মোঃজুয়েল মিয়া
দোয়ারাবাজার(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে দরিদ্র সুফল ভূগীদের মধ্যে বিনামূল্যে মুরগির ঘর, হাঁসের ঘর এবং মুরগী প্রদান করা হয়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সামনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫ শত সুফল ভূগী যারা আগে মুরগির ঘর পাইছেন। তাদের মধ্য থেকে ৪০০ জনকে ১৫ টি করে মোট ৬০০০ হাজার টি মুরগি ও ১০০ জানকে ২ টি করে মোট ২০০ টি ভেড়া প্রদান করেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের আয়োজনে হাওর অঞ্চলের সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৪০০ জন সুফল ভূগীদেরকে ও ১০০ জানকে ২০০ টি ভেড়া বিতরণ করা হয়। বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ মুরর্শেদ মিশু সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে এর উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান আল তানবীর আশরাফী চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম,প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা.মোঃ শাহিন মিয়া, সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ প্রমূখ।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান আল তানবীর আশরাফী চৌধুরী বলেন সমন্বিত পদ্ধতিতে প্রাণিসম্পদ উৎপাদন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে হাওরাঞ্চলীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দারিদ্র বিমোচন ত্বরান্বিতকরণ ও বেকার সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে জনগণের অথনৈতিক উন্নয়ন সাধনে গ্রহপালিত প্রাণি অনতম উপকার। হাঁস, মুরগি, ছাগল ও ভেড়া ও অত্র অঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও পরিবতনশীল জলবায়ুর সাথে সহজে অভিযোজিত হতে সকম। সুতরাং অত্র এলাকা ও তৎসংলগ্ম হাওর অঞ্চলে হাঁস, মুরগি, ছাগল ও ভেড়া পালন হতে পারে অপার সম্ভাবনাময় আয়ের উৎস্য। কিন্তু অত্র এলাকায় এখনও উন্নত প্রযুক্তিতে পশুপালন না হওয়ায় প্রাণিসম্পদের উৎপাদনশীলতা ও উৎপাদন দক্ষতা কোনটিই সন্তোষজনক নয়। রোগের প্রাদুর্ভাব, অনুন্নত প্রযুক্তি, সঠিক খামার ব্যবস্থাপনার অভাব, নিম্নমানের স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও কারিগরি সেবা, অপর্যাপ্ত কারিগরি জ্ঞান, খামারী ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতা হাওর অঞ্চলে প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ও উৎপাদনের প্রধান অন্তরায়। সার্বিক বিবেচনায় এই এলাকার প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে বিরাট একটি সুযোগ রয়েছে। যদিও সাময়িতভাবে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ক্ষুদ্র পরিসরে প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে, যা চাহিদার তুলনায় খুবই অগ্রতুল। এ অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠি-কে সম্পৃক্ত করে সমন্বিত পদ্ধতিতে প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জীবনমান উন্নয়নের জন্য প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে।