটাই বড়
জনসমাবেশের মাধ্যমে দেখিয়ে দিতে চাই আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে ছিল, আছে থাকবে। আগামী নির্বাচন সব দলের
জন্য চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার জন্য সবাই উন্মুক হয়ে আছে। দেশের মানুষকে বেছে নিতে
হবে তারা কী উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে সমুন্নত রাখবে? নাকি আবারও স্বাধীনতা বিরোধী ও বিএনপি-জামায়াতের অগ্নি সন্ত্রাস
ও সীমাহীন দুর্নীতিতে ফিরে যাবে। এদিকে জসমাবেশের মাঠ পরিদর্শন শেষে রেলপত্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম গণজমায়েতে আসা বিপুল সংখ্যাক মানুষ কোথায় রাখবেন সেই প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমরা কাউকে ভাড়া করে আনবো না। চট্টগ্রাম শহর ও আশেপাশের উপজেলার মানুষ এই সমাবেশে অংশ নেবেন। বিপুল সংখ্যাক মানুষ কোথায় জায়গা দেবো, সে চিন্তা করতে করতে হচ্ছে। সবাই প্রধানমন্ত্রীর কথা শোনার অধীর অপেক্ষায়। তারা নিজ থেকে থেকে আসবে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে সামনে রেখে গেল ১৭ নভেম্বর চসিকের সম্মেলন কক্ষে সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমস্বয় সভা
অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী যে আন্তরিতা দেখিয়েছেন তাঁকে স্বাগত  জানাতে নগরীকে
পরিপাটি করে সাজানো হচ্ছে। জনসভায় প্রবেশের পথ সুগম ও জনসাধারণের সুবিধার্থে মাঠের ভেতরে ও আশেপাশে সুপেয়
পানি, ভ্রাম্যমাণ ও অস্থায়ী টয়লেট স্থাপন করা হবে।
অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসমাবেশ ঘিরে নিরিবিচ্ছন্ন নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে জানালেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন
পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়। তিনি বলেন, বিশাল গণজমায়েতকে সামনে রেখে যাবতীয় নিরপত্তা ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হবে। সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের বাস, মাইক্রোবাস ও ভিআইপিদের প্রাইভেটকার পার্কিংয়ের স্থান নির্ধারণে
কাজ করছে ট্রাফিক বিভাগ। শিরগিরই গণম্যাধমে বিস্তারিত জানাতে হবে।
চলতি বছরের ১২ অক্টোবর পলোগ্রাউন্ড মাঠে সমাবশে করেছিল বিএনপি। দলটির দাবি করে ওই সমাবেশে বিপুল সংখ্যাক
জনসমাবেশ হয়েছির। এরপর থেকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিপুল সংখ্যাক জনসমাগমের
টার্গেট নিয়ে কাজ শুরু করে। চট্টগ্রামেও সেই ধারা বজায় রেখে এগোচ্ছে দলটি। এর আগে ২০১২ সালের ২৮ মার্চ নগরের
পলোগ্রাউন্ড মাঠে সমাবেশ অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

“চট্রগ্রামে ইয়াবাসহ মাদক বিক্রেতা আটক “
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

বাঁশখালীর মিনজিরি তলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৯১ হাজার ইয়াবাসহ
মো. শহীদ উল্লাহ (৩৫) নামে এক মাদক বিক্রেতাকে আটক করেছে র‌্যাব।শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে
সাতটার দিকে তাকে আটক করা হয়। মো. শহীদ উল্লাহ ওই এলাকার মৃত সৈয়দুল ইসলামের ছেলে।
র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো.নুরুল আবচার জানান, মিনজিরি তলা এলাকার শহীদ উল্লাহ’র
বসতঘরে মাদকদ্রব্য মজুত রেখে বিক্রয় করার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে  শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে
অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। ঘরে মাটির গর্ত থেকে ১টি প্লাস্টিকের ছোট বস্তায় সাদা পলিথিনের
ওপর স্কচটেপ মোড়ানো অবস্থায় ৯১ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে পরবর্তীতে
তা চট্টগ্রাম জেলা ও নগরের বিভিন্ন এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করে আসছে
শহীদ উল্লাহ। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি টাকা। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে
থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

“পিটুপি বিল্ড এক্সপো: স্বপ্ন হলো সত্যি”

Update Time : ০৬:১৪:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২

“পিটুপি বিল্ড এক্সপো: স্বপ্ন হলো সত্যি”
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

পাল তোলা নৌকা, গ্রামোফোন, ২০ বছর আগের টেলিফোন দেখে স্মৃতিকাতর হবেন প্রবীণরা। অবাক হবেন নতুন প্রজন্মও। ঘর সাজানোর এমন সব উপকরণ দেখে চোখ হবে ছানাবড়া। দুই লাখ ৫৭ হাজার ৬৫৫ টাকা দামের গ্লোরিয়াস সোফা বিশেষ মূল্যছাড়ে মিলছে ২ লাখ ১৯ হাজার টাকায়। ৫১ হাজার টাকার ড্রেসিং টেবিল কেনা যাবে মাত্র ৪৫ হাজার ৯শ টাকায়। এছাড়া সাড়ে ৬ হাজার টাকায় ডাইনিং টেবিল, ৮৪ হাজার টাকায় ডাবল বেডের খাট, ৭৪ হাজারে আলমারি, ৫৩ হাজার টাকায় ড্রয়ারসহ আন্তর্জাতিক মানের ফার্নিচারের সমাহার সেখানে।
আরও আছে ঝাড়বাতি, টাইলস, মার্বেল ও গ্রানাইট, ইন্ডাস্ট্রিয়াল-রেসিডেন্সিয়াল লাইটিং ও ইলেট্রিক্যাল সলিউশন, স্যানিটারি ও
হার্ডওয়্যার প্রোডাক্ট, অ্যালুমিনিয়াম প্রোফাইল, সিলিং ও গ্লাসের কাজ, কার্টেন, কিচেন সলিউশন, থ্রিডি ওয়াল পেপার ও ওয়াল প্যানেল, লাইফস্টাইল প্রোডাক্টস, পেইন্ট সলিউশন, অটোমেশন ও পাওয়ার সলিউশন সহ ভবন নির্মাণ এবং বাড়ি সাজিয়ে তোলার সবকিছু সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ সমাধান। নগরের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে শুরু হওয়া চার দিনব্যাপী পিটুপি বিল্ড এক্সপো’তে দেখা গেছে এ চিত্র, চলবে রোববার (২০ নভেম্বর) রাত ১০টা পর্যন্ত।
‘জীবন সাজাতে, জীবন রাঙাতে, স্বপ্ন কিংবা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছে পিটুপি’ বললেন পিটুপি ফ্যামিলির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা আশরাফুল ইসলাম আলভী।জানালেন, ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা থেকে পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন এবং পুরো বিল্ডিং, ফ্ল্যাট বা কমার্শিয়াল স্পেসের পূর্ণাঙ্গ আয়োজন ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয়তা ও সমস্যার সমাধান একই ছাদের নিচে এনে দিতে পিটুপি দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করেছে এই এক্সপো। গ্রাহকদের সাড়াও মিলছে বেশ।
আধুনিক ও রুচিশীল মানুষের ইচ্ছাকে বাস্তবে রূপ দিতে ২০১৬ সালে ‘পরিকল্পনা থেকে পরিপূর্ণতা স্লোগানে’ চট্টগ্রামে যাত্রা শুরু করা করপোরেট ব্র্যান্ড পিটুপি এখন পরিণত হয়েছে বটবৃক্ষে। অর্জন করেছে গ্রাহকদের আস্থা ও ভালোবাসা।
এক্সপো’তে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন নানান পেশার মানুষ। একটি বাড়ি নির্মাণের নকশা থেকে শুরু করে, নির্মাণ, সব ধরনের বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস, রড, সিমেন্ট, পাথর, ফার্নিচারসহ আধুনিক ও অভিজাত জীবনযাত্রার সবকিছু সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছেন তাঁরা। প্রতিটি পণ্যের গুণগত মানের সর্বোচ্চ সুরক্ষা, বিক্রয় ও বিক্রয়োত্তর সেবার জন্য পিটুপি’র দক্ষ প্রকৌশল ও টেকনিক্যাল টিমের সহায়তার আশ্বাসও মিলছে। পিটুপি’র কনসালটেন্ট (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) মোহাম্মদ হাসান বলেন, নির্মাণসামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির এই সময়েও সুলভে এবং সাশ্রয়ী মূল্যে গ্রাহকদের বাড়ির সাজ-সজ্জা ও হোম ম্যাটেরিয়ালস তুলে দিতে বদ্ধপরিকর পিটুপি ফ্যামিলি। এই এক্সপো’র মাধ্যমে সেই তথ্যই পৌঁছে দিচ্ছি সবার কাছে। রুচিশীল গ্রাহকদের অনেকেই ঘর সাজানোর আসবাবপত্র থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক মানের অত্যাধুনিক ফিটিংস এবং ম্যাটেরিয়ালস কিনছেন। এখানে প্রায় ২ হাজার ধরনের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রয় হচ্ছে। পাশাপাশি মেট্রোপলিটন শ্যুটিং ক্লাব ও কনভেনশন সেন্টার যে কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানে গ্রাহকদের স্বাগত জানাচ্ছে।
