রাজশাহীর তানোরে কৃষি প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন করা হয়েছে।
তানোর, (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩ দিনব্যাপী
কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৩ এর উদ্বোধন করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২২ ফেব্রুয়ারী বুধবার উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে কৃষি অধিদপ্তরের উদ্যোগে ৩ দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন উপলক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও পঙ্কজ চন্দ্র দেবনাথের সভাপতিত্বে উপজেলা অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান আবু বাক্কার ও সোনীয়া সরদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য মাইনুল ইসলাম স্বপন, সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদিপ সরকার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পিআইও প্রকৌশলী তারিকুল ইসলাম, তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি কামরুজ্জামান মিয়া, মুন্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগের সম্পাদক আমির হোসেন আমিন,পাঁচন্দর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন, বাধাইড় ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, চাঁন্দুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব রামিল হাসান সুইটপ্রমুখ।
শিরোনাম :
রাজশাহীর তানোরে কৃষি প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন করা হয়েছে।
- Reporter Name
- Update Time : ০৬:৪৫:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- ৭১০ Time View
তানোরে কৃষি কর্মকর্তাকে নিয়ে অসন্তোষ
তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদকে নিয়ে জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে,উঠেছে সমালোচনার ঝড়, বইছে মুখরুচোক নানা গুঞ্জন। উপজেলা কৃষি প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান আবু বাক্কার ও সোনীয়া সরদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন ও সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদিপ সরকার, আদর্শ কৃষক নুরমোহাম্মদসহ ক্ষমতাসীন দলের অনেক দাযিত্বশীল নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ না দেয়ায় জনমনে এসব ক্ষোভ-অসন্তোস ও ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সুত্রপাত হয়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে,২২ ফেব্রুয়ারী বুধবার উপজেলা সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩ দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৩ এর উদ্বোধন করা হয়। স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করেন। স্থানীয় সাংসদকে প্রধান অতিথি করা হয়, অথচ উপজেলার দুই ভাইস-চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকসহ দায়িত্বশীল নেতা এমনকি ইউপির অনেক জনপ্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এদিকে কৃষি কর্মকর্তার এমন দায়িত্বহীন কর্মকাণ্ডের খবর জানাজানি হলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীসহ জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, কৃষি কর্মকর্তা জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কখানোই আন্তরিক নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কীটনাশক ব্যবসায়ী বলেন, কৃষি প্রযুক্তি মেলা আয়োজনের জন্য সরকারিভাবে দুলাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু তার পরেও প্রতিটি কীটনাশক ব্যবসায়ীর কাছে থেকে আনুঃপাতিকহারে চাঁদা আদায় করেছেন। অথচ তারা দায়সারা আয়োজন করেছে, অতিথিদের নাস্তাও ছিল নিম্নমাণের যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, আমি জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, অথচ আমাকে আমন্ত্রন জানানো হয়নি এটা শুধু আমাকে নয়, যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন তাদের সকলকে অবজ্ঞার সামিল। এবিষয়ে ভাইস-চেয়ারম্যান সোনীয়া সরদার বলেন, কৃষি মেলা উদ্বোধনে কৃষি কর্মকর্তা তাকে আমন্ত্রণ জানাননি যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি বলেন, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, সময় স্বল্পতার কারণে তারা অনেককে আমন্ত্রণ জানাতে পারেননি,তবে আগামিতে আর এমন হবে না। তবে কীটনাশক ব্যবসায়ী বা কারো কাছে থেকে চাঁদা আদায় করা হয়নি এটা সম্পুর্ন মিথ্যা।
তানোর প্রতিনিধি –
মো: ০১৭১১-৪১৭৪৬৬
রাজশাহীর চারঘাটে শত শত জীবন্ত পাখি হত্যা করায় পিতা ও পূত্রকে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
আবুল হাশেম, রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় ফাঁদ পেতে ছয় শতাধিক জীবন্ত বাবুই পাখি ধরে হত্যা করার দায়ে দুজন শিকারিকে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বুধবার সকালে চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহরাব হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাঁদের এই সাজা দেন। একই সঙ্গে তাঁদের ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
দণ্ড পাওয়া ওই দুই শিকারি হলেন মো. আবু বক্কর সিদ্দিক (৫৫) ও তাঁর ছেলে ফিরোজ হোসেন (৩২)। তাঁদের বাড়ি নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মদনহাট গ্রামে। ফিরোজ তার বাবাকে সঙ্গে নিয়ে চারঘাটে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে এসেছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে চারঘাটের কাঁকড়ামারী বিল মেরামতপুর এলাকায় ফাঁদ পেতে ছয় শতাধিক পাখি শিকার করেন তাঁরা। সকালে পাখিগুলো জবাই করে ব্যাগে ভরেন। এ সময় ইউএনও পাখি শিকারের খবর পান।
চারঘাটের ইউএনও সোহরাব হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, পাখিশিকারি বাবা ও ছেলে আগেও চারঘাটে পাখি ধরেছেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। প্রতিটি পাখি ১০ টাকা করে হোটেলে বিক্রি করেন তাঁরা। পাখি ধরে হত্যা করায় তাঁরা বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২-এর ৬ (১) এবং ক (১) ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তাঁরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে দোষ স্বীকার করেছেন।
সোহরাব হোসেন আরও বলেন, জীব হত্যা মহাপাপ বন্য প্রাণী আইনের ২৬ ধারায় তাঁদের এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের আরও ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা সঙ্গে সঙ্গে আদায় করা হয়। সকালেই তাঁদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর পাখিগুলো স্থানীয় একটি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।
Tag :
আলোচিত