Dhaka ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীর তানোরে আবাসিক সংযোগে অবৈধ সেচ বাণিজ্য ! 

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৩৬:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩
  • ৬৯৯ Time View
রাজশাহীর তানোরে আবাসিক সংযোগে অবৈধ সেচ বাণিজ্য ! 
আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোরে সরকারি খাস সম্পত্তি জবরদখল করে মটর স্থাপন ও আবাসিক সংযোগ নিয়ে সেচ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তানোরের মুন্ডুমালা পৌরসভার প্রকাশনগর মহল্লায় এই ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা জানান, পৌরসভার প্রকাশনগর মহল্লার বাসিন্দা আমজাদ আলীর পুত্র আসলাম আলী ওরফে রাসেল গ্রামবাসীর বাধা উপেক্ষা করে সরকারি খাস সম্পত্তি জবরদখল ও সেখানে তিনটি অবৈধ মটর স্থাপন করেছেন। এদিকে পল্লী বিদ্যুতের কতিপয় কর্মকর্তাকে প্রায় দেড় লাখ টাকা আর্থিক সুবিধা দিয়ে এসব মটরে আবাসিক সংযোগ নিয়ে সেচ বাণিজ্যের নামে কৃষকদের জিম্মি করে রীতিমতো চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। প্রকাশনগর মৌজায় ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত ১৫৭ নম্বর দাগে এসব অবৈধ মটর স্থাপন করা হয়েছে। স্থানীয়রা এসব অবৈধ মটরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ করেছেন। কিন্ত্ত অজ্ঞাত কারণে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা নিরব ভূমিকা পালন করছে। প্রকাশ নগর মহল্লার কৃষক রয়েল ও নিজাম অভিযোগ করে বলেন, আসলাম আলী রাসেল দীর্ঘদিন ধরে খাস জায়গায় অবৈধ মটর পাম্প স্থাপন ও রীতিমতো কৃষকদের জিম্মি করে সরকার নির্ধারিত সেচ হারের থেকে চারগুণ বেশি টাকা নিয়ে জমিতে সেচ দেন। আবার মটর পাম্পের কোন সমস্যা হলে কৃষকদের কাছে থেকে মাথা পিছু ৩শ থেকে ৫শ করে টাকা নিয়ে মটর পাম্প মেরামত করেন। কেউ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ বা বিলম্ব করলে তাকে সময়মতো সেচ দেয়া হয় না, এমনকি জমির ফসল কেটে নেয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এজন্য রাসেলের নানা অত্যাচার-নির্যাতন কৃষকদের মুখ বুজে সহ্য করতে হয়। এবিষয়ে জানতে চাইলে  আসলাম আলী রাসেল বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস  সংযোগ দিয়েছে বলেই তো মটর পাম্প থেকে সেচ দিচ্ছি, মটর পাম্প বৈধ না অবৈধ সেটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস আর আমি বুঝবো, আপনারা সাংবাদিক নিউজ করেন বেশি বেশি। আমিও দেখবো আমার মটর পাম্পের বিদ্যুৎ সংযোগ কোন বাপের ব্যাটা কাটতে আসে তার হাতও কেটে দিবো। এবিষয়ে জানতে চাইলে তানোর পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা (ডিজিএম) জহুরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ এক ছটাক জমি অনাবাদি থাকবে না, সেই জন্য এসব সেচ মটর পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হচ্ছে। এতে করে কে অনুমতি পেলো আর না পেলো সেটা আমাদের দেখার বিষয় না, যাই মটর পাম্পে সংযোগ চাইবে আমরা তাঁকে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে প্রস্তুত আছি। এতে কার কি সমস্যা হলো সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। এবিষয়ে  তানোর বিএমডিএ সহকারী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান জানান, বর্তমনে পল্লী বিদ্যুৎ যেভাবে যত্রতত্র অবৈধ মটর পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছে, তাতে বরেন্দ্রের ডিপের পানি তোলা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এভাবে পল্লী বিদ্যুৎ অবৈধ মটর পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ যদি দিতে থাকে তাহলে আগামীতে পানির লেয়ার অনেক নিচে নেমে যাবে, এতে ডিপে পানি উঠা তো দুরের কথা খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিবে, যতো দ্রুত সম্ভব এসব মটরের সংযোগ বিচ্ছিন্ন সময়ের দাবিতে পরিনত হয়েছে। তিনি বলেন, ভূগর্ভস্থ পানির কথা বিবেচনা করে যেখানে নতুন গভীর স্থাপন বন্ধ আছে, সেখানে অবৈধ মটরে বিদ্যুৎ সংযোগ হয় কি ভাবে ?