এক্সপোতে অংশ নিয়েছে দেশের স্বনামধন্য স্টিল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জিপিএইচ ইস্পাত, ক্রাউন সিমেন্ট, ক্রাউন রেডিমিক্স কনক্রিট, প্রিমিয়ার সিমেন্ট, পিটুপি ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন, পিটুপি এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার, পিটুপি-৩৬০, স্ট্রাইপ, এলিট পেইন্ট, রিম্যাক, পিটুপি ফার্নিচারসহ বিল্ডিং নির্মাণ ও বিল্ডিং ম্যাটেরিয়াল উৎপাদনকারী ৩০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান। কো-স্পন্সর হিসেবে অংশ নিয়েছে সুজান, ক্যাসারিকা ফার্নিশিং, ওপেল ইটালি, আর এম মেটাল, ইনোভেটিভ ডেকর এবং বারকোড রেস্টুরেন্ট গ্রুপ। এছাড়া পিটুপি’র সহযোগী আবাসন কোম্পানি উইকন প্রপার্টিজ রয়েছে অত্যাধুনিক বহুতল ভবন নির্মাণের পূর্ণাঙ্গ আয়োজন নিয়ে। এই এক্সপোতে উইকন ১২টি অত্যাধুনিক বিলাসবহুল প্রজেক্ট উপস্থাপন করেছে। প্রবেশ ফি ছাড়াই সবার জন্য উন্মুক্ত এই এক্সপো থেকে সব দর্শনার্থী ও আগ্রহীরা বিনামূল্যে সেবা পাচ্ছেন। পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে পাচ্ছেন ডিসকাউন্ট সুবিধা। বিভিন্ন কোম্পানির পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে সাশ্রয়ী অফার। এর মধ্যে রয়েছে- এক্সপোতে ফ্ল্যাট কিনলেই একটি ব্র্যান্ড নিউ গাড়ি ফ্রি, ফার্নিচার ও লাইফস্টাইল প্রোডাক্টে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক, আইফোন-১৪ প্রো সহ র‌্যাফেল ড্রতে আকর্ষণীয় পুরস্কার। এক্সক্লুসিভ অফার হিসেবে টার্নকি কনস্ট্রাকশন এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইন কনসালটেন্সিতে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এক্সপো’তে কথা হয় বেশ ক’জন গ্রাহকের সঙ্গে। ব্যবসায়ী সামিয়ুল নিজাম, প্রকৌশলী সামিনা চৌধুরী, চিকিৎসক মানজারুল হক, কলেজ শিক্ষক মুনতাহা নাজিরের কথায়, সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন করে আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গা তৈরি করেছে পিটুপি। সামর্থ্য থাকলেও কর্মব্যস্ত সময়ে নানা ধরনের ঝামেলা ও ভোগান্তি পোহাতে হয় সুখের নীড় সাজাতে। পিটুপি একই ছাদের নিচে এনে সব সমস্যার সমাধান করে দিচ্ছে। এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
পিটুপি’র গ্রুপ অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার রমেন দাশ গুপ্ত বলেন, নাগরিক জীবনে আভিজাত্যের ছোঁয়া লাগছে প্রতিনিয়ত। শুরু থেকেই পিটুপি ডিজাইন বিল্ড ম্যাটেরিয়াল ও ফার্নিচারের সমন্বিত সবকিছু নিয়েই কাজ করছে। বিল্ডিং ম্যাটেরিয়াল থেকে শুরু করে ঘর সাজানোর সব ধরনের ফার্নিচার, লাইটিং, বাড়ি বা অফিস ডেকোরেশনের অত্যাধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের সামগ্রী মিলছে এখানে। পিটুপির প্রতিষ্ঠান ‘উইকন প্রপার্টিজ’ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে মানসম্পন্ন দ্রুত নির্মাণ ও হস্তান্তরে নতুন বিপ্লব সূচনা করেছে। এক্সপো’তে প্রদর্শিত দোলনায় দুলতে গিয়ে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা সাজ্জাদ আলী তাই বললেন, পিটুপি’র কল্যাণে এবার হবে স্বপ্নপূরণ।

