Dhaka ০৪:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাহাড়ের পর্যটন নিয়ে বান্দরবানে ৭ম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:২১:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৪৬৪ Time View
পাহাড়ের পর্যটন নিয়ে বান্দরবানে ৭ম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ
তিন পার্বত্য জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পর্যটনকেন্দ্র নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে মাস্টার
প্ল্যান (মহাপরিকল্পনা)।গত কাল রবিবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে এ
মাস্টার প্ল্যান নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত স্থায়ী কমিটির ১ নং সাব কমিটির
৭ম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ বৈঠক চলে ১১ টা পর্যন্ত।
সাব কমিটির বৈঠকে আহ্বায়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দীপংকার তালুকদার,এমপি, সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি এবং
মীর মোস্তাক আহমেদ রবি,এমপি।
এ সময় বান্দরবান সেনা রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: জিয়াউল হক, বান্দরবান পার্বত্য জেলা
পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, বান্দরবান স্থানীয় সরকারের অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. লুৎফুর রহমান, বাংলাদেশ
ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে পাহাড়ের পর্যটনকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহন করা যায়, পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর
মাঝে সমন্বয় সাধন, পাহাড়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়।তবে এর আগে বান্দরবান প্রেস ক্লাবের
কনফারেন্স কক্ষে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড আয়োজিত পর্যটন সাংবাদিকতা বিষয়ক শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয় ।
প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের (অতিরিক্ত
সচিব)। প্রশিক্ষণে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রায় ৪০ জন সাংবাদিক অংশ নেন।
তিনি বলেন, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের কর্তৃপক্ষ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় । পর্যটন জেলা পরিষদের হস্তান্তরিত
বিষয়। আমরা হস্তান্তরিত বিষয়টির আইন কোট করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে চিঠি দিয়েছি। আর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ তিন
পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে পর্যটন নিয়ে কাজ করার জন্য সম্মতি দিয়েছে। এখন পাহাড়ের পর্যটন বিক্ষিপ্ত।
পর্যটনের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনার বিষয়ে আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের আরো বলেন, মাস্টার প্ল্যানে তিন পার্বত্য জেলায়
৯৬টি পর্যটন স্পট চিহ্ণিত করা হয়েছে। আবার এটিকে ৮টি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। বান্দরবান জেলাকে ৩ টি ক্লাস্টারে
ভাগ করা হয়েছে। পাহাড়ের স্থানীয় খাদ্য, বৈচিত্র, অবকাঠামো সহ নানা বিষয় নিয়ে ক্লাস্টার করা হয়েছে।
পর্যটন করতে গিয়ে পার্বত্য তিন জেলার (বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে) প্রাণি ও উদ্ভিদকূলের যাতে নষ্ট না হয়
সেটিও মহাপরিকল্পনায় আছে বলে জানান তিনি।
পরিকল্পিত পর্যটন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড। এ সময় পর্যটকদের সচেতন করতে এবং
দেশের পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে সাংবাদিকদের সহায়তা চান প্রতিষ্ঠানটির এ কর্মকর্তা।
পাহাড়ের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা আনছে সরিষা।
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ
পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে উন্নত জাতের সরিষার খেত। সবুজের পাদদেশে সরিষার খেতে ফুটেছে সরিষার ফুল। বিস্তীর্ণ জমিতে যেন হলুদের রঙছটা। স্বল্প সময় আর কম খরচে সরিষা চাষে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার স্বপ্ন বুনছেন পাহাড়ের প্রান্তিক কৃষকরা। গত বছরের তুলনায় এ বছর পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়িতে বেড়েছে সরিষার আবাদ। আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে পাহাড়ের প্রান্তিক কৃষক। সরকারিভাবে বিশেষ প্রর্দশনী প্লট ছাড়াও ব্যক্তি উদ্যোগে সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অনেকে। পাহাড়ে বেশিরভাগ জমিতেই বিনা ৯, বারি ১৪, ১৭ এবং মাঘী জাতের সরিষার আবাদ করছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা, পানছড়ি, মহালছড়ি ও মাটিরাঙ্গায় বিভিন্ন জাতের সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে প্রায় ২১০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। গত মৌসুমের তুলনায় এ বছর খাগড়াছড়িতে সরিষার আবাদ বেড়েছে। যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। সরিষা চাষে আর্থিক স্বচ্ছলতার স্বপ্ন দেখছেন খাগড়াছড়ি শহরের ১৫ কি.মি দূরের মাইসছড়ি এলাকার প্রান্তিক কৃষক রুপায়ন চাকমা। ব্যক্তি উদ্যোগে ৪০ শতক জমিতে বারি ১৪ জাতের সরিষার আবাদ করেছেন এ কৃষক। তবে কৃষি বিভাগ থেকে সার, বীজ ও কীটনাশক না পাওয়ার ক্ষোভের কথাও জানান তিনি।
৪০ শতক জমিতে সরিষা চাষে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সরিষা চাষে আগ্রহী হলেও আর্থিক সঙ্কটে অনেকেই সরিষা চাষ করতে পারছেন না। সরকারিভাবে প্রণোদনার পাশাপাশি ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করা হলে কৃষকরা সরিষা চাষ করে আর্থিক স্বচ্ছলতা পেতো। মাটিরাঙ্গার গোমতির সফল সরিষা চাষি মো. তৈয়ব আলী বলেন, বোরো ও আমনের মাঝামাঝি সময়ে পরিত্যক্ত জমিতে সরিষা চাষে বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
সরিষা চাষে সরকারি প্রণোনোদনা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে এ কৃষক বলেন, স্বল্প সময়ে সরিষা চাষে বেশি লাভবান হওয়ার কারণে
কৃষকের ভাগ্য বদলে যেতে পারে। কোনো ধরনের সরকারি প্রণোদনা ছাড়াই ৮০ শতক জমিতে বিলুপ্ত জাতের দেশি মাঘী জাতের
সরিষার আবাদ করেছেন শুভল চাকমা। তিনি জানান, বিলুপ্ত জাতের হওয়ায় এসব বীজ সংগ্রহ করতে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। মাঘী জাতের সরিষা চাষে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি দেশীয় জাতের বীজ সংরক্ষণ করা যাবে বলে মনে করেন এ প্রান্তিক চাষি।বিশ হাজার টাকা খরচে সরিষা চাষে তিনগুণ আয়ের স্বপ্ন দেখছেন এ চাষি।
সরিষা মধ্যবর্তী ফসল উল্লেখ করে খাগড়াছড়ি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. মর্ত্তুজ আলী বলেন, বোরো ওআমনের মাঝামাঝি দুই মাস সময়ে পরিত্যক্ত জমিতে সরিষা চাষ করে বাড়তি আয়ের সুযোগ বেছে নিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। বিগত সময়ের তুলনায় চলতি মৌসুমের কৃষকদের মাঝে সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে। বিনা ও বারি জাতের সরিষার জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ৪৯০টি প্রদর্শনী প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
প্রদর্শনী প্লটের বাইরেও প্রান্তিক চাষিরা ব্যক্তি উদ্যোগে সরিষা চাষে ঝুঁকছেন। এর মধ্যে বিলুপ্ত জাতের সরিষাও রয়েছে। জানা গেছে, সরিষা মধ্যবর্তী ফসল হিসেবে পরিচিত। আমনের ফসল ঘরে তোলার পর বোরো চাষের জন্য দুই মাস সময় অপেক্ষা করতে হয়। বোরো ও আমনের মাঝামাঝি সময়ে পরিত্যক্ত জমিতে সরিষা চাষ করে বাড়তি আয়ের সুযোগ বেছে নিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। সরিষা উৎপাদনে দেড় থেকে দু’মাসের মধ্যেই হয়ে যায়। প্রতি একর জমিতে সরিষা আবাদ করে ১০ থেকে ১৫ মণ পর্যন্ত সরিষা উৎপাদিত হয়। প্রতি মণ সরিষার ১২শ থেকে ১৩শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সরিষা আবাদে তেমন সেচের প্রয়োজন হয় না। কম সময়ে সরিষা চাষে ফলন পাওয়া যায়। সরিষার বড় শত্রু জাব পোকা। সরিষা উৎপাদন করে দেশের সরিষার তৈলের চাহিদা পূর্ণ হচ্ছে। সরিষার তেলের রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ। সরিষার খৈল পশুখাদ্য ও জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধির কাজে ব্যবহার হয়। সরিষার গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এছাড়া যে জমিতে সরিষার পাতা ঝড়ে পড়ে সে জমির খাদ্য চাহিদা অনেকাংশে মিটিয়ে থাকে।

