তাহিরপুরে বাঁধ পরিদর্শনে উপজেলা আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক অমল কান্তি কর।
শওকত হাসান, তাহিরপুর প্রতিনিধিঃ-
তাহিরপুরে সব চেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পাঁচনাইল্লা ফসলরক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক অমল কান্তি কর। সোমবার বিকালে উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নস্থ মাটিয়ান হাওরের এ বাঁধটির চলমান নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন তিনি।
এসময় সাথে ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগ আহবায়ক হাফিজ উদ্দিন, আওয়ামীলীগ সদস্য নবাব মিয়া, কুতুব উদ্দিন, উপজেলা শ্রমিকলীগ যুগ্ম-আহবায়ক কবিন্দ্র চন্দ, তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি সাজিদুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরাজ শাহ সহ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনেরর নেতৃবৃন্দ।
শওকত হাসান
তাহিরপুর, সুনামগঞ্জ
০১৭১৭-৯৮৬২৩২
তাহিরপুরে নেই শহীদ মিনার, স্মৃতি সৌধে ভাষা শহিদদের প্রতি জানানো হয় শ্রদ্ধা।
শওকত হাসান, তাহিরপুর প্রতিনিধিঃ-
ভাষা দিবসের ৭১ বছর পেরিয়ে গেলেও সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সদরে নেই শহীদ মিনার। ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় স্মৃতি সৌধে ভাষা শহিদদের প্রতি জানানো হয় শ্রদ্ধা। এছাড়াও এ উপজেলার ৬টি আলিয়া মাদরাসা সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনও শহীদ মিনার স্থাপিত হয়নি।
সালাম, রফিক, জব্বার, বরকতসহ নাম না জানা অসংখ্য শহীদ ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের মাতৃভাষার অধিকার। এখন শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বেই ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়। শহীদ মিনারের বেদিতে ফুল দিয়ে ভাষাসৈনিক বীরদের প্রতি সম্মান জানানো হয়। ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র স্বাধীকার আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান,৭১’র মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ এ সব কিছুর মূল ছিল ৫২’র ভাষা আন্দোলন। মূলত: ভাষা আন্দোলন থেকেই বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হতে শিখেছে। কিভাবে দাবি আদায় করতে হয় তাও ভাষা আন্দোলন থেকেই শিখেছে বাঙালি জাতি।
তাহিরপুর উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর ২১ শে ফেব্রুয়ারি এলে উপজেলা কেন্দ্রীয় স্মৃতি সৌধটিকেই আমরা শহীদ মিনার হিসাবে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। অতীতে তিনি প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে পৃথক একটি শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য বারবারই কথা বলে আসছেন।
তাহিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানাযায় , এ উপজেলায় সর্বমোট ১৩৪টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে। বাকী ১২০টি বিদ্যালয়েই কোন শহীদ মিনার নেই। এছাড়াও উপজেলার ৬টি আলিয়া মাদরাসার কোনটিতেই শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়নি বলে জানিয়েছন তাহিরপুর হিফজুল উলুম আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মহিবুর রহমান।
উপজেলা সদরে অবস্থিত তাহিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ অধ্যক্ষ ইয়াহিয়া তালুকদার বলেন, ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত তার এ প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। ভাষা দিবসে এলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে সদর বাজারস্থ কেন্দ্রীয় স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে হয়।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি হাবিবুর রহমান খেলু জানান, ভাষা শহীদের সম্মান জানাতে ও আগামী প্রজন্মের কাছে ভাষা শহীদের আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরতে শহীদ মিনার নির্মাণ করা খুবই প্রয়োজন।
তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক অমল কান্তি কর বলেন, উপজেলা সদরে একটি শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন মহোদয়ের সাথে কথা বলেছেন। তিনি শীঘ্রই এলাকাতে এসে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে স্থান নির্ধারনের বিষয়ে পরামর্শ করবেন। আশা করি শীঘ্রই একটি অত্যাধুনিক দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার স্থাপন করা হবে বলে তিনি জানান।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুপ্রভাত চাকমা বলেন, ভাষা শহীদের সম্মানে উপজেলা সদরে শহীদ মিনার স্থাপন করার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি ইতিমধ্যে অনেকের সাথে কথা বলেছি। খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
শওকত হাসান
তাহিরপুর, সুনামগঞ্জ
০১৭১৭-৯৮৬২৩২