Dhaka ০৬:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অর্ধযুগে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ৩ হাজার ২০ টি মামলা, তবুও কমছে না অপরাধ!

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:১৮:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৩
  • ৬৪ Time View

ওমর ফারুক উখিয়া-কক্সবাজার।

গত২৫ আগষ্ট ২০১৭ সাল,দেশের দক্ষিণ সীমান্ত উখিয়া টেকনাফে আশ্রয় নেয় ৭ লাখের অধিক বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বসবাস ৬বছরে পা দিয়েছে। আর এই ৬ বছরে সবমিলিয়ে রোহিঙ্গার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭লাখ থেকে ১২ লাখ। এই ৬ বছরের আদ্যোপান্ত খতিয়ে দেখা গেছে, কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন আলোচিত হত্যাকান্ড, অপহরণ, ধর্ষণ, মাদক সহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছে রোহিঙ্গারা।

আজকের তারিখ পর্যন্ত কক্সবাজার জেলা পুলিশের পরিসংখ্যান মতে, গেল অর্ধযুগ ৬বছরে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ২৩৮টি অস্ত্র মামলা, ৯৪টি ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টার মামলা, ৪৪টি অপহরণ মামলা, ২৪৩টি হত্যামামলা, ৩৭টি মানবপাচার মামলা, ৬২টি ডাকাতির মামলা, ৪২টি ফরেনার্স এক্ট মামলা, ৬৫টি বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা এবং সর্বোচ্চ ২০৫৭টি মাদক মামলা রেকর্ড হয়েছে। এছাড়া গত ৬ বছরে রোহিঙ্গাদের দ্বারা পুলিশ আক্রান্ত হয়েছে এমন ৭ মামলায় ৭৭জন রোহিঙ্গাকে আসামী করা হয়েছে।

যেখানে সর্বমোট ৩০২০টি মামলায় এই পর্যন্ত ৬৮৩৭ রোহিঙ্গাকে আসামী করা হয়।এছাড়াও শহরের বিভিন্ন ঘটনায় রোহিঙ্গা সংশ্লিষ্টতা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম।

এই ব্যাপারে কক্সবাজারের পাবলিক প্রসিকিউটর এড ফরিদুল আলম বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে এমন কোনো অপরাধ নেই যা রোহিঙ্গারা করে না।”রীতিমতো স্থানীয়দের টার্গেট কিলার হিসেবে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানান জেলার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।

প্রত্যাবাসন যতই বিলম্বিত হচ্ছে ততই বাড়ছে আঞ্চলিক নিরাপত্তার ঝুকি এমনই বলছেন বিশ্লেষকেরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

অর্ধযুগে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ৩ হাজার ২০ টি মামলা, তবুও কমছে না অপরাধ!

Update Time : ১২:১৮:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৩

ওমর ফারুক উখিয়া-কক্সবাজার।

গত২৫ আগষ্ট ২০১৭ সাল,দেশের দক্ষিণ সীমান্ত উখিয়া টেকনাফে আশ্রয় নেয় ৭ লাখের অধিক বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বসবাস ৬বছরে পা দিয়েছে। আর এই ৬ বছরে সবমিলিয়ে রোহিঙ্গার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭লাখ থেকে ১২ লাখ। এই ৬ বছরের আদ্যোপান্ত খতিয়ে দেখা গেছে, কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন আলোচিত হত্যাকান্ড, অপহরণ, ধর্ষণ, মাদক সহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছে রোহিঙ্গারা।

আজকের তারিখ পর্যন্ত কক্সবাজার জেলা পুলিশের পরিসংখ্যান মতে, গেল অর্ধযুগ ৬বছরে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ২৩৮টি অস্ত্র মামলা, ৯৪টি ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টার মামলা, ৪৪টি অপহরণ মামলা, ২৪৩টি হত্যামামলা, ৩৭টি মানবপাচার মামলা, ৬২টি ডাকাতির মামলা, ৪২টি ফরেনার্স এক্ট মামলা, ৬৫টি বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা এবং সর্বোচ্চ ২০৫৭টি মাদক মামলা রেকর্ড হয়েছে। এছাড়া গত ৬ বছরে রোহিঙ্গাদের দ্বারা পুলিশ আক্রান্ত হয়েছে এমন ৭ মামলায় ৭৭জন রোহিঙ্গাকে আসামী করা হয়েছে।

যেখানে সর্বমোট ৩০২০টি মামলায় এই পর্যন্ত ৬৮৩৭ রোহিঙ্গাকে আসামী করা হয়।এছাড়াও শহরের বিভিন্ন ঘটনায় রোহিঙ্গা সংশ্লিষ্টতা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম।

এই ব্যাপারে কক্সবাজারের পাবলিক প্রসিকিউটর এড ফরিদুল আলম বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে এমন কোনো অপরাধ নেই যা রোহিঙ্গারা করে না।”রীতিমতো স্থানীয়দের টার্গেট কিলার হিসেবে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানান জেলার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।

প্রত্যাবাসন যতই বিলম্বিত হচ্ছে ততই বাড়ছে আঞ্চলিক নিরাপত্তার ঝুকি এমনই বলছেন বিশ্লেষকেরা।