Dhaka ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সড়কবিহীন পরিত্যক্ত কালভার্টে মাদক সেবনকারীদের আড্ডা।

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:২৭:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩
  • ৩৩৮ Time View
সড়কবিহীন পরিত্যক্ত কালভার্টে মাদক সেবনকারীদের আড্ডা।
জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি –
সড়কবিহীন আবাদী জমির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি কালভার্ট। দেখাগেছে সন্ধ্যা নামলেই ওই পরিত্যক্ত কালভার্টে বখাটেদের আড্ডা। পরিত্যক্ত এই কালভার্টটি ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার রাতোর ইউনিয়নের বাবুরিয়া গোপীনাথপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা থেকে রাতোর বাজার উঠার ঠিক মাঝে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গোপীনাথপুর এলাকার কাঁচা সড়কের নতুন একটি কালভার্টের পার্শ্বে পরিত্যক্ত কালভার্ট দাঁড়িয়ে আছে । কালভার্টটির কোন সংযোগ সড়ক নেই। কালভার্টের দুই পাশে আবাদি জমি রয়েছে। তাতে একপাশে রয়েছে মরিচের গাছ অন্য পাশে ধানের চারা । আর কালভার্টটির ঠিক মাঝে ডেবে গেছে। কালভার্টের বিভিন্ন অংশের ইট পাথর খোয়া গেছে। কালভার্টটি রয়েছে বেশ ঝুকিপূর্ণ অবস্থায়। স্থানীয়দের অভিযোগ পরিত্যক্ত এই কালভার্টটিতে রাতভর চলে মাদক সেবনকারীদের আড্ডা।
স্থানীয় বাসিন্দা রাঙ্গা,সইদুল জানান, বর্তমান নতুন কালভার্টটির পুর্বে এ কালভার্টটি ব্যবহার করা হতো। প্রায় ১৫ বছর আগে হঠাৎ করেই কালভার্টের ঠিক মাঝে ডেবে যায়। এতে কৃষি কাজের বিভিন্ন গাড়ীসহ লোকজনের চলাচলে ঝুকি সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কালভার্টটিকে ঝুকিপূর্ণ মনে করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি লিখে। বছর চারেক পরে পরিত্যক্ত কালভার্টের ২০ গজ সামনে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয়ের আওতায় নতুন একটি কালভার্ট নির্মাণ হয়। পরে পরিত্যক্ত কালভার্টের রাস্তাটি নতুন কালভাটের সাথে যুক্ত করা হয়। সে থেকেই কালভার্টটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বলে দাবী করেন তারা। স্থানীয়রা এ প্রতিবেদকের কাছে দাবী রেখে বলেন, আপনারা পেপার পত্রিকায় দেন, এ কালভার্টটি খুব ঝুকিতে রয়েছে। যখন তখন ভেঙ্গে পানিতে পড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। তাছাড়া পরিত্যক্ত কালভার্টটিতে বখাটেদের প্রচুর আড্ডা। বখাটেরা আড্ডার ছলে কখন কোন ক্রাইম করে বসে ঠিক নাই। তাই এই পরিত্যক্ত কালভার্টটি স্থানান্তর করার জন্য সাংবাদিকদের মাধ্যমে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানান তারা।
এদিকে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর,উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয়ে খোজ নিয়ে জানা গেছে এ কালভার্টটি তারা নির্মাণ করেননি। মুলত এ কালভাটটি কোন দপ্তর নির্মাণ করেছিলেন বা কোন অর্থায়ানে হয়েছে তার সঠিক তথ্য পাওয়া যাযনি।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহারিয়ার আজম মুন্না বলেন, পরিত্যক্ত কালভার্টটি তার বাবা মরহুম মিজানুর রহমান উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থাকার সময় নির্মাণ করে দিয়েছিলেন বলে স্থানীয়রা তাকে জানিয়েছেন। তবে কোন দপ্তর কালভার্টের নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেছে সেটি তিনি খোজ নিয়ে জানতে পারেন নি। তবে কালভার্টটি স্থানীয়দের দাবীর পেক্ষিতে অপসারণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।
জসীমউদ্দীন ইতি
০১৭৫১-০৭৯৮২৩
ঠাকুরগাঁও
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