রাজশাহীর তানোরে অবৈধ পুকুর খনন, ভুমি কর্মকর্তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
তানোর, (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তনোরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সঙ্গে প্রতারণা ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভিটে মাটিতে অবৈধ পুকুর খনন ও মাটি বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। পুকুরের মাটি বানিজ্যে করতে এলাকার পাকা-কাঁচা রাস্তা নষ্ট করায় গ্রামবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) শ্রীখন্ডা গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে ভেঁকু দালাল জামাল উদ্দিন বলেন, সিষ্টেম করেই তিনি পুকুর খনন ও মাটি বাণিজ্যে করছেন। সিস্টেম বলতে কি বোঝায় এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনসহ সাংবাদিকদের ম্যানেজ করা।এদিকে গ্রামবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৫ মার্চ রোববার কামারগাঁ ইউপি ভুমি অফিসের কর্মকর্তা (তহসিলদার) কাওসার আলী পুকুরে গিয়ে ভিটে মাটি কাটতে নিষেধ ও একটি ট্রাক্টরের চাবি জব্দ করেন। কিন্ত্ত এ কথা শোনার পর ভেুকু দালাল জামাল ভুমি কর্মকর্তাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি ও হুমকি দিয়ে জোরপুর্বক ভিটে মাটি কাটা শুরু করেছে।এতে প্রশ্ন উঠেছে অবৈধ ভেঁকু দালালদের এতো ক্ষমতার উৎস্য কি ?
জানা গেছে, উপজেলার কাঁমারগা ইউপির শ্রীখন্ডা মৌজায় ১২১৭ নম্বর দাগে ৭০ শতক আয়তনের পুরাতন পুকুর খননের অনুমতি নিয়েছেন ধান ব্যবসায়ী আতাউর রহমান ও মতিউর রহমান মতি। কিন্ত্ত ভেঁকু দালাল জামাল উদ্দিন ওই পুকুরের পাশে ১২১৮ নম্বর দাগের প্রায় ৮০ শতক ভিটে মাটির বেশ কয়েকটি পরিপক্ক তাজা গাছ কেটে অবৈধভাবে সেখানে পুকুর খনন ও মাটি বিক্রি করছে।আর এসব মাটি পরিবহন করতে গিয়ে গ্রামের সমস্ত কাঁচা-পাকা রাস্তা নস্ট করা হচ্ছে। এঘটনায় ভেঁকু দালালদের শাস্তির দাবিতে গ্রামবাসি বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অতিঃ জানে আলম বলেন, এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবিষয়ে জানতে চাইলে কামারগাঁ ইউপি ভুমি অফিসের কর্মকর্তা তহসিলদার কাওসার আলী বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার বিকেলে ভেঁকু বন্ধ রাখতে বলে একটি ট্রাক্টরের চাবি জব্দ করেছি, কিন্ত্ত ভেঁকু দালাল তাকে হুমকি দিয়ে জোরপুর্বক ভেঁকু চালায়। তিনি বলেন, প্রতিবেদন তৈরীর কাজ চলছে পরিবেশ আইনে মামলা করা হবে। এবিষয়ে ভেঁকু দালাল জামাল উদ্দিন বলেন ইউএনও এবং ওসির অনুমতি নিয়ে পুকুর খনন ও মাটি বিক্রি করছি, তহসিলদার কেনো চাবি জব্দ করবে, তাকে কে চাবি জব্দ করতে বলেছে, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, রাস্তা নস্ট হলে সরকার দেখবে গ্রামবাসির কি তারা কি রাস্তা করে দিবে। এবিষয়ে পুকুর মালিক ধান ব্যবসায়ী আতাউর রহমান বলেন, তিনি ভিটেমাটি কাটার জন্য যেখানে যা লাগবে তা বকুল মেম্বারকে দিয়েছি, তাই এবিষয়ে তার কিছু বলার নাই।
তানোর প্রতিনিধি
মোঃ ০১৭১১-৪১৭৪৬৬
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

রাজশাহীর তানোরে আবাসিক সংযোগে অবৈধ সেচ বাণিজ্য ! 