“চট্টগ্রামে সাজ সাজ রব, সর্বত্র উৎসবের আমেজ”
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

নগরজুড়ে ব্যস্ততা। কেউ দেয়ালে রঙ তুলিতে, কেউ আবার প্লাস্টার করতে।
কেউবা সড়ক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নে কাজে মনোনিবেশ। প্রস্তুতি চলছে তোরণ ও অভ্যর্থনা গেটের। সাজানো হচ্ছে বিভিন্ন
সরকারি-বেসরকারি দপ্তর ও অফিস। সড়কের ডিভাইডার, পুরাতন দেয়ালগুলো ধুয়ে মুছে ফেলা হচ্ছে। সব মিলিয়ে
বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বিরাজ করছে সাজ সাজ রব। নগরের প্রধান প্রধান সড়ক ছাপিয়ে অলি-গলিতে ছেয়ে গেছে
রাজনৈতিক নেতাদের ব্যানার-ফেস্টুনে।
সরেজমিনে দেখা যায়,  সিআরবির সাত রাস্তার মুখ এবং টাইগারপাশ মোড়ে বাঁশ দিয়ে বানানো হচ্ছে বড় গেইট । দেড়শো
শ্রমিক রঙ তুলির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।  তারই পাশে দেয়ালে  তুলি দিয়ে আছড় কাটছেন শিল্পীরা। সাদা, লাল ,
হলুদ এবং সবুজ রঙয়ে সেজে উঠছে দেওয়াল।  পলোগ্রাউন্ড মাঠে নতুন রুপ দিতে চলছে কর্মযজ্ঞ। আট ফুট উচু বাঁশ দিয়ে
পুরো মাঠ ঘেরা হয়েছে। সেখানে কিছু দিন পর ব্যানার ফেস্টুনে সেজে উঠবে। আগামী দশ থেকে ১২ দিনের মধ্যে  কাজ
শেষ করার কথা বলছেন নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, চট্টগ্রামে স্মরণকালের বৃহৎ জনসমাবেশ ঘটাতে এরই মধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছেন দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের
নেতাকর্মীরা। জনসভায় ১০ লাখ মানুষের সমাগমের টার্গেট নেওয়া হয়েছে। জনসমাবেশের বাইরে আশেপাশের এলাকায়
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনার জন্য ৩০০ মাইক লাগানোর ব্যবস্থা করা হবে। সাত ফুট উঁচু মঞ্চ তৈরির কাজ করা হবে। যার
দৈর্ঘ্য হবে ১২০ ফুট ও প্রস্ত ১৪০ ফুট। প্রধান অতিথির সঙ্গে ২০০ অতিথি বসার সুযোগ পাবেন মঞ্চে। জনসভায় নগরের
পাশাপাশি বিভিন্ন উপজেলার নেতাকর্মীরা অংশ নিবে।
আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডের মাঠে দলীয় জনসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসার খবর কানে পেতেই
তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে দিনটি ঘিরে। কয়েক ঘণ্টার জন্য চট্টগ্রামে আসা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে ব্যাপক প্রস্তুতি ও
কর্মযজ্ঞ চলছে দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও স্থানীয় প্রশাসনে। দফায় দফায় সমন্বয় সভায় বসছে সেবা সংস্থাগুলো।
দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পোহানো সড়কের খানাখন্দ সংস্কার ও মেরামতে হাত পড়েছে। এর সঙ্গে রাত দিন এক করে
নেতাকর্মীরা কাজ করে চলেছেন সমাবেশ সফল করতে। চাঙ্গা ভাব বিরাজ করছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝেও। এমন
সাজগোছ দেখে নগরবাসীর প্রত্যাশা হয়তো, প্রধানমন্ত্রী প্রতি বছর চট্টগ্রামে আসলে বদলে যাবে শহরটি।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন পর
প্রধানমন্ত্রী জনসমাবেশের জন্য চট্টগ্রামে আসছেন। আমাদের আনন্দের মাত্রা বুঝানো যাবে না। কোনো কমতি রাখা হবে
না।  ওই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে  দিক নির্দেশনা দিবেন। দলীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে
তিনি জনগণের কাছে বীর চট্টলা ও দেশের সম্পর্কেও বার্তা দিতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা দিন রাত নিরলনসভাবে কাজ করছেন। সবার লক্ষ্য একটাই বড়
জনসমাবেশের মাধ্যমে দেখিয়ে দিতে চাই আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে ছিল, আছে থাকবে। আগামী নির্বাচন সব দলের
জন্য চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার জন্য সবাই উন্মুক হয়ে আছে। দেশের মানুষকে বেছে নিতে