সড়কবিহীন পরিত্যক্ত কালভার্টে মাদক সেবনকারীদের আড্ডা।

Update Time : ০৭:২৭:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মার্চ ২০২৩
সড়কবিহীন পরিত্যক্ত কালভার্টে মাদক সেবনকারীদের আড্ডা।
জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি –
সড়কবিহীন আবাদী জমির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি কালভার্ট। দেখাগেছে সন্ধ্যা নামলেই ওই পরিত্যক্ত কালভার্টে বখাটেদের আড্ডা। পরিত্যক্ত এই কালভার্টটি ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার রাতোর ইউনিয়নের বাবুরিয়া গোপীনাথপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা থেকে রাতোর বাজার উঠার ঠিক মাঝে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গোপীনাথপুর এলাকার কাঁচা সড়কের নতুন একটি কালভার্টের পার্শ্বে পরিত্যক্ত কালভার্ট দাঁড়িয়ে আছে । কালভার্টটির কোন সংযোগ সড়ক নেই। কালভার্টের দুই পাশে আবাদি জমি রয়েছে। তাতে একপাশে রয়েছে মরিচের গাছ অন্য পাশে ধানের চারা । আর কালভার্টটির ঠিক মাঝে ডেবে গেছে। কালভার্টের বিভিন্ন অংশের ইট পাথর খোয়া গেছে। কালভার্টটি রয়েছে বেশ ঝুকিপূর্ণ অবস্থায়। স্থানীয়দের অভিযোগ পরিত্যক্ত এই কালভার্টটিতে রাতভর চলে মাদক সেবনকারীদের আড্ডা।
স্থানীয় বাসিন্দা রাঙ্গা,সইদুল জানান, বর্তমান নতুন কালভার্টটির পুর্বে এ কালভার্টটি ব্যবহার করা হতো। প্রায় ১৫ বছর আগে হঠাৎ করেই কালভার্টের ঠিক মাঝে ডেবে যায়। এতে কৃষি কাজের বিভিন্ন গাড়ীসহ লোকজনের চলাচলে ঝুকি সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কালভার্টটিকে ঝুকিপূর্ণ মনে করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি লিখে। বছর চারেক পরে পরিত্যক্ত কালভার্টের ২০ গজ সামনে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয়ের আওতায় নতুন একটি কালভার্ট নির্মাণ হয়। পরে পরিত্যক্ত কালভার্টের রাস্তাটি নতুন কালভাটের সাথে যুক্ত করা হয়। সে থেকেই কালভার্টটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বলে দাবী করেন তারা। স্থানীয়রা এ প্রতিবেদকের কাছে দাবী রেখে বলেন, আপনারা পেপার পত্রিকায় দেন, এ কালভার্টটি খুব ঝুকিতে রয়েছে। যখন তখন ভেঙ্গে পানিতে পড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। তাছাড়া পরিত্যক্ত কালভার্টটিতে বখাটেদের প্রচুর আড্ডা। বখাটেরা আড্ডার ছলে কখন কোন ক্রাইম করে বসে ঠিক নাই। তাই এই পরিত্যক্ত কালভার্টটি স্থানান্তর করার জন্য সাংবাদিকদের মাধ্যমে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানান তারা।
এদিকে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর,উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয়ে খোজ নিয়ে জানা গেছে এ কালভার্টটি তারা নির্মাণ করেননি। মুলত এ কালভাটটি কোন দপ্তর নির্মাণ করেছিলেন বা কোন অর্থায়ানে হয়েছে তার সঠিক তথ্য পাওয়া যাযনি।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহারিয়ার আজম মুন্না বলেন, পরিত্যক্ত কালভার্টটি তার বাবা মরহুম মিজানুর রহমান উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থাকার সময় নির্মাণ করে দিয়েছিলেন বলে স্থানীয়রা তাকে জানিয়েছেন। তবে কোন দপ্তর কালভার্টের নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেছে সেটি তিনি খোজ নিয়ে জানতে পারেন নি। তবে কালভার্টটি স্থানীয়দের দাবীর পেক্ষিতে অপসারণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।
জসীমউদ্দীন ইতি
০১৭৫১-০৭৯৮২৩
ঠাকুরগাঁও