বাগেরহাটে অগ্নিকান্ডে দুই দোকান ভষ্মিভূত, ১১ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বাগেরহাট প্রতিনিধি –
বাগেরহাটে গভীর রাতে আগুন লেগে দুটি মুদি দোকান ভুষ্মিভূত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) ভোররাতে সদর উপজেলার পুটিমাড়ি ব্রিজের পাশে
এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস মিনিট দশেকের চেষ্টায়
আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। এর আগেই দোকানের সব মালামাল পুরে যায়। এতে প্রায়
১১ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে দাবি দোকান মালিকদের। ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিকরা
হলেন, গোবরদিয়া এলাকার মোঃ জালাল হাওলাদার ও আইয়ুব আলী মোল্লা।
ক্ষতিগ্রস্থ দোকানি মোঃ জালাল হাওলাদার বলেন, রাত আড়াইটার দিকে পুলিশ ও
স্থানীয়রা ডাক চিৎকারে ঘুম ভেঙ্গে যায়। রাস্তায় এসে দেখি আমাদের দোকানে
ধাউ ধাউ করে আগুন জ্বলছে। প্রায় তিনটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন
আসেন। খুব অল্প সময়ে আগুন নেভালেও, আমাদের সবকিছু পুরে যায়। দোকানের
ফ্রীজ, অন্যান্য মালামালসহ সব মিলিয়ে আমার ৬ লক্ষ টাকার মত ক্ষতি হয়েছে।
আইয়ুব আলী মোল্লার ও ৫ লক্ষ টাকার মালামাল পুরে গেছে। ব্যাংক ও এনজিও থেকে
ঋণ নিয়ে এই ব্যবসা চালাই। এখন কিভাবে ঋণ শোধ করব জানি না।
আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে মোঃ জালাল হাওলাদার বলেন, সবাই হয়ত বলবে, শর্ট
সার্কিটের মাধ্যমে আগুন লেগেছে। আসলে তা নয়, শর্ট সার্কিট হওয়ার মত
কোন ইস্যু নেই দোকানে। কেউ হয়ত শত্রুতা করে আগুন লাগিয়েছে। এটা সঠিক
তদন্ত করলে পাওয়া যাবে।
বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোঃ
শাহজাহান সিরাজ বলেন, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। আগুন নেভাতে
সক্ষম হই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে এই
আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
বাগেরহাটে লোকালয়ে বাঘ আতংক, জনসচেতনতায় বনবিভাগ মাইকিং করছে।
বাগেরহাট প্রতিনিধি –
বাগেরহাটের শরণখোলার লোকালয়ে বাঘ আতংক দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২
জানুয়ারি) সকালে উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন সোনাতলা গ্রামের
রাস্তা,বেড়ীবাঁধ ও পুকুর পাড়ে বাঘের একাধিক পায়ের ছাপ দেখা যায়।
গ্রামবাসীদের সচেতন করতে বনবিভাগ মাইকিং করছে।
সুন্দরবনের ভোলা ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির বনরক্ষী আঃ রহিম বলেন, গ্রামে বাঘ আসার খবর
পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঘের পায়ের ছাপ দেখা যায়। তিনি জানান, বাঘের পায়ের
ছাপ দেখে ধারণা করা হচ্ছে দুটি বাঘ গ্রামে ঢুকেছে। বৃহস্পতিবার সকাল
থেকে বনবিভাগ গ্রামবাসীদের সাবধানে চলাচলের জন্য মাইকিং শুরু করেছে।
পূর্ব সুন্দরবনের রেঞ্জকর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসূল আরেফিন জানিয়েছেন,
বাঘের পায়ের ছাপ ট্রেস করে আমরা মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছি যে বাঘ বনে
ফিরে গেছে,তবে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য বনবিভাগের পক্ষ থেকে এলাকায়
মাইকিং করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ বাগেরহাট এর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা
(ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, বাঘ সুন্দরবনে ফিরিয়ে নিতে
লোকালয়ে বাঘের সন্ধান করার জন্য বনরক্ষীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং
জনসাধারণের সচেতন করতে বনবিভাগ ইতোমধ্যে মাইকিং শুরু করেছে।
বাগেরহাট
১২.০১.২০২৩