Dhaka ০১:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“কিশোরগঞ্জ, হোসেনপুরে  শীতের শাকসবজীর বাজারে দাম কিছুটা কমলেও এখনো বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।”

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:২৫:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৭১৫ Time View

“কিশোরগঞ্জ, হোসেনপুরে  শীতের শাকসবজীর বাজারে দাম কিছুটা কমলেও এখনো বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।”

কিশোরগঞ্জ  প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জ হোসেনপুর উপজেলা  থেকে গ্রাম অঞ্চলে প্রকৃতিতে শীতের আগমনী বার্তা অনুভব করা যাচ্ছে,তবে গত কয়েক দিন ধরে শীতের আমেজ দেখা দিয়েছে । ইতোমধ্যে হোসেনপুর,জগদল, গোবিন্দপুর, সূরাটি,  বাজারে শীতকালীন শাক-সবজি আসা শুরু করেছে। তবে দামের উত্তাপ এখন কিছুটা কমেছে। শীতের সবজি চড়া দামেই কিনতে হচ্ছে উপজেলাবাসীকে। শিম ছাড়া বেশির ভাগ সবজিতেই চড়া দাম লক্ষ্য করা গেছে। ৩ ডিসেম্বর শনিবার  উপজেলার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এই সব নিত্যপ্রয়োজনিয় শাক সবজির চিত্র দেখা গেছে। হোসেনপুর বাজারে গত এক সপ্তাহের বাজারদর তুলনা করলে দেখা যায়, সবজির মধ্যে শিমের দাম অর্ধেক কমেছে। দুই সপ্তাহ আগেও শিম বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে তা ছিল ৭০ টাকায়। এই সপ্তাহে শিম বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি দরে। শিমের দাম কমলেও বেড়েছে অন্যান্য সবজির দাম।বাজারে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। এছাড়া করলা ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, কচুর লতি ৪০ টাকা, দুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা ও শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
সবজির দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে বাজারের সবজি বিক্রেতা বলেন, ‘দাম তো কিছু কমলেও, আড়তে দাম না কমালে আমরা কি করবো, চাষিরা কম দামে বিক্রি করলেও, আড়তদারা মালের দাম কমাচ্ছেন না ।’একই কথা জানালেন গোবিন্দপুর   চৌরাস্তা মোড় সবজি বিক্রেতা, ‘শীতের সবজি এখনও পুরোপুরি আসে নাই। সবধরণের সবজি যখন আসবে, তখন দাম আরও কিছুটা কমতে পারে। বাজারে ৬০ টাকার কমে রয়েছে শুধুই পেঁপে। বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। লাউ আকারভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৩০ টাকা।কিছুটা কমেছে ফুলকপির দাম। বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস দরে।বাজারে কাঁচামরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০থেকে ৫০ টাকায়। কাঁচা কলার হালি ৩০থেকে ৩৫ টাকা। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, মূলা ২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে । ক্রেতা বিক্রেতারা ধারনা করছে, পুরোপুরি আমদানি হলে কাছা মালের দাম কিছুটা কমতে পারে, বোতল জাত সয়াবিন ১৭৮ লিটার,মুশুরী মোটা ডাল ১০০ টাকা কেজি, চিনি প্রতি বস্তায় ১০০ টাকা কমেছে প্রতি কেজি ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

“কিশোরগঞ্জ, হোসেনপুরে  শীতের শাকসবজীর বাজারে দাম কিছুটা কমলেও এখনো বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।”

Update Time : ০৬:২৫:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২

“কিশোরগঞ্জ, হোসেনপুরে  শীতের শাকসবজীর বাজারে দাম কিছুটা কমলেও এখনো বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।”

কিশোরগঞ্জ  প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জ হোসেনপুর উপজেলা  থেকে গ্রাম অঞ্চলে প্রকৃতিতে শীতের আগমনী বার্তা অনুভব করা যাচ্ছে,তবে গত কয়েক দিন ধরে শীতের আমেজ দেখা দিয়েছে । ইতোমধ্যে হোসেনপুর,জগদল, গোবিন্দপুর, সূরাটি,  বাজারে শীতকালীন শাক-সবজি আসা শুরু করেছে। তবে দামের উত্তাপ এখন কিছুটা কমেছে। শীতের সবজি চড়া দামেই কিনতে হচ্ছে উপজেলাবাসীকে। শিম ছাড়া বেশির ভাগ সবজিতেই চড়া দাম লক্ষ্য করা গেছে। ৩ ডিসেম্বর শনিবার  উপজেলার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এই সব নিত্যপ্রয়োজনিয় শাক সবজির চিত্র দেখা গেছে। হোসেনপুর বাজারে গত এক সপ্তাহের বাজারদর তুলনা করলে দেখা যায়, সবজির মধ্যে শিমের দাম অর্ধেক কমেছে। দুই সপ্তাহ আগেও শিম বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে তা ছিল ৭০ টাকায়। এই সপ্তাহে শিম বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি দরে। শিমের দাম কমলেও বেড়েছে অন্যান্য সবজির দাম।বাজারে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। এছাড়া করলা ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, কচুর লতি ৪০ টাকা, দুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা ও শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
সবজির দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে বাজারের সবজি বিক্রেতা বলেন, ‘দাম তো কিছু কমলেও, আড়তে দাম না কমালে আমরা কি করবো, চাষিরা কম দামে বিক্রি করলেও, আড়তদারা মালের দাম কমাচ্ছেন না ।’একই কথা জানালেন গোবিন্দপুর   চৌরাস্তা মোড় সবজি বিক্রেতা, ‘শীতের সবজি এখনও পুরোপুরি আসে নাই। সবধরণের সবজি যখন আসবে, তখন দাম আরও কিছুটা কমতে পারে। বাজারে ৬০ টাকার কমে রয়েছে শুধুই পেঁপে। বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। লাউ আকারভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৩০ টাকা।কিছুটা কমেছে ফুলকপির দাম। বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস দরে।বাজারে কাঁচামরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০থেকে ৫০ টাকায়। কাঁচা কলার হালি ৩০থেকে ৩৫ টাকা। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, মূলা ২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে । ক্রেতা বিক্রেতারা ধারনা করছে, পুরোপুরি আমদানি হলে কাছা মালের দাম কিছুটা কমতে পারে, বোতল জাত সয়াবিন ১৭৮ লিটার,মুশুরী মোটা ডাল ১০০ টাকা কেজি, চিনি প্রতি বস্তায় ১০০ টাকা কমেছে প্রতি কেজি ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।