“উলিপুরে সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে হামলা থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে।
উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি –
কুড়িগ্রামের উলিপুরে সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলা সাব-রেজিষ্টার কার্যালয়ে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ ওই দিন রাতে থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের পুরির পটল এলাকার দলিলকৃত একটি জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ওই জমিকে কেন্দ্র করে গ্রাম আদালতে মামলা হয়। মঙ্গলবার ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মোখলেছুর রহমান উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে দলিলটি দেখতে চান। এ সময় সাব-রেজিষ্টার তার কাছে লিখিত আবেদন চান। এরপর তিনি লিখিত আবেদন নিয়ে গেলে বিধি মোতাবেক না হওয়ায় সাব রেজিষ্টার তা ফেরত দেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাব-রেজিষ্টার অফিসে হামলা, অফিস সহকারী বিকাশ চন্দ্র সরকারকে মারধর ও সরকারি কাজে বাঁধাদানসহ দলিলের কাজ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। বিকাশ চন্দ্র বাদী হয়ে মোখলেছুর রহমান (৫০) ও মুসা মিয়ার (৪৫) বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। এদিকে এ ঘটনায় তবকপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মোখলেছুর রহমান সাব রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক তার উপর হামলা ও সাব রেজিস্ট্রারের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান বলেন, দলিলকৃত একটি জমি নিয়ে আমার গ্রাম আদালতে মামলা হয়। পরে তা থানা পর্যন্ত গড়ায়। থানায় মামলা নিস্পত্তির জন্য আমি ও উলিপুর থানার এস.আই তাজউদ্দিন সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে গিয়ে স্ব-চোখে ওই জমির তফশীল দেখার জন্য আবেদন করি। কিন্তু সাব-রেজিস্ট্রার সে আবেদন গ্রহন করেনি। এ ঘটনার আমি প্রতিবাদ করলে অফিসের সকলে মিলে আমার উপর হামলা করে। এই সাব-রেজিস্ট্রার উলিপুরে যোগদানের পর থেকে স্বেচ্ছাচারিতা ও নানা রকম দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ ভাবে অর্থ উর্পাজন করে আসছেন। ঘটনার প্রতিকার চেয়ে থানায় অভিযোগ করেছি। তবে তিনি অফিস সহকারীকে মারধর ও সরকারি কাজে বাঁধাদানের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তারাই আমার উপর হামলা করেছে। এ ব্যাপারে উলিপুর থানার এস.আই তাজউদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি সাব-রেজিষ্টার অফিসে যাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি ওই চেয়ারম্যানের সাথে যাইনি। তাহলে সাবরেজিষ্টার অফিসে গিয়েছিলেন কেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অন্য কাজে গিয়েছিলাম। কি কাজে গিয়েছিলেন তার সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে উলিপুর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার নাবিব আফতাব বলেন, দলিল লেখক মোখলেছুর রহমান অফিসের রেকর্ডরুমে ঢুকে পূর্বের একটি দলিল দেখতে চান। যার সাথে তিনি সম্পৃক্ত নন। দলিলের তথ্য জানতে চাইলে যথাযথা নিয়ম অনুসরন করে রেজিষ্টেশন বিধিমালা অনুসরন পূর্বক আবেদন করতে হয়। তিনি আরও বলেন, ওই দলিল লেখক বিধিমালা অনুসরন না করে দলিল দেখতে চান। অফিস সহকারী বিকাশ চন্দ্র সরকার দলিল দেখাতে না চাইলে ওই দলিল লেখক তাকে মারধর করেন। এ সময় তিনি সরকারি কাজে বাঁধা প্রদানসহ দলিল করতেও বাঁধা দেন। এ ঘটনায় অফিস সহকারী থানায় অভিযোগ করেছেন। তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো মিথ্যা অভিযোগ।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আশরাফুজ্জামান সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের ঘটনায় উভয় পক্ষের অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।”
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের পুরির পটল এলাকার দলিলকৃত একটি জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ওই জমিকে কেন্দ্র করে গ্রাম আদালতে মামলা হয়। মঙ্গলবার ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মোখলেছুর রহমান উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে দলিলটি দেখতে চান। এ সময় সাব-রেজিষ্টার তার কাছে লিখিত আবেদন চান। এরপর তিনি লিখিত আবেদন নিয়ে গেলে বিধি মোতাবেক না হওয়ায় সাব রেজিষ্টার তা ফেরত দেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাব-রেজিষ্টার অফিসে হামলা, অফিস সহকারী বিকাশ চন্দ্র সরকারকে মারধর ও সরকারি কাজে বাঁধাদানসহ দলিলের কাজ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। বিকাশ চন্দ্র বাদী হয়ে মোখলেছুর রহমান (৫০) ও মুসা মিয়ার (৪৫) বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। এদিকে এ ঘটনায় তবকপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মোখলেছুর রহমান সাব রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক তার উপর হামলা ও সাব রেজিস্ট্রারের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান বলেন, দলিলকৃত একটি জমি নিয়ে আমার গ্রাম আদালতে মামলা হয়। পরে তা থানা পর্যন্ত গড়ায়। থানায় মামলা নিস্পত্তির জন্য আমি ও উলিপুর থানার এস.আই তাজউদ্দিন সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে গিয়ে স্ব-চোখে ওই জমির তফশীল দেখার জন্য আবেদন করি। কিন্তু সাব-রেজিস্ট্রার সে আবেদন গ্রহন করেনি। এ ঘটনার আমি প্রতিবাদ করলে অফিসের সকলে মিলে আমার উপর হামলা করে। এই সাব-রেজিস্ট্রার উলিপুরে যোগদানের পর থেকে স্বেচ্ছাচারিতা ও নানা রকম দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ ভাবে অর্থ উর্পাজন করে আসছেন। ঘটনার প্রতিকার চেয়ে থানায় অভিযোগ করেছি। তবে তিনি অফিস সহকারীকে মারধর ও সরকারি কাজে বাঁধাদানের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তারাই আমার উপর হামলা করেছে। এ ব্যাপারে উলিপুর থানার এস.আই তাজউদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি সাব-রেজিষ্টার অফিসে যাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি ওই চেয়ারম্যানের সাথে যাইনি। তাহলে সাবরেজিষ্টার অফিসে গিয়েছিলেন কেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অন্য কাজে গিয়েছিলাম। কি কাজে গিয়েছিলেন তার সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে উলিপুর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার নাবিব আফতাব বলেন, দলিল লেখক মোখলেছুর রহমান অফিসের রেকর্ডরুমে ঢুকে পূর্বের একটি দলিল দেখতে চান। যার সাথে তিনি সম্পৃক্ত নন। দলিলের তথ্য জানতে চাইলে যথাযথা নিয়ম অনুসরন করে রেজিষ্টেশন বিধিমালা অনুসরন পূর্বক আবেদন করতে হয়। তিনি আরও বলেন, ওই দলিল লেখক বিধিমালা অনুসরন না করে দলিল দেখতে চান। অফিস সহকারী বিকাশ চন্দ্র সরকার দলিল দেখাতে না চাইলে ওই দলিল লেখক তাকে মারধর করেন। এ সময় তিনি সরকারি কাজে বাঁধা প্রদানসহ দলিল করতেও বাঁধা দেন। এ ঘটনায় অফিস সহকারী থানায় অভিযোগ করেছেন। তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো মিথ্যা অভিযোগ।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আশরাফুজ্জামান সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের ঘটনায় উভয় পক্ষের অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।”