মোঃ মোহন আহমদ স্টাফ রিপোর্টার সিলেট :
গোয়াইন’ঘাট উপজেলার ৩নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন,ভারতের মেঘালয়ের পাদদেশে প্রকৃতি কন্যা জাফলং অবস্থিত। এ অঞ্চলটি সিলেট জেলার গোয়াইন’ঘাট উপজেলায় পর্যটন খ্যাত অঞ্চল। শুষ্ক মৌসুম ও শীতকালে পর্যটকদের আগমনে ও বিচরণে জাফলং অঞ্চলটি থাকে মুখরিত।
পাথর শ্রমিকরা অথৈ পানিতে ডুবিয়ে পাথর বালু আহরণ করে তারা কাতারে দাঁড়িয়ে থেকে দেখতে থাকেন এলাকায় আগত হাজার হাজার পর্যটকরা ।
অপরদিকে হাজার হাজার শ্রমিকরা সারাদিন মনের আনন্দে কাজ করে সন্ধ্যাবেলা বাসা বাড়িতে ফিরে । আজ তিনদিন যাবত জাফলংয়ের ডাউকি নদীটি জনশূন্য হয়ে পড়েছে। সনাতন পদ্ধতিতে উত্তোলিত বালি পাথর পেলোডার ব্যবহারের মাধ্যমে ট্রাক ও ডাম টাক মিনি ট্রাকে বিক্রি করে স্থানীয় এলাকার পাথর বালি ব্যবসায়ীগন ।
গত ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ ইং গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন পেলোডার ব্যবহারে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তাতে স্থানীয় এলাকার হাজার হাজার বালি পাথর শ্রমিক ও শত শত ব্যবসায়ীরা একেবারে বেকার হয়ে পড়ে । ২০১১ সালে উচ্চ আদালত নদী গর্বে যন্ত্র দানব ও বোমা মেশিন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন এবং ২০১৫ সালে এই অঞ্চলটি কে পর্যটন ঘোষণা করার পর থেকেই শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তুষ্ বিরাজ করে আসছে । কালের বিবর্তনে ডাউকি নদীর গর্ভে থাকা বালি পাথর বিগত দিনের বন্যার সময় বড় বড় বডি বলগেট দিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা অঞ্চলে নিয়ে যাওয়ার ফলে নদীটি অনেকটা গভীর হয়ে পড়ে ।
ফলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নদীর নিচে ডাম্পিং করে বালি পাথর ক্রয় করে তা পেলুডার দিয়ে উপরে নিয়ে বড় টাকে, মিনিট্রাকে বিক্রি করে এতে স্থানীয় এলাকার হাজার হাজার শ্রমিক কাজের সন্ধান পেয়েছিল গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন পেলুডার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করায় এলাকার সর্ব মহলে অসন্তুষ্ সৃষ্টি হয়েছে ।
অতি দ্রুত স্থানীয় ব্যবসায়ী গনের ব্যবসা সচল করে দিয়ে সর্ব মহলে সন্তুষ্টি ফিরিয়ে আনতে সকল ব্যবস্থা গ্রহণে দাবী উঠেছে স্থানীয় এলাকা হতে ।