পিঠা বাঙালির চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ – খুলনা সিটি মেয়র।
মোঃ শামীম হোসেন – খুলনা –
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, পিঠা বাঙালির চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ। এই পিঠা উৎসব আমরা হারাতে বসেছিলাম। এ উৎসবের মাধ্যমে পিঠার ঐতিহ্য ফিরে আসবে। পিঠা একটি শিল্প হতে পারে। আমাদের এই ঐতিহ্য যাতে হারিয়ে না যায় সেদিকে সকলের লক্ষ্য রাখতে হবে। এটি বাঙালি সংস্কৃতি ও কৃষ্টির অবিচ্ছেদ্য অংশ। মেয়র (শুক্রবার) বিকালে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে পাঁচ দিনব্যাপী বিভাগীয় জাতীয় পিঠা উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সিটি মেয়র বলেন, পাকিস্তান আমলের ৪০ বছরে আমাদের সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার জন্য আঘাত হানে। যার কারণে আমাদের ঐতিহ্য পিঠা উৎসব সামাজিকভাবে করা সম্ভব হয়নি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাড়ে তিন বছর ক্ষমতায় ছিলেন। এই সাড়ে তিন বছর বাঙালির হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতিকে নতুনভাবে বর্তমান প্রজন্মের সন্তানদের কাছে তুলে ধরার জন্য সেই সময়ের সরকার পদক্ষেপ নিয়েছিলো। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর ২১ বছর যারা ক্ষমতায় ছিলো তারা এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর দেশের সাংস্কৃতিক-ঐতিহ্য ফিরিয়ে এনেছেন। এই উৎসবের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম সঠিকভাবে ঐতিহ্য জানতে পারবে। পিঠা উৎসবের কৃষ্টিকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে মেয়র সকলের প্রতি আহবান জানান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোঃ আব্দুর রশিদ এবং জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন। বিভাগীয় জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শাহ আলম। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর কবির বক্তৃতা করেন। ধন্যবাদ জানান বিভাগীয় জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শামীমা সুলতানা শীলু। খুলনা বিভাগীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পরে মেয়র একই স্থানে চার দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধন করেন। জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে প্রায় ৫০টি স্টলে প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পিঠা তৈরি, প্রদর্শনী ও বিক্রি করা হবে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলের পিঠা। এ ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৪ টা থেকে উৎসব মঞ্চে জেলা শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে। আকর্ষণীয় এই পিঠা উৎসব সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং চলবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
পেশি শক্তি বা অর্থের বিনিময়ে নয়, মানুষের সেবা করে মন জয় করতে চাই—-বাবুল সরদার বাদল।
মোঃ মিজানুর রহমান স্টাফ রিপোর্টার খুলনা –
আসছে আগামী খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন দলের নেতা কর্মীরা মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন।নির্বাচন অনুসারে ২৮নং ওর্য়াডের সাধারণ ভোটারদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে আগামী খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বাবুল সরদার বাদলকে ২৮নং ওর্য়াডে কাউন্সিলর প্রাথী হিসাবে দেখতে চায় ২৮নং ওর্য়াডের জনগণ।
২৮নং ওর্য়াডের সর্বসাধারণ মানুষের কল্যানে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন বাবুল সরদার বাদল।২৮নং ওর্য়াডে সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত সহ দূর্নীতি,মাদক ও শোষণ নির্য়াতন মুক্ত,দরিদ্র বান্ধব একটি আদর্শ ওর্য়াড গড়তে নিজেকে সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রাথী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছেন।
বাবুল সরদার বাদল বলেন, ২৮নং ওর্য়াডের সার্বস্থরের মানুষের আগ্রহ বেড়ে গেছে আমাকে নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রাথী হিসেবে দেখার জন্য। ওর্য়াডের মানুষের ভালোবাসা ও বিশ্বাস আছে আমার প্রতি। তাই আমি সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই।
আমি আমার কর্মকান্ডে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই এলাকাবাসীর মাঝ।
এলাকাবাসী জানান, ২৮নং ওর্য়াড আওয়ামী লীগ এর সভাপতি বাবুল সরদার বাদলের তুলনা হয় না,সে এক জন সৎ আদর্শবান যোগ্য নেতা,অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। পেশি শক্তি বা অর্থের বিনিময়ে নয়,ভালোবাসা দিয়ে মানুষের পাশে থেকে আমাদের মনে জয় করেছেন।
তিনি কাউন্সিলর হলে আমাদের ২৮নং ওর্য়াড শতভাগ মাদক ও দুর্নীতি মুক্ত হবে এটা এলাকাবাসী বিশ্বাস।
বাগেরহাটের রামপালে ১০ দফা দাবিতে বিএনপি’র পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
অতনু চৌধুরী রাজু(ক্রাইম রিপোর্টার)বাগেরহাট জেলাঃ
১০ দফা দাবীতে রামপাল বিএনপি পদযাত্রা করেছে। শনিবার সকালে উপজেলা ১০ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এ পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা বিএনপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ পদযাত্রায় স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা অংশ নেন।
এ পদযাত্রার উদ্বোধন করে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি, ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগা সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, চাল, ডাল, তেল, গ্যাস-বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদসহ ১০ দফা দাবীতে এ পদযাত্রা শুরু হয়েছে। এ সময় তিনি আরো বলেন, শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচি পালনকে ঘিরে গত শুক্রবার রাতে ও শনিবার ভোরে পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে তল্লাশী, হয়রানী ও ধরপাকড় চালাচ্ছেন। তিনি পুলিশের এ হীন কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান পদযাত্রা কর্মসূচি থেকে।
এ পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করছেন ইউনিয়নের বিএনপি ও তার সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
এদিকে মোংলা উপজেলারও ৬ টি ইউনিয়নে বিএনপি নেতা-কর্মীরা এ পদযাত্রাা কর্মসূচি পালন করছেন। রামপালেও শনিবার সকালে এ পদযাত্রা কর্মসূচির উদ্বোধনা করেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলাম। সেখানকার পদযাত্রা কর্মসূচীতেও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন শেখ ফরিদুল ইসলাম”সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।