“সাড়ে তিনশ’ বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করেছি: আনোয়ার পাশা”
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, পাহাড়ে
জীবনযাত্রায় ভিন্নতা ও বৈচিত্র্য আছে। পিছিয়ে পড়াদের মধ্যে আরও পিছিয়ে পড়া নারীরা।
তাদের জন্য সেবা নিশ্চিত করা সরকারসহ সব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কার্যক্রম
চাকরি জীবনে শুরু করি ২০১০ সালে নোয়াখালীতে। সাড়ে তিনশ’র মতো বাল্যবিয়ে আমি প্রতিরোধ করেছি।
ভিকটিমরা অনেকে নিজেরা ফোন করত। অভিযানে গিয়ে দেখেছি অনেক বর পালিয়ে গেছে। এখনো বড়
শহরগুলোতে বাল্যবিয়ের প্রবণতা আছে।
শুধু বাল্যবিয়ে ঠেকানো নয় আরো অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। যার বাল্যবিয়ে ঠেকাচ্ছি তাকে আমি সমাজের
মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে পারছি কিনা। যদিও আমরা সাম্যের কথা বলি কিন্তু নারীর প্রতি পরিবার ও সমাজের
মানসিকতায় অনেক বৈপরীত্য আছে। কন্যা শিশু হলে মাকে দোষারোপ করছি অথচ তাতে মায়ের বিন্দু পরিমাণ
ভূমিকা বা দায় নেই। এখন সময় বদলাচ্ছে। শুধু তথ্যপ্রযুক্তি নয় নাগরিকদের চিন্তায়ও ডিজিটাল এবং স্মার্ট হতে
হবে। তাহলেই কেবল ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে। শুধু পাহাড়ে নয় সমতলে
অনেক রকম মাইন্ডসেট আছে, অনেক কুসংস্কার আছে। এসব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
‘যুব ও কিশোর-কিশোরীদের জন্য নিশ্চিত হোক যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার বিষয়ক দুই দিনব্যাপী
এসআরএইচআর কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ
নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) এ কনফারেন্সের আয়োজন করে।
কনফারেন্সের দ্বিতীয় দিনের প্রথম অধিবেশনে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিএনপিএসের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সঞ্জয়
মজুমদার। মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রেজেন্টেশন দেন বিএনপিএসের মাস্টার ট্রেনার রিমি চাকমা ও
সুমিত বণিক। সঞ্জয় মজুমদারের সঞ্চালনায় এই সেশনে প্রধান আলোচক ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের
রিজিওনাল কনসালটেন্ট ডা. ছেহেলী নার্গিস। প্যানেল আলোচক ছিলেন উইভ'র নির্বাহী পরিচালক নাই উ প্রু
মারমা এবং টংগ্যার নির্বাহী পরিচালক প্রাণজিত দেওয়ান। আলোচনায় অংশ নেন কিশোরী ক্লাবের সদস্যরা।
দ্বিতীয় অধিবেশন হয় জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা বিষয়ে। এতে প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের
নৃবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খাদিজা মিতু। আলোচক ছিলেন ইলমার নির্বাহী পরিচালক জেসমিন
সুলতানা পারু, কেএমকেএসের নির্বাহী পরিচালক শেফালিকা ত্রিপুরা ও একেএসের নির্বাহী পরিচালক ডনাই প্রু
নেলী। এই অধিবেশনে প্রেজেন্টেশন দেন বিএনপিএসের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং কোঅর্ডিনেটর নাসরিন বেগম।
অধিবেশনগুলোতে সৃজনশীল কাজের প্রদর্শনী হিসেবে নাটক ও পোস্টার উপস্থাপন করেন কিশোরী ক্লাবের
সদস্যরা। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন মেন্টর, শিক্ষার্থী, কিশোরী ক্লাবের সদস্য এবং অংশগ্রহণকারীরা।
‘আমাদের জীবন, আমাদের স্বাস্থ্য, আমাদের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক প্রকল্পে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে ও
সিমাভি নেদারল্যান্ডসের কারিগরি সহযোগিতায় ৩ পার্বত্য জেলায় ১০টি স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা
(সিএসও) বাস্তবায়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। তিন পার্বত্য জেলার ১৭টি উপজেলার ৬১টি ইউনিয়নে

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০১৯ সাল থেকে শুরু হওয়া পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের অধীনে ৩০০ কিশোরী