হবে তারা কী উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে সমুন্নত রাখবে? নাকি আবারও স্বাধীনতা বিরোধী ও বিএনপি-জামায়াতের অগ্নি সন্ত্রাস
ও সীমাহীন দুর্নীতিতে ফিরে যাবে। এদিকে জসমাবেশের মাঠ পরিদর্শন শেষে রেলপত্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম গণজমায়েতে আসা বিপুল সংখ্যাক মানুষ কোথায় রাখবেন সেই প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমরা কাউকে ভাড়া করে আনবো না। চট্টগ্রাম শহর ও আশেপাশের উপজেলার মানুষ এই সমাবেশে অংশ নেবেন। বিপুল সংখ্যাক মানুষ কোথায় জায়গা দেবো, সে চিন্তা করতে করতে হচ্ছে। সবাই প্রধানমন্ত্রীর কথা শোনার অধীর অপেক্ষায়। তারা নিজ থেকে থেকে আসবে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে সামনে রেখে গেল ১৭ নভেম্বর চসিকের সম্মেলন কক্ষে সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমস্বয় সভা
অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী যে আন্তরিতা দেখিয়েছেন তাঁকে স্বাগত  জানাতে নগরীকে
পরিপাটি করে সাজানো হচ্ছে। জনসভায় প্রবেশের পথ সুগম ও জনসাধারণের সুবিধার্থে মাঠের ভেতরে ও আশেপাশে সুপেয়
পানি, ভ্রাম্যমাণ ও অস্থায়ী টয়লেট স্থাপন করা হবে।
অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসমাবেশ ঘিরে নিরিবিচ্ছন্ন নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে জানালেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন
পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়। তিনি বলেন, বিশাল গণজমায়েতকে সামনে রেখে যাবতীয় নিরপত্তা ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হবে। সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের বাস, মাইক্রোবাস ও ভিআইপিদের প্রাইভেটকার পার্কিংয়ের স্থান নির্ধারণে
কাজ করছে ট্রাফিক বিভাগ। শিরগিরই গণম্যাধমে বিস্তারিত জানাতে হবে।
চলতি বছরের ১২ অক্টোবর পলোগ্রাউন্ড মাঠে সমাবশে করেছিল বিএনপি। দলটির দাবি করে ওই সমাবেশে বিপুল সংখ্যাক
জনসমাবেশ হয়েছির। এরপর থেকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিপুল সংখ্যাক জনসমাগমের
টার্গেট নিয়ে কাজ শুরু করে। চট্টগ্রামেও সেই ধারা বজায় রেখে এগোচ্ছে দলটি। এর আগে ২০১২ সালের ২৮ মার্চ নগরের
পলোগ্রাউন্ড মাঠে সমাবেশ অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

“চট্রগ্রামে ইয়াবাসহ মাদক বিক্রেতা আটক “
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

বাঁশখালীর মিনজিরি তলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৯১ হাজার ইয়াবাসহ
মো. শহীদ উল্লাহ (৩৫) নামে এক মাদক বিক্রেতাকে আটক করেছে র‌্যাব।শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে
সাতটার দিকে তাকে আটক করা হয়। মো. শহীদ উল্লাহ ওই এলাকার মৃত সৈয়দুল ইসলামের ছেলে।
র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো.নুরুল আবচার জানান, মিনজিরি তলা এলাকার শহীদ উল্লাহ’র
বসতঘরে মাদকদ্রব্য মজুত রেখে বিক্রয় করার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে  শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে
অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। ঘরে মাটির গর্ত থেকে ১টি প্লাস্টিকের ছোট বস্তায় সাদা পলিথিনের
ওপর স্কচটেপ মোড়ানো অবস্থায় ৯১ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে পরবর্তীতে
তা চট্টগ্রাম জেলা ও নগরের বিভিন্ন এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করে আসছে
শহীদ উল্লাহ। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি টাকা। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে
থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।