Update Time : ০৭:৩৬:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩
রাজশাহীর তানোরে আবাসিক সংযোগে অবৈধ সেচ বাণিজ্য ! 
আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোরে সরকারি খাস সম্পত্তি জবরদখল করে মটর স্থাপন ও আবাসিক সংযোগ নিয়ে সেচ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তানোরের মুন্ডুমালা পৌরসভার প্রকাশনগর মহল্লায় এই ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা জানান, পৌরসভার প্রকাশনগর মহল্লার বাসিন্দা আমজাদ আলীর পুত্র আসলাম আলী ওরফে রাসেল গ্রামবাসীর বাধা উপেক্ষা করে সরকারি খাস সম্পত্তি জবরদখল ও সেখানে তিনটি অবৈধ মটর স্থাপন করেছেন। এদিকে পল্লী বিদ্যুতের কতিপয় কর্মকর্তাকে প্রায় দেড় লাখ টাকা আর্থিক সুবিধা দিয়ে এসব মটরে আবাসিক সংযোগ নিয়ে সেচ বাণিজ্যের নামে কৃষকদের জিম্মি করে রীতিমতো চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। প্রকাশনগর মৌজায় ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত ১৫৭ নম্বর দাগে এসব অবৈধ মটর স্থাপন করা হয়েছে। স্থানীয়রা এসব অবৈধ মটরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ করেছেন। কিন্ত্ত অজ্ঞাত কারণে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা নিরব ভূমিকা পালন করছে। প্রকাশ নগর মহল্লার কৃষক রয়েল ও নিজাম অভিযোগ করে বলেন, আসলাম আলী রাসেল দীর্ঘদিন ধরে খাস জায়গায় অবৈধ মটর পাম্প স্থাপন ও রীতিমতো কৃষকদের জিম্মি করে সরকার নির্ধারিত সেচ হারের থেকে চারগুণ বেশি টাকা নিয়ে জমিতে সেচ দেন। আবার মটর পাম্পের কোন সমস্যা হলে কৃষকদের কাছে থেকে মাথা পিছু ৩শ থেকে ৫শ করে টাকা নিয়ে মটর পাম্প মেরামত করেন। কেউ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ বা বিলম্ব করলে তাকে সময়মতো সেচ দেয়া হয় না, এমনকি জমির ফসল কেটে নেয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এজন্য রাসেলের নানা অত্যাচার-নির্যাতন কৃষকদের মুখ বুজে সহ্য করতে হয়। এবিষয়ে জানতে চাইলে  আসলাম আলী রাসেল বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস  সংযোগ দিয়েছে বলেই তো মটর পাম্প থেকে সেচ দিচ্ছি, মটর পাম্প বৈধ না অবৈধ সেটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস আর আমি বুঝবো, আপনারা সাংবাদিক নিউজ করেন বেশি বেশি। আমিও দেখবো আমার মটর পাম্পের বিদ্যুৎ সংযোগ কোন বাপের ব্যাটা কাটতে আসে তার হাতও কেটে দিবো। এবিষয়ে জানতে চাইলে তানোর পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা (ডিজিএম) জহুরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ এক ছটাক জমি অনাবাদি থাকবে না, সেই জন্য এসব সেচ মটর পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হচ্ছে। এতে করে কে অনুমতি পেলো আর না পেলো সেটা আমাদের দেখার বিষয় না, যাই মটর পাম্পে সংযোগ চাইবে আমরা তাঁকে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে প্রস্তুত আছি। এতে কার কি সমস্যা হলো সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। এবিষয়ে  তানোর বিএমডিএ সহকারী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান জানান, বর্তমনে পল্লী বিদ্যুৎ যেভাবে যত্রতত্র অবৈধ মটর পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছে, তাতে বরেন্দ্রের ডিপের পানি তোলা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এভাবে পল্লী বিদ্যুৎ অবৈধ মটর পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ যদি দিতে থাকে তাহলে আগামীতে পানির লেয়ার অনেক নিচে নেমে যাবে, এতে ডিপে পানি উঠা তো দুরের কথা খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিবে, যতো দ্রুত সম্ভব এসব মটরের সংযোগ বিচ্ছিন্ন সময়ের দাবিতে পরিনত হয়েছে। তিনি বলেন, ভূগর্ভস্থ পানির কথা বিবেচনা করে যেখানে নতুন গভীর স্থাপন বন্ধ আছে, সেখানে অবৈধ মটরে বিদ্যুৎ সংযোগ হয় কি ভাবে ?

রাজশাহীর তানোরে অবৈধ পুকুর খনন, ভুমি কর্মকর্তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
তানোর, (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তনোরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সঙ্গে প্রতারণা ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভিটে মাটিতে অবৈধ পুকুর খনন ও মাটি বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। পুকুরের মাটি বানিজ্যে করতে এলাকার পাকা-কাঁচা রাস্তা নষ্ট করায় গ্রামবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) শ্রীখন্ডা গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে ভেঁকু দালাল জামাল উদ্দিন বলেন, সিষ্টেম করেই তিনি পুকুর খনন ও মাটি বাণিজ্যে করছেন। সিস্টেম বলতে কি বোঝায় এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনসহ সাংবাদিকদের ম্যানেজ করা।এদিকে গ্রামবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৫ মার্চ রোববার কামারগাঁ ইউপি ভুমি অফিসের কর্মকর্তা (তহসিলদার) কাওসার আলী পুকুরে গিয়ে ভিটে মাটি কাটতে নিষেধ ও একটি ট্রাক্টরের চাবি জব্দ করেন। কিন্ত্ত এ কথা শোনার পর ভেুকু দালাল জামাল ভুমি কর্মকর্তাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি ও হুমকি দিয়ে জোরপুর্বক ভিটে মাটি কাটা শুরু করেছে।এতে প্রশ্ন উঠেছে অবৈধ ভেঁকু দালালদের এতো ক্ষমতার উৎস্য কি ?
জানা গেছে, উপজেলার কাঁমারগা ইউপির শ্রীখন্ডা মৌজায় ১২১৭ নম্বর দাগে ৭০ শতক আয়তনের পুরাতন পুকুর খননের অনুমতি নিয়েছেন ধান ব্যবসায়ী আতাউর রহমান ও মতিউর রহমান মতি। কিন্ত্ত ভেঁকু দালাল জামাল উদ্দিন ওই পুকুরের পাশে ১২১৮ নম্বর দাগের প্রায় ৮০ শতক ভিটে মাটির বেশ কয়েকটি পরিপক্ক তাজা গাছ কেটে অবৈধভাবে সেখানে পুকুর খনন ও মাটি বিক্রি করছে।আর এসব মাটি পরিবহন করতে গিয়ে গ্রামের সমস্ত কাঁচা-পাকা রাস্তা নস্ট করা হচ্ছে। এঘটনায় ভেঁকু দালালদের শাস্তির দাবিতে গ্রামবাসি বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অতিঃ জানে আলম বলেন, এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবিষয়ে জানতে চাইলে কামারগাঁ ইউপি ভুমি অফিসের কর্মকর্তা তহসিলদার কাওসার আলী বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার বিকেলে ভেঁকু বন্ধ রাখতে বলে একটি ট্রাক্টরের চাবি জব্দ করেছি, কিন্ত্ত ভেঁকু দালাল তাকে হুমকি দিয়ে জোরপুর্বক ভেঁকু চালায়। তিনি বলেন, প্রতিবেদন তৈরীর কাজ চলছে পরিবেশ আইনে মামলা করা হবে। এবিষয়ে ভেঁকু দালাল জামাল উদ্দিন বলেন ইউএনও এবং ওসির অনুমতি নিয়ে পুকুর খনন ও মাটি বিক্রি করছি, তহসিলদার কেনো চাবি জব্দ করবে, তাকে কে চাবি জব্দ করতে বলেছে, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, রাস্তা নস্ট হলে সরকার দেখবে গ্রামবাসির কি তারা কি রাস্তা করে দিবে। এবিষয়ে পুকুর মালিক ধান ব্যবসায়ী আতাউর রহমান বলেন, তিনি ভিটেমাটি কাটার জন্য যেখানে যা লাগবে তা বকুল মেম্বারকে দিয়েছি, তাই এবিষয়ে তার কিছু বলার নাই।
তানোর প্রতিনিধি
মোঃ ০১৭১১-৪১৭৪৬৬