Dhaka ০২:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেনীর দিঘী থেকে ১০ লাখ টাকার মাছ চুরি।

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৫৩:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অক্টোবর ২০২২
  • ৩৬০ Time View
ফেনীর দিঘী থেকে ১০ লাখ টাকার মাছ চুরি।
আবুল হাসনাত রিন্টু, ফেনী প্রতিনিধি,
ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলীতে অবস্থিত এক দীঘি থেকে রাতের অন্ধকারে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীঘির ইজারাদার মৎস্যচাষি আবুল হাশেম ভূঞা এ ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
আবুল হাশেম ভূঞা জানান, গত ছয় বছর ধরে শর্শদী ইউনিয়নের ছোট মোহাম্মদ আলী দীঘি লিজ নিয়ে মৎস্য চাষ করে আসছি। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কনকাপৈত পাঠানপাড়ায় হওয়ায় লিজ নেয়া দীঘির পাড়ে দারোয়ান থাকার জন্য ও মাছের খাদ্যগুদাম করার জন্য একটি টিনশেড ঘর নির্মাণ করা হয়। সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। লিজের মেয়াদ ছয় বছর পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় চলতি বছর পুনরায় আবার তিন বছরের জন্য ইজারা নবায়ন করে মৎস্য চাষ চলমান রয়েছে। চাঁদা না দিলে দীঘি ছেড়ে চলে যেতে বিগত ১০-১৫ দিন ধরে দুর্বৃত্তরা মৎস্যচাষি আবুল হাশেমকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। দাবিকৃত চাঁদা না দিলে দীঘির পাড়ে খাদ্যগুদাম ও থাকার ঘর ভেঙে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে। ৯০৩ শতাংশ এ দীঘিতে সম্ভাবনাময় মৎস্য চাষ ব্যাহত হওয়ায় এলাকাবাসীও আতঙ্কে রয়েছেন। দীঘিতে যাওয়ার প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো পথও রাতের আঁধারে কেটে ফেলার হুমকি দেয়। রাস্তা কাটার খবর পেয়ে হাশেম বিষয়টি আর গোপন না রেখে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিলে থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তা কাটতে নিষেধ করলে তারা ঘর ভেঙে ফেলার জন্য যায়। পুলিশের বাধার মুখে ঘর ভাঙতে না পেরে দুর্বৃত্তরা চলে যায়। কিন্তু গভীর রাতে তারা দারোয়ানের হাত-পা বেঁধে রেখে দীঘির পাড়ে খাদ্যগুদাম ভেঙে ঘর থেকে চার লাখ টাকা মূল্যের পাঁচ টন খাদ্য নিয়ে যায়। ৭০ হাজার টাকা মূল্যের দু’টি মোটর নিয়ে যায়। পাঁচ হাজার টাকা মূল্যের একটি ডিজিটাল এস্কেল-মাপার যন্ত্র নিয়ে যায়। ভোরে স্থানীয়রা তাকে ফোন করলে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে দেখতে পান দারোয়ান থাকার ঘর ও খাদ্যগুদাম ভেঙে ফেলা হয়। এ ছাড়াও দীঘিতে থাকা মাছ লুট করার অভিযোগ করা হয়েছে। দুর্বৃত্তদের এমন নৈরাজ্য দেখে ভেঙে পড়েন তিনি। পরে বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। ফেনী মডেল থানার এসআই মো: রবিউল ইসলাম জানান, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কে বা কারা রাতের আঁধারে ঘর গুটিয়ে দিয়েছে। তদন্তপূর্বক প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসতে পারে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

ফেনীর দিঘী থেকে ১০ লাখ টাকার মাছ চুরি।

Update Time : ০৫:৫৩:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অক্টোবর ২০২২
ফেনীর দিঘী থেকে ১০ লাখ টাকার মাছ চুরি।
আবুল হাসনাত রিন্টু, ফেনী প্রতিনিধি,
ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলীতে অবস্থিত এক দীঘি থেকে রাতের অন্ধকারে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীঘির ইজারাদার মৎস্যচাষি আবুল হাশেম ভূঞা এ ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
আবুল হাশেম ভূঞা জানান, গত ছয় বছর ধরে শর্শদী ইউনিয়নের ছোট মোহাম্মদ আলী দীঘি লিজ নিয়ে মৎস্য চাষ করে আসছি। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কনকাপৈত পাঠানপাড়ায় হওয়ায় লিজ নেয়া দীঘির পাড়ে দারোয়ান থাকার জন্য ও মাছের খাদ্যগুদাম করার জন্য একটি টিনশেড ঘর নির্মাণ করা হয়। সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। লিজের মেয়াদ ছয় বছর পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় চলতি বছর পুনরায় আবার তিন বছরের জন্য ইজারা নবায়ন করে মৎস্য চাষ চলমান রয়েছে। চাঁদা না দিলে দীঘি ছেড়ে চলে যেতে বিগত ১০-১৫ দিন ধরে দুর্বৃত্তরা মৎস্যচাষি আবুল হাশেমকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। দাবিকৃত চাঁদা না দিলে দীঘির পাড়ে খাদ্যগুদাম ও থাকার ঘর ভেঙে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে। ৯০৩ শতাংশ এ দীঘিতে সম্ভাবনাময় মৎস্য চাষ ব্যাহত হওয়ায় এলাকাবাসীও আতঙ্কে রয়েছেন। দীঘিতে যাওয়ার প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো পথও রাতের আঁধারে কেটে ফেলার হুমকি দেয়। রাস্তা কাটার খবর পেয়ে হাশেম বিষয়টি আর গোপন না রেখে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিলে থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তা কাটতে নিষেধ করলে তারা ঘর ভেঙে ফেলার জন্য যায়। পুলিশের বাধার মুখে ঘর ভাঙতে না পেরে দুর্বৃত্তরা চলে যায়। কিন্তু গভীর রাতে তারা দারোয়ানের হাত-পা বেঁধে রেখে দীঘির পাড়ে খাদ্যগুদাম ভেঙে ঘর থেকে চার লাখ টাকা মূল্যের পাঁচ টন খাদ্য নিয়ে যায়। ৭০ হাজার টাকা মূল্যের দু’টি মোটর নিয়ে যায়। পাঁচ হাজার টাকা মূল্যের একটি ডিজিটাল এস্কেল-মাপার যন্ত্র নিয়ে যায়। ভোরে স্থানীয়রা তাকে ফোন করলে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে দেখতে পান দারোয়ান থাকার ঘর ও খাদ্যগুদাম ভেঙে ফেলা হয়। এ ছাড়াও দীঘিতে থাকা মাছ লুট করার অভিযোগ করা হয়েছে। দুর্বৃত্তদের এমন নৈরাজ্য দেখে ভেঙে পড়েন তিনি। পরে বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। ফেনী মডেল থানার এসআই মো: রবিউল ইসলাম জানান, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কে বা কারা রাতের আঁধারে ঘর গুটিয়ে দিয়েছে। তদন্তপূর্বক প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসতে পারে।