ফেনীর ছাগলনাইয়ার মহামায়ায় ব্রীজের শুভ উদ্ভোধন করেন সংসদ সদস্য শিরিন আখতার ।
আবুল হাসনাত রিন্টু, ফেনী প্রতিনিধি :
দীর্ঘদিনের প্রতিক্ষিত ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার মহামায়া, পাঠাননগর ও ফুলগাজীর জিএম হাট ইউনিয়নের মানুষের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন মহামায়া ব্রীজের উদ্ভোদন হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী ০১ আসনের সংসদ সদস্য শিরিন আখতার এই ব্রীজের উদ্ভোধন করেন।
উদ্ভোধন কালে এমপি শিরিন আক্তার বলেন, আমরা যেদিকেই তাকাই সরকারের উন্নয়ন দেখতে পাই। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। উন্নয়নের সূচকে আমাদের দেশ ভারত পাকিস্তান থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। ফেনী ০১ আসনে কত উন্নয়ন হয়েছে গুনে শেষ করা যাবে না। ফুলগাজীর হাজীর বাগনার জন্য কেঁদেছিল মানুষ, খালেদা দেয়নি। আমরা করে দিয়েছি।এর ধারাবাহিকতায় আমরা মহামায়া ব্রীজের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাস্তবায়ন হয়েছে। এতে এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক সাফল্য বয়ে আনবে।
উক্ত উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফেনী পুলিশ সুপার জাকির হাসান, ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌমিতা দাশ, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার +ছাগলনাইয়া সার্কেল) মাহমুদুল হাসান,ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আল আমিন,এলজিআরডি ফেনীর সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী সৌরভ দাশ, ছাগলনাইয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফখরুল ইসলাম।
পাঠাননগরের সাবেক চেয়ারম্যান কবির আহমেদের সভাপতিত্বে এবিএম নিজাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন পাঠাননগর ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জুয়েল,জেলা জাসদের সভাপতি নুরুল আমিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিআরডিবির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মুজিব,উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাই ভূঁইয়া, জেলা মহামায়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজাহান মিনু, ছাগলনাইয়া উপজেলা জাসদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই প্রমুখ। শুরুতে প্রায় আট কোটি টাকা ব্যয়ে ৯০ মিটার প্রশস্ত মহামায়া ব্রিজ উদ্বোধন করা হয়।
ফেনীতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের আগমন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আবুল হাসনাত রিন্টু, ফেনী প্রতিনিধি –
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এম.পি ফেনীতে আগমন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বার) সন্ধ্যায় ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে । উক্ত প্রস্তুতি সভায়, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী।
তিনি বলেন,ফেনীর জনগণকে ভালোবাসেন বলেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের টানা তিনবারের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সর্ব প্রথম ফেনীতে আগমন করবেন। এই উপলক্ষে আমাদের ফেনী বাসির উচিত আমরা উনাকে কতটা ভালোবাসি তা দেখিয়ে দেয়া। তার জন্য আমাদের সকলকে সুন্দর করে এই অনুষ্ঠানটি সফল করার লক্ষ্যে কাজ করে যেতে হবে। এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে ফেনী ক্যাডেট কলেজ মাঠ প্রাঙ্গন।অনুষ্ঠানটি সফল ও সার্থক করার জন্য আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের সকল নেতাকর্মীকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
ফেনী জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট হাফেজ আহম্মেদ পিপির সভাপতিত্বে এসময় আর ও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মাস্টার আলী হায়দার ,যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক আব্দুল করিম, ফেনী সদর উপজেলা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ছনুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কলিমুল্লাহ বিকম, ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু শুসেন চন্দ্র শীল, ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাহ উল হায়দার চৌধুরী সোহেল, দাগনভূইঞা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, পরশুরাম উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল মজুমদার সহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
ফেনীর সোনাগাজীতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য বীর নিবাস নির্মাণে বাঁধা ও হয়রানির অভিযোগ।
ফেনী প্রতিনিধি :-
ফেনীর সোনাগাজীতে একটি বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে হুমকি, নানাভাবে হয়রানি ও বীর নিবাস নির্মাণ কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিন জানা যায়, সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের সাতবাড়ীয়া গ্রামের আবদুল আজিজ কেরানী বাড়ীর প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার গোলাম রসুল (মুক্তিযোদ্ধা নং- ০১৩০০০০২০১১ লাল মুক্তিবার্তা গেজেট নং- ০২১১০৫১৮২) এর পরিবারের বসবাসের জন্য তার বিধবা স্ত্রী ফেরদৌস আরা বেগমের নামে সরকারি ভাবে বরাদ্দকৃত বীর নিবাস মুবিম/পিডি/অ,বী,মু,আ,নি,প্র/ম- ০১২০২১/৬৩৮ নং স্মারকে বরাদ্দকৃত ঘরের ক্রমিক নং- ২৫, মৃত মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার গোলাম রসুলের মালিকানাধীন সাতবাড়ীয়া মৌজার ১০১ নং খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত নিজ মালিকীয় ৮৫৩ ও ০৯২১ দাগ (বাড়ী ও ভিটি) ২৫/৩/১৯৭২ সালে গোলাম রসুলের নির্মিত টিনসেট ঘরটি ভেঙে সেই স্থানে বীর নিবাস নির্মাণ কাজ শুরু করলে (২৮শে ডিসেম্বর বুধবার সকালে) একই বাড়ীর প্রতিপক্ষ জহির আব্বাস স্বপন, আনোয়ার শাহাদাত মঞ্জুর, নাসির আব্বাস রিপন ও মোকাদ্দেছ আব্বাস সিপন সহ তাদের লোকজন বাঁধা সৃষ্টি করে ও প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি ধমকি দিতে থাকে।
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সানী জানান- ২০০১ সালের পর থেকে তারা নানাভাবে নির্যাতিত ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। ইতিমধ্যে তিনি তাকে হুমকি ধমকি দেওয়া ও তার ঘরবাড়ি জবরদখল করার চেষ্টা ও বীর নিবাস নির্মাণে বিঘ্ন সৃষ্টি করায় ও সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ নং- ৩৫৫ তারিখ ০৭/০৬/২০২২ ইং ও পুলিশ সুপার ফেনী বরাবর লিখিত অভিযোগ নং- ১৬৩৭- ১৫/১২/২০২২ ইং দায়ের করা হয়। ফেনী-২ আসনের সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীর নিকট ১৭ই নভেম্বর লিখিতভাবে বীর নিবাস নির্মাণ কাজে সহযোগিতা কামনা করা হয়।
প্রতিপক্ষ জহির আব্বাস স্বপন বলেন, উক্ত ঘরে তারা বসবাস করেন, সানী ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে ঘর ভাঙা ও তার পরিবারের সদস্যদের মারধোর করার অভিযোগে মামলা করবেন। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান রাইসুল কায়েস সানীর অভিযোগের ভিত্তিতে সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ খালেদ হোসেন সহ পুলিশ সদস্যগণ (২৮শে ডিসেম্বর) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয়পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলা হয় এবং তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।
ফেনী নদীতে ৪০০ কেজি ওজনের শাপলা মাছের দেখা মিললো।
আবুল হাসনাত রিন্টু, ফেনী প্রতিনিধি –
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বড় ফেনী নদীতে এবার জেলেদের জালে প্রায় ১০ মণ ওজনের বিশাল আকারের একটি ‘শাপলাপাতা’ মাছ ধরা পড়েছে। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলের দিকে উপজেলার চর খোন্দকার জেলেপাড়া এলাকার জেলে হিরেন্দ্র জলদাসের জালে মাছটি ধরা পড়ে।
মৎস্যজীবী হিরেন্দ্র জলদাস বলেন, গতকাল সকালে তিনি তিনজন সহকারী নিয়ে মাছ ধরতে বড় ফেনী নদীর শেষ সীমানায় বঙ্গোপসাগরের মোহনায় যান। দুপুরের পর জালটি টেনে তোলার সময় ভারী লাগে।নৌকায় থাকা তাঁরা চারজন মিলে জাল টেনে তুলতে পারছিলেন না। পরে আশপাশের নৌকা থেকে আরও চার-পাঁচজনকে ডেকে এনে জালটি নৌকায় তোলা হয়। তখন তিনি দেখতে পান, তাঁদের জালে ধরা পড়েছে ‘শাপলাপাতা’ মাছ। পরে বিকেলে তাঁরা মাছটিকে নৌকায় করে নদীর তীরে স্থানীয় আড়তে নিয়ে আসেন। শাপলাপাতার সঙ্গে ৩০ কেজির অন্য আরও মাছ ধরা পড়েছে।
নৌকার মালিক হিরেন্দ্র জলদাস বলেন, ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতের কারণে নদীতে তেমন বড় মাছ ধরা পড়ছে না। মাঝেমধ্যে দুই-একটি মাছ পাওয়া যায়। তবে বড় আকারের শাপলাপাতা–জাতীয় মাছ এই অঞ্চলে তেমন দেখা যায় না। বেশ কয়েক বছর পর ‘শাপলাপাতা’ মাছ ধরা পড়েছে। তবে মাঝেমধ্যে ১০ থেকে ২০ কেজি ওজনের শাপলাপাতা মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ে থাকে। বেশ কয়েক বছর পর এবার এত বড় মাছ ধরা পড়ল।
সোনাগাজী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তূর্য সাহা বলেন, শাপলাপাতা একটি সামুদ্রিক মাছ। এই অঞ্চলের মানুষের কাছে বেশি পরিচিত না থাকায় এর চাহিদা কম। তবে সমুদ্রবেষ্টিত অঞ্চলের মানুষের কাছে এটি খুবই সুস্বাদু ও জনপ্রিয় একটি মাছ।
Thank you for your sharing. I am worried that I lack creative ideas. It is your article that makes me full of hope. Thank you. But, I have a question, can you help me?