ক্লাবের সদস্য সংখ্যা ১২ হাজার।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

পাহাড়ের পর্যটন নিয়ে বান্দরবানে ৭ম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

Update Time : ০৭:২১:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২
পাহাড়ের পর্যটন নিয়ে বান্দরবানে ৭ম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ
তিন পার্বত্য জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পর্যটনকেন্দ্র নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে মাস্টার
প্ল্যান (মহাপরিকল্পনা)।গত কাল রবিবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে এ
মাস্টার প্ল্যান নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত স্থায়ী কমিটির ১ নং সাব কমিটির
৭ম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ বৈঠক চলে ১১ টা পর্যন্ত।
সাব কমিটির বৈঠকে আহ্বায়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দীপংকার তালুকদার,এমপি, সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি এবং
মীর মোস্তাক আহমেদ রবি,এমপি।
এ সময় বান্দরবান সেনা রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: জিয়াউল হক, বান্দরবান পার্বত্য জেলা
পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, বান্দরবান স্থানীয় সরকারের অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. লুৎফুর রহমান, বাংলাদেশ
ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে পাহাড়ের পর্যটনকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহন করা যায়, পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর
মাঝে সমন্বয় সাধন, পাহাড়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়।তবে এর আগে বান্দরবান প্রেস ক্লাবের
কনফারেন্স কক্ষে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড আয়োজিত পর্যটন সাংবাদিকতা বিষয়ক শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয় ।
প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের (অতিরিক্ত
সচিব)। প্রশিক্ষণে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রায় ৪০ জন সাংবাদিক অংশ নেন।
তিনি বলেন, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের কর্তৃপক্ষ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় । পর্যটন জেলা পরিষদের হস্তান্তরিত
বিষয়। আমরা হস্তান্তরিত বিষয়টির আইন কোট করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে চিঠি দিয়েছি। আর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ তিন
পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে পর্যটন নিয়ে কাজ করার জন্য সম্মতি দিয়েছে। এখন পাহাড়ের পর্যটন বিক্ষিপ্ত।
পর্যটনের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনার বিষয়ে আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের আরো বলেন, মাস্টার প্ল্যানে তিন পার্বত্য জেলায়
৯৬টি পর্যটন স্পট চিহ্ণিত করা হয়েছে। আবার এটিকে ৮টি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। বান্দরবান জেলাকে ৩ টি ক্লাস্টারে
ভাগ করা হয়েছে। পাহাড়ের স্থানীয় খাদ্য, বৈচিত্র, অবকাঠামো সহ নানা বিষয় নিয়ে ক্লাস্টার করা হয়েছে।
পর্যটন করতে গিয়ে পার্বত্য তিন জেলার (বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে) প্রাণি ও উদ্ভিদকূলের যাতে নষ্ট না হয়
সেটিও মহাপরিকল্পনায় আছে বলে জানান তিনি।
পরিকল্পিত পর্যটন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড। এ সময় পর্যটকদের সচেতন করতে এবং
দেশের পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে সাংবাদিকদের সহায়তা চান প্রতিষ্ঠানটির এ কর্মকর্তা।
পাহাড়ের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা আনছে সরিষা।
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ
পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে উন্নত জাতের সরিষার খেত। সবুজের পাদদেশে সরিষার খেতে ফুটেছে সরিষার ফুল। বিস্তীর্ণ জমিতে যেন হলুদের রঙছটা। স্বল্প সময় আর কম খরচে সরিষা চাষে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার স্বপ্ন বুনছেন পাহাড়ের প্রান্তিক কৃষকরা। গত বছরের তুলনায় এ বছর পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়িতে বেড়েছে সরিষার আবাদ। আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে পাহাড়ের প্রান্তিক কৃষক। সরকারিভাবে বিশেষ প্রর্দশনী প্লট ছাড়াও ব্যক্তি উদ্যোগে সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অনেকে। পাহাড়ে বেশিরভাগ জমিতেই বিনা ৯, বারি ১৪, ১৭ এবং মাঘী জাতের সরিষার আবাদ করছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা, পানছড়ি, মহালছড়ি ও মাটিরাঙ্গায় বিভিন্ন জাতের সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে প্রায় ২১০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। গত মৌসুমের তুলনায় এ বছর খাগড়াছড়িতে সরিষার আবাদ বেড়েছে। যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। সরিষা চাষে আর্থিক স্বচ্ছলতার স্বপ্ন দেখছেন খাগড়াছড়ি শহরের ১৫ কি.মি দূরের মাইসছড়ি এলাকার প্রান্তিক কৃষক রুপায়ন চাকমা। ব্যক্তি উদ্যোগে ৪০ শতক জমিতে বারি ১৪ জাতের সরিষার আবাদ করেছেন এ কৃষক। তবে কৃষি বিভাগ থেকে সার, বীজ ও কীটনাশক না পাওয়ার ক্ষোভের কথাও জানান তিনি।
৪০ শতক জমিতে সরিষা চাষে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সরিষা চাষে আগ্রহী হলেও আর্থিক সঙ্কটে অনেকেই সরিষা চাষ করতে পারছেন না। সরকারিভাবে প্রণোদনার পাশাপাশি ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করা হলে কৃষকরা সরিষা চাষ করে আর্থিক স্বচ্ছলতা পেতো। মাটিরাঙ্গার গোমতির সফল সরিষা চাষি মো. তৈয়ব আলী বলেন, বোরো ও আমনের মাঝামাঝি সময়ে পরিত্যক্ত জমিতে সরিষা চাষে বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
সরিষা চাষে সরকারি প্রণোনোদনা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে এ কৃষক বলেন, স্বল্প সময়ে সরিষা চাষে বেশি লাভবান হওয়ার কারণে
কৃষকের ভাগ্য বদলে যেতে পারে। কোনো ধরনের সরকারি প্রণোদনা ছাড়াই ৮০ শতক জমিতে বিলুপ্ত জাতের দেশি মাঘী জাতের
সরিষার আবাদ করেছেন শুভল চাকমা। তিনি জানান, বিলুপ্ত জাতের হওয়ায় এসব বীজ সংগ্রহ করতে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। মাঘী জাতের সরিষা চাষে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি দেশীয় জাতের বীজ সংরক্ষণ করা যাবে বলে মনে করেন এ প্রান্তিক চাষি।বিশ হাজার টাকা খরচে সরিষা চাষে তিনগুণ আয়ের স্বপ্ন দেখছেন এ চাষি।
সরিষা মধ্যবর্তী ফসল উল্লেখ করে খাগড়াছড়ি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. মর্ত্তুজ আলী বলেন, বোরো ওআমনের মাঝামাঝি দুই মাস সময়ে পরিত্যক্ত জমিতে সরিষা চাষ করে বাড়তি আয়ের সুযোগ বেছে নিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। বিগত সময়ের তুলনায় চলতি মৌসুমের কৃষকদের মাঝে সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে। বিনা ও বারি জাতের সরিষার জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ৪৯০টি প্রদর্শনী প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
প্রদর্শনী প্লটের বাইরেও প্রান্তিক চাষিরা ব্যক্তি উদ্যোগে সরিষা চাষে ঝুঁকছেন। এর মধ্যে বিলুপ্ত জাতের সরিষাও রয়েছে। জানা গেছে, সরিষা মধ্যবর্তী ফসল হিসেবে পরিচিত। আমনের ফসল ঘরে তোলার পর বোরো চাষের জন্য দুই মাস সময় অপেক্ষা করতে হয়। বোরো ও আমনের মাঝামাঝি সময়ে পরিত্যক্ত জমিতে সরিষা চাষ করে বাড়তি আয়ের সুযোগ বেছে নিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। সরিষা উৎপাদনে দেড় থেকে দু’মাসের মধ্যেই হয়ে যায়। প্রতি একর জমিতে সরিষা আবাদ করে ১০ থেকে ১৫ মণ পর্যন্ত সরিষা উৎপাদিত হয়। প্রতি মণ সরিষার ১২শ থেকে ১৩শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সরিষা আবাদে তেমন সেচের প্রয়োজন হয় না। কম সময়ে সরিষা চাষে ফলন পাওয়া যায়। সরিষার বড় শত্রু জাব পোকা। সরিষা উৎপাদন করে দেশের সরিষার তৈলের চাহিদা পূর্ণ হচ্ছে। সরিষার তেলের রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ। সরিষার খৈল পশুখাদ্য ও জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধির কাজে ব্যবহার হয়। সরিষার গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এছাড়া যে জমিতে সরিষার পাতা ঝড়ে পড়ে সে জমির খাদ্য চাহিদা অনেকাংশে মিটিয়ে থাকে।

