Dhaka ০৫:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিটি লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলেন শিক্ষার্থী

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৪২:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪
  • ২৯৩ Time View

তহিদুল ইসলাম মণিরামপুর উপজেলা প্রতিনিধি

যশোর মণিরামপুর উপজেলার বাগডাঙ্গা পাড়িয়ালী গ্রামের আঃ জলিল এর কলেজ পড়ুয়া কন্যা মোছাঃ সাবিনা খাতুন (১৮)চিটি লিখে ঘরের আড়ার সাথে উরনা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সুত্রে জানাযায়
পরিক্ষার হলে চিরকুট (নকল)সহ সাবিনা খাতুন (২০) নিকট হতে গোপালপুর কলেজ এন্ড স্কুলের সমাজ বিঙ্গান বিভাগের শিক্ষক মোঃ ইসরাফিল হোসেন খাতা কেড়ে নেওয়ায় অভিমান করে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
মোছাঃ সাবিনা খাতুন(১৮) গলায় ফাঁস দেওয়ার আগে একটি চিটি লিখে রেখে আত্মহত্যা করে।
চিটিতে উল্লেখ করে সাবিনা , আমার কিছু মনে থাকেনা বলে আমি পরিক্ষায় অংশ নেওয়ার আগে অল্প একটু কাগজে তথ্যঅংশকরে নিয়ে যায়। পড়তে পড়তে পরিক্ষা শুরু হয়ে যাওয়াই তা ফেলে দিতে মনে ছিল না। তারপরে পরিক্ষার মধ্যে গোপালপুর কলেজের সমাজ বিজ্ঞান স্যার নোট দেখে ফেলে। আমি তার কাছে ভূল স্বিকার করলাম অনেকবার বললাম স্যার খাতা দেন। সে আমার খাতা নিয়ে দেড় ঘন্টা বসায় রাখে তাও সে খাতাটা দিল না। তাসলিমা মেডাম এবং ইসমাইল স্যার আমাকে বের করে দিল। কতো করে বললাম ওটা ফেলে দিতে আমার মনে নেই তাও তারা আমাকে সুযোগ দিল না। তাই আমি অবশেষে চোখ লজ্জায় মুখ দেখাতে না পেরে দুনিয়া থেকে বিদায় নিচ্ছি। আমার ভুল ত্রুটি থাকলে সবাই মাফ করে দিবেন।আমার কাছে ফারহানা ২৫ টাকা পাবে এবং সুবর্ণনা ৫ টাকা পাবে এটা তোমরা দিয়ে দিও।
এবিষয়ে গোপালপুর কলেজ এন্ড স্কুল এর অধ্যক্ষ মোঃ রেজাউল করিম বলেন সাবিনার মৃত্যু খুবই দুঃখ জনক। আজ ইংরেজি পরিক্ষা চলছিলো পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে সাবিনার নিকট থেকে চিরকুট(নকল) দেখতে পাই সহকারী শিক্ষক ইসরাফিল।
তখন সাবিনার খাতা নিয়ে নেই।আমি বিকালে জানতে পারি সাবিনা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
যদি আমার কলেজের শিক্ষকের কোনো অপরাধ পাওয়া যাই অবশ্য আমি সহ কলেজের কমিটি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।মণিরামপুর থানা ইনচার্জ এবিএম মেহেদী মাসুদ জানায় সাবিনা খাতুন (১৮) মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে কি কারনে তার মৃত্যু হয়েছে।তার পরিবার মামলা করলে মামলা নেওয়া হবে এবং তদন্ত মুলুক আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

চিটি লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলেন শিক্ষার্থী

Update Time : ০৯:৪২:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪

তহিদুল ইসলাম মণিরামপুর উপজেলা প্রতিনিধি

যশোর মণিরামপুর উপজেলার বাগডাঙ্গা পাড়িয়ালী গ্রামের আঃ জলিল এর কলেজ পড়ুয়া কন্যা মোছাঃ সাবিনা খাতুন (১৮)চিটি লিখে ঘরের আড়ার সাথে উরনা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সুত্রে জানাযায়
পরিক্ষার হলে চিরকুট (নকল)সহ সাবিনা খাতুন (২০) নিকট হতে গোপালপুর কলেজ এন্ড স্কুলের সমাজ বিঙ্গান বিভাগের শিক্ষক মোঃ ইসরাফিল হোসেন খাতা কেড়ে নেওয়ায় অভিমান করে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
মোছাঃ সাবিনা খাতুন(১৮) গলায় ফাঁস দেওয়ার আগে একটি চিটি লিখে রেখে আত্মহত্যা করে।
চিটিতে উল্লেখ করে সাবিনা , আমার কিছু মনে থাকেনা বলে আমি পরিক্ষায় অংশ নেওয়ার আগে অল্প একটু কাগজে তথ্যঅংশকরে নিয়ে যায়। পড়তে পড়তে পরিক্ষা শুরু হয়ে যাওয়াই তা ফেলে দিতে মনে ছিল না। তারপরে পরিক্ষার মধ্যে গোপালপুর কলেজের সমাজ বিজ্ঞান স্যার নোট দেখে ফেলে। আমি তার কাছে ভূল স্বিকার করলাম অনেকবার বললাম স্যার খাতা দেন। সে আমার খাতা নিয়ে দেড় ঘন্টা বসায় