Dhaka ১২:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটের গাছখেকোরা সক্রিয়দের খুটির জোর কোথায় ?

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:৫৭:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩
  • ৮৪ Time View
বাগেরহাটে শিক্ষা বিভাগের গাফিলতির কারনে ২৫ দিন পার হলেও স্কুলের গাছ কাটার তদন্ত করা হয়নি
মেহেদী হাসান নয়ন, বাগেরহাট
বাগেরহাটের ফকিরহাটে উপজেলা কমিটির অনুমোদন ছাড়া স্কুলের গাছ কাটার ২৫ দিন পার হলেও তদন্ত করতে পারেনি ফকিরহাট উপজেলা ম্যামিক শিক্ষা অফিসার ।
শিক্ষা কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, সময়ের অভাবে তিনি এই গাছ কাটার তদন্ত করতে পারেনি, সময় সুযোগ করে তদন্ত করবে বলে জানান ঐ কর্মকর্তা।
গত ২ আগষ্ট জেলার ফকিরহাট উপজেলার কাজী আঃ হামিদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক সর্দার হাফিজুর রহমান বিদ্যালয়ের একটি বড় মেহগিনী গাছ উপজেলা কমিটির অনুমোদন ছাড়া কেটে বিক্রি করছে বলে এলাকা বাসির পক্ষে শেখ তারিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেইদিন ই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়। অজ্ঞাত কারনে এই তদন্ত প্রতিবেদন ২৫ দিন পার হলেও তদন্ত করেনি শিক্ষা কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য গত ১ আগষ্ট মঙ্গলবার সন্ধায় কয়একজন লেবার বিদ্যালয়ের লেকের পাড়ের একটি বড় মেহেগুনী গাছকেটে মিলে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী জানতে চাইলে তারা বলে প্রধান শিক্ষক আমাদের কাছে গাছটি বিক্রিকরে দিয়েছে। এবিষয় এলাকাবাসী সাংবাদিকদের জানালে ৩ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় এ প্রতিবেদক স্কুলে যায়। স্কুলে প্রধান শিক্ষককে না পেয়ে ফোনে কথাহলে তিনি জানান, উপজেলা চেয়ারম্যনের অফিস রুমে আছি আপনি এখানে আসেন গাছের বিষয় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান সব জানে।
এসময় বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সৈয়দ শাহ এলান বলেন, আমি মঙ্গবার বিকাল ৪ টা ১০ মিঃ পর্যন্ত বিদ্যালয়ে ছিলাম এর মধ্যে আমাদের বিদ্যালয়ের কোন গাছ কাটা হয়নি। আমার জানা মতে গাছ কর্তনের বিষয়ে কোন  মিটিং হয়নি। আপনাদের কাছথেকে প্রথম শুনলাম যে, আমাদের বিদ্যালয়ের একটি মেহেগুনী গাছ কাটা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সদস্য শিক্ষক প্রতিনিধি নিলয় রায় চৌধুরী বলেন, আমার উপস্থিতিতে গাছ কাটা সংক্রান্ত কোন সভা হয়নি। আমি এই প্রথম আপনাদের কাছ থেকে জানলাম যে, বিদ্যালয়ের একটি গাছ কাটা হয়েছে।
এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শহিদুর রহমান মুঠোফোনে জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাকে ২ আগষ্ট কাজী আঃ হামিদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গাছকাটার তদন্ত করতে দিয়েছে সময়ের অভাবে আমি তদন্ত করতে পারিনি। তবে সময় সুযোগ মত তদন্ত করবো। ২৫ দিনেও তদন্ত করার সময় পাননি জানতে চাইলে তিনি জানান, সরকারের অনেক কাজ আছে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেসব কাজ  করতে হয়।  আসা করি অল্পদিনের মধ্যে তদন্ত করে তদন্ত রির্পোট দিব।
ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারুফা বেগম নেলী এবিষয়ে বলেন, কাজী আঃ হামিদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গাছ কর্তনের কোন আবেদন বা বিদ্যালয় থেকে কোন রেজুলেশন আমার কাছে আসে নাই আর আমি কোন গাছ কর্তনের অনুমোতি দি নাই। তবে শেখ তারিকুল ইসলাম নামে এক ব্যাক্তি কাজী আঃ হামিদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গাছ কাটার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছি। প্রতিবেদন হাতে আসলেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

বাগেরহাটের গাছখেকোরা সক্রিয়দের খুটির জোর কোথায় ?

Update Time : ০২:৫৭:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩
বাগেরহাটে শিক্ষা বিভাগের গাফিলতির কারনে ২৫ দিন পার হলেও স্কুলের গাছ কাটার তদন্ত করা হয়নি
মেহেদী হাসান নয়ন, বাগেরহাট
বাগেরহাটের ফকিরহাটে উপজেলা কমিটির অনুমোদন ছাড়া স্কুলের গাছ কাটার ২৫ দিন পার হলেও তদন্ত করতে পারেনি ফকিরহাট উপজেলা ম্যামিক শিক্ষা অফিসার ।
শিক্ষা কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, সময়ের অভাবে তিনি এই গাছ কাটার তদন্ত করতে পারেনি, সময় সুযোগ করে তদন্ত করবে বলে জানান ঐ কর্মকর্তা।
গত ২ আগষ্ট জেলার ফকিরহাট উপজেলার কাজী আঃ হামিদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক সর্দার হাফিজুর রহমান বিদ্যালয়ের একটি বড় মেহগিনী গাছ উপজেলা কমিটির অনুমোদন ছাড়া কেটে বিক্রি করছে বলে এলাকা বাসির পক্ষে শেখ তারিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেইদিন ই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়। অজ্ঞাত কারনে এই তদন্ত প্রতিবেদন ২৫ দিন পার হলেও তদন্ত করেনি শিক্ষা কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য গত ১ আগষ্ট মঙ্গলবার সন্ধায় কয়একজন লেবার বিদ্যালয়ের লেকের পাড়ের একটি বড় মেহেগুনী গাছকেটে মিলে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী জানতে চাইলে তারা বলে প্রধান শিক্ষক আমাদের কাছে গাছটি বিক্রিকরে দিয়েছে। এবিষয় এলাকাবাসী সাংবাদিকদের জানালে ৩ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় এ প্রতিবেদক স্কুলে যায়। স্কুলে প্রধান শিক্ষককে না পেয়ে ফোনে কথাহলে তিনি জানান, উপজেলা চেয়ারম্যনের অফিস রুমে আছি আপনি এখানে আসেন গাছের বিষয় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান সব জানে।
এসময় বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সৈয়দ শাহ এলান বলেন, আমি মঙ্গবার বিকাল ৪ টা ১০ মিঃ পর্যন্ত বিদ্যালয়ে ছিলাম এর মধ্যে আমাদের বিদ্যালয়ের কোন গাছ কাটা হয়নি। আমার জানা মতে গাছ কর্তনের বিষয়ে কোন  মিটিং হয়নি। আপনাদের কাছথেকে প্রথম শুনলাম যে, আমাদের বিদ্যালয়ের একটি মেহেগুনী গাছ কাটা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সদস্য শিক্ষক প্রতিনিধি নিলয় রায় চৌধুরী বলেন, আমার উপস্থিতিতে গাছ কাটা সংক্রান্ত কোন সভা হয়নি। আমি এই প্রথম আপনাদের কাছ থেকে জানলাম যে, বিদ্যালয়ের একটি গাছ কাটা হয়েছে।
এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শহিদুর রহমান মুঠোফোনে জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাকে ২ আগষ্ট কাজী আঃ হামিদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গাছকাটার তদন্ত করতে দিয়েছে সময়ের অভাবে আমি তদন্ত করতে পারিনি। তবে সময় সুযোগ মত তদন্ত করবো। ২৫ দিনেও তদন্ত করার সময় পাননি জানতে চাইলে তিনি জানান, সরকারের অনেক কাজ আছে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেসব কাজ  করতে হয়।  আসা করি অল্পদিনের মধ্যে তদন্ত করে তদন্ত রির্পোট দিব।
ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারুফা বেগম নেলী এবিষয়ে বলেন, কাজী আঃ হামিদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গাছ কর্তনের কোন আবেদন বা বিদ্যালয় থেকে কোন রেজুলেশন আমার কাছে আসে নাই আর আমি কোন গাছ কর্তনের অনুমোতি দি নাই। তবে শেখ তারিকুল ইসলাম নামে এক ব্যাক্তি কাজী আঃ হামিদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গাছ কাটার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছি। প্রতিবেদন হাতে আসলেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।