“সাড়ে তিনশ’ বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করেছি: আনোয়ার পাশা”
মোঃ ইব্রাহিম শেখ চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, পাহাড়ে
জীবনযাত্রায় ভিন্নতা ও বৈচিত্র্য আছে। পিছিয়ে পড়াদের মধ্যে আরও পিছিয়ে পড়া নারীরা।
তাদের জন্য সেবা নিশ্চিত করা সরকারসহ সব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কার্যক্রম
চাকরি জীবনে শুরু করি ২০১০ সালে নোয়াখালীতে। সাড়ে তিনশ’র মতো বাল্যবিয়ে আমি প্রতিরোধ করেছি।
ভিকটিমরা অনেকে নিজেরা ফোন করত। অভিযানে গিয়ে দেখেছি অনেক বর পালিয়ে গেছে। এখনো বড়
শহরগুলোতে বাল্যবিয়ের প্রবণতা আছে।
শুধু বাল্যবিয়ে ঠেকানো নয় আরো অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। যার বাল্যবিয়ে ঠেকাচ্ছি তাকে আমি সমাজের
মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে পারছি কিনা। যদিও আমরা সাম্যের কথা বলি কিন্তু নারীর প্রতি পরিবার ও সমাজের
মানসিকতায় অনেক বৈপরীত্য আছে। কন্যা শিশু হলে মাকে দোষারোপ করছি অথচ তাতে মায়ের বিন্দু পরিমাণ
ভূমিকা বা দায় নেই। এখন সময় বদলাচ্ছে। শুধু তথ্যপ্রযুক্তি নয় নাগরিকদের চিন্তায়ও ডিজিটাল এবং স্মার্ট হতে
হবে। তাহলেই কেবল ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে। শুধু পাহাড়ে নয় সমতলে
অনেক রকম মাইন্ডসেট আছে, অনেক কুসংস্কার আছে। এসব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
‘যুব ও কিশোর-কিশোরীদের জন্য নিশ্চিত হোক যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার বিষয়ক দুই দিনব্যাপী
এসআরএইচআর কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ
নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) এ কনফারেন্সের আয়োজন করে।
কনফারেন্সের দ্বিতীয় দিনের প্রথম অধিবেশনে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিএনপিএসের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সঞ্জয়
মজুমদার। মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রেজেন্টেশন দেন বিএনপিএসের মাস্টার ট্রেনার রিমি চাকমা ও
সুমিত বণিক। সঞ্জয় মজুমদারের সঞ্চালনায় এই সেশনে প্রধান আলোচক ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের
রিজিওনাল কনসালটেন্ট ডা. ছেহেলী নার্গিস। প্যানেল আলোচক ছিলেন উইভ'র নির্বাহী পরিচালক নাই উ প্রু
মারমা এবং টংগ্যার নির্বাহী পরিচালক প্রাণজিত দেওয়ান। আলোচনায় অংশ নেন কিশোরী ক্লাবের সদস্যরা।
দ্বিতীয় অধিবেশন হয় জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা বিষয়ে। এতে প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের
নৃবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খাদিজা মিতু। আলোচক ছিলেন ইলমার নির্বাহী পরিচালক জেসমিন
সুলতানা পারু, কেএমকেএসের নির্বাহী পরিচালক শেফালিকা ত্রিপুরা ও একেএসের নির্বাহী পরিচালক ডনাই প্রু
নেলী। এই অধিবেশনে প্রেজেন্টেশন দেন বিএনপিএসের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং কোঅর্ডিনেটর নাসরিন বেগম।
অধিবেশনগুলোতে সৃজনশীল কাজের প্রদর্শনী হিসেবে নাটক ও পোস্টার উপস্থাপন করেন কিশোরী ক্লাবের
সদস্যরা। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন মেন্টর, শিক্ষার্থী, কিশোরী ক্লাবের সদস্য এবং অংশগ্রহণকারীরা।
‘আমাদের জীবন, আমাদের স্বাস্থ্য, আমাদের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক প্রকল্পে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে ও
সিমাভি নেদারল্যান্ডসের কারিগরি সহযোগিতায় ৩ পার্বত্য জেলায় ১০টি স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা
(সিএসও) বাস্তবায়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। তিন পার্বত্য জেলার ১৭টি উপজেলার ৬১টি ইউনিয়নে

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০১৯ সাল থেকে শুরু হওয়া পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের অধীনে ৩০০ কিশোরী
ক্লাবের সদস্য সংখ্যা ১২ হাজার।