রাজাকারদের তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে : ফেনীতে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী ।
আবুল হাসনাত রিন্টু, ফেনী প্রতিনিধি –
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, রাজাকারদের তালিকা করার আগে আইনগত বৈধতা ছিল না। বিগত পার্লামেন্টে এই আইন পাস হয়েছে। রাজাকারের তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে। যেসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকাতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যেসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা এতদিন পর্যন্ত ভাতা গ্রহণ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে না পারলেও তাদের ভাতা ফেরত নেয়ার ব্যবস্থা করব। বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। এখন আপিলের কাজ চলছে। উপজেলা কমিটির কাছে কেউ যদি সুবিচার না পায় তাদের কেন্দ্রীয়ভাবে আপিল করার সুযোগ রয়েছে। শুক্রবার (৬ জানুয়ারী) ফেনীর দাগনভূঞায় এক কেরাত সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর দারুল উলুম মহিউচ্ছুন্নাহ মাদরাসার ইসলামি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে এসব কথা বলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম নামে কিছু সংগঠন তৈরি হয়েছে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এসব সংগঠনের কোন স্বীকৃতি নাই। যে যা করছে নিজ উদ্যোগে করছে। এগুলোতে সরকারের কোন অনুমোদন নেই। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেই। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকেও কোন অনুমোদন নাই। রঘুনাথপুর দারুল উলুম মহিউচ্ছুন্নাহ মাদরাসার মুহতামিম ও এনটিভি লন্ডনের উপস্থাপক মাওলানা সালাহ উদ্দিন জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক ক্বেরাত সংস্থা বাংলাদেশের মহাসচিব শায়েখ সাদ সাইফুল্লাহ মাদানী প্রমুখ।
সোনাগাজীতে সান জেনারেল হাসপাতালের এমডি’র বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ফেনী প্রতিনিধি :
ফেনীর সোনাগাজীতে সান জেনারেল হাসপাতালের এমডি মোঃ আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ।
শনিবার (৭ই জানুয়ারী) বিকেলে সোনাগাজী পৌর শহরের একটি রেষ্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে “সান ডায়াগনস্টিক এণ্ড কেয়ার লিঃ” মুগদা, ঢাকা (ট্রেড লাইসেন্স নং- ০২০৬৩৮৭০, জয়েন স্টক রেজিঃ নং- ১৩১৫০৯) এর চেয়ারম্যান পরিচয়ে প্রবাসী আবু ইউসুফ, স্বরাজপুর, সোনাগাজী, ফেনী বলেন- আমরা প্রবাসে আয়লদ্ধ অর্থ দিয়ে গত ৩০/০৫/২০১৬ইং অত্র প্রতিষ্ঠানের ৮৫% শেয়ার ক্রয় করি, বাকী ১৫% শেয়ারের মালিক পক্ষকে পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে আমরা প্রবাসে চলে যাই। কিছুদিন পর থেকে ২য় পক্ষ প্রতিমাসে লোকসান দেখিয়ে আমাদেরকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
এমতাবস্থায় আমরা ৮৫% শেয়ারের মালিকগণ বাধ্য হয়ে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিই। অনেক দরকষাকষির পর ২৩/০৬/২০১৮ইং আমাদের সমুদয় শেয়ার ২য়পক্ষের মোঃ আলাউদ্দিন (জাতীয় পরিচয়পত্র নং ২৬১১২৯৩১৬০২৬০, মোবাইল নং ০১৭২০৬৪৪৮৭১) এর নিকট ৬৮,০০,০০০/= (আটষট্টি লক্ষ) টাকার বিনিময়ে ৩মাসের মধ্যে সমুদয় অর্থ প্রদানের শর্ত সাপেক্ষে চুক্তি করি। কিন্তু বায়নার ১০ লাখ টাকার পর থেকে সে গড়িমসি শুরু করে। ডিড এর ৫টি চেকের ১টি চেকও পাশ হয়নি। টাকার জন্য তাগিদ দিতে থাকলে এবং দফায় দফায় বৈঠক করলে লভ্যাংশের কিছু টাকা প্রদান করে। কিন্তু এখনো তার নিকট মুলধন ও লভ্যাংশ বাকি। বারবার টাকার জন্য দাগিদ দিয়ে ব্যর্থ হয়ে সু-বিচার চেয়ে ১৬/১০/২০১৯ইং তারিখে মুগদা থানায় জিডি নং- ৮২৮ দায়ের করি। কিন্তু কোন প্রতিকার পাইনি।
করোনা মহামারীর কারণে আমরা প্রবাসীরা দেশে আসতে না পারায় সে আরও বেশী ভয়ংকর হয়ে উঠে, ২৪জন মালিকের মধ্যে ১৮জন (যাহার ৮৫℅ শেয়ারের মালিক আমার পক্ষে হলেও সে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড পরিবর্তন করে বেআইনি ভাবে লিঃ শব্দটি বাদ দেয়, বাধ্য হয়ে মুগদা থানায় পুনরায় জিডি নং-১৫৩৩ (২৮/০৮/২০২১) দায়ের করি। এবং ডিসি মতিঝিল, প্রবাসী কল্যান মন্ত্রণালয় ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর একটি পত্র দেই যার স্মারক নং ১২৩০ (০৫/০৯/২০২১)।
আলাউদ্দিন আইনলঙ্ঘন করে বেআইনি ভাবে প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড পরিবর্তন করে প্রতিষ্ঠানটি তার নিজের দখলে নিতে চায়, পাওনা টাকা চাইলে আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে। উল্টো সে আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী আচরণের মামলা করে। অথচ মামলা দায়েরের সময়ে আমি সৌদি আরব অবস্থানরত ছিলাম। সম্প্রতি সে আমাদের না জানিয়ে আমাদের অর্থ দিয়ে সোনাগাজীতে সান জেনারেল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে যা কোন বোর্ড মিটিংয়ে পাশ হয়নি।
এমতাবস্থায় আমাদের বিনিয়োগকৃত অর্থ ও লভ্যাংশ ফেরত পেতে প্রশাসন ও সাংবাদিকদের সহায়তা কামনা করছি।