সিলেটের বিয়ানীবাজারের লাউতায় ইসলাম ভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেল মুক্ত বাতাস ইউটিউব চ্যানেলের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। 
জুনাইদ আহমদ, বিয়ানীবাজার:

সিলেটের বিয়ানীবাজারের লাউতায় ইসলাম ভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেল মুক্ত বাতাস -এর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার সময় লাউতার বারইগ্রামবাজারের এক অস্থায়ী কার্যালয়ে চ্যানেলের পরিচালক মাওলানা গোলাম রাব্বানী মাসুম’র পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চ্যানেলের উপদেষ্টা, লন্ডনের মসজিদে নামিরা এর ইমাম ও খতীব, বিশিষ্ট সমাজসেবক এম. আখতারুজ্জামান সাহেব।  তিনি স্বদেশ আগমন করায় ও শুক্রবার চ্যানেলের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাত করতে এলে  দায়িত্বশীলবৃন্দ তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করে ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবক ও সংগঠক মাওলানা নুূরূর রহমান সাহেব, মাওলানা মুফতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, হা. মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, চ্যানেলের অন্যতম উপদেষ্টা জনাব রায়হান আহমদ।
এছাড়া এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চ্যানেলের রিপোর্ট লেখক জুনাইদ আহমদ, এডিটর হালিম মাহমুদ, শুভাকাঙ্ক্ষী জনাব ইবরাহিম আহমদ,তানিম বিন সালাম, জায়েদ আহমদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এম. আখতারুজ্জামান বলেন বর্তমান যুগ আধুনিকতার যুগ। ইউটিউব হচ্ছে তার একটা গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। মানুষ টিভি চ্যানেলের মত ইউটিউবের প্রতি আকর্ষিত। আধুনিক যুগে টিভি চ্যানেলের মত ইউটিউবের মাধ্যমেও মানুষ মুহূর্তের মধ্যে খবর জানতে আগ্রহভরে থাকে। দেশে ইসলামিক চ্যানেলের সংখ্যা মুষ্টিমেয় কয়েকটিমাত্র। ইসলামিক চ্যানেল আরও বেশি হওয়ার প্রয়োজনবোধ করি। মুক্ত বাতাস ইউটিউব চ্যানেল ইসলামিক চিন্তা ধারায় ৩বছর ধরে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে যা আমার খুশি হওয়া ও ভালো লাগার। এই চ্যানেলের সঙ্গে আমি প্রথম থেকে আছি, এবং শেষতক থাকবো, ইন শা আল্লাহ। আমি মুক্ত বাতাস চ্যানেলের উত্তরাত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করছি ও চ্যানেলের সুদূরপ্রসারী কামনা করছি। আল্লাহ সবার সহায় হোক। দায়িত্বশীলরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন আল্লাহ তাঁদের উত্তম বিনিময় দান করুন কায়মনোবাক্যে চাই।

স্বপন রবি দাশ, নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)থেকে:

হবিগঞ্জ নবীগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দ জিউর আখড়া প্রঙ্গনে শ্রী শ্রী অনুকূল ঠাকুর চন্দ্রের ১৩৫ তম জন্মোৎসবের চলছিল। সবাই যখন অনুকূল ঠাকুরের পূজায় মগ্ন তখন শাখা-সিঁদুর পরে চুরি করতে সেখানে ঢুকেন ছমিরুন আক্তার(২৪) ও রেখা বেগম (৩০)সহ ৪জন নারী। তাদেরকে হাতেনাতে দুইজনকে ধরে আটক করেন ভক্তরা। দুইজন আটক করার  সাথে সাথে বাকী ০২জন পালিয়ে যায়। গত শনিবার (১১ফেব্রুয়ারী) রাতে পৌর এলাকার হবিগঞ্জ রোডের গোবিন্দ জিউর আখড়া প্রাঙ্গনে এই ঘটনাটি ঘটে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলামের জানান, আটকের পর প্রথমে সায়েদা নিজের নাম “সাথী রায়” বলে দাবি করেন। পরে স্থানীয়দের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের মুখে আসল নাম স্বীকার করতে বাধ্য হন। তার বাড়ি নাসিরনগর উপজেলার ধরমণ্ডল গ্রামে,স্বামীর নাম উসমান গনি। পরে তাকে স্থানীয়রা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাখা-সিঁদুর পরে চুরি করার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। স্থানীয়রা আরও জানায়, শনিবার ছিল সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্রী শ্রী অনুকূল চন্দ্রের ১৩৫ তম জন্মোৎসবের উপলক্ষে অনুকূল ঠাকুরের পূজা। পৌর এলাকার গোবিন্দ জিউর আখড়া প্রাঙ্গনে এ উপলক্ষে অনেক ভক্তের সমাগম হয়।রাতে ধর্মীয় সভা শেষে রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে ছমিরুন ও রেখা সহ একাধিক সংঘবদ্ধ চোর চক্রের নারী সদস্য শাখা-সিঁদুর পরে ওই মন্দিরে গিয়ে একাধিক নারীর কাছ থেকে সোনার চেইন চুরি করেন। একপর্যায়ে ধরা পড়েন ছমিরুন ও রেখা। আটক ছমিরুনের নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল গ্রামে ও রেখার বাড়ি মাধবপুর উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে।এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমেদ বলেন নারীকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে  আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্বপন রবি দাশ

নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

মোবাইল:০১৭০৩-৫৬৮৮৯৭

তারিখ:১২-০২-২০২৩ইং