তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরে বাঁশঝাড়ে গলায় ফাঁস দিয়ে (ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠী) সাঁওতাল যুবক আত্মহত্যা করেছে। গত ২৬মে শুক্রবার উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর সদরের মাহালীপাড়া মহল্লায় এই ঘটনা ঘটেছে। নিহত যুবকের নাম মথি মার্ডী(২০)। সে মাহালীপাড়া মহল্লার বাসিন্দা সুমি মুর্মুর পুত্র। এদিকে মথি মার্ডির মৃত্যু নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে, বইছে মুখরুচোক গুঞ্জন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাঁশ ঝাড়ের বাঁশে। যে উচ্চতায় মথি মার্ডির গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখা গেছে। তাতে তার মৃত্যু নিয়ে রহস্যর সৃষ্টি হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে তাদের মনে হচ্ছে, তাকে হত্যা করে ঘটনা ধাঁমাচাপা দিতে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। কারণ ওই উচ্চতায় একটি বাঁশে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করাটা বেশ কঠিন। এছাড়াও লাশের জিহবা বের না হওয়া নিয়েও সাধারণের মাঝে কৌতুহল দেখা দিয়েছে।
পুলিশ সুত্র জানায়, গত ২৪ মে বুধবার সুমী মুর্মুকে ঢাকা থেকে ছেলের এক সহকর্মী ফোন করে তার ছেলে মথি মার্ডিকে কর্মস্থলে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান । পরে মথিকে বিভিন্ন এলাকায় খুঁজতে থাকে তার পরিবার। ঘটনার দুদিন পর গত শুক্রবার সকালে মায়ের বাড়ি মাহালীপাড়া মহল্লার একটি বাঁশ ঝাড়ে গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত অবস্থায় মথি মার্ডির মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে তারা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ওই যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। এবিষয়ে
তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (মর্গে) পাঠানো হয়েছে। এবং ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।
অন্যদিকে চলতি মাসের ৮মে পৌর এলাকার কালিগঞ্জ রায়তান বড়শো মহল্লায় দুই সন্তানের জনক পাভেল আত্মহত্যা করে, আলোচিত সে আত্মহত্যার ঘটনায় ময়না তদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়, কিন্ত্ত এই এযুবকের ময়না তদন্ত করা হচ্ছে কেনো জানতে চাইলে ওসি জানান, এটা নির্ভর করে তদন্তকারী কর্মকর্তার উপর। আর পাভেলের স্ত্রী সন্তান ময়না তদন্ত না করার জন্য অনুরোধ করেন, মুলত এজন্যই অনুমতি দিলেও অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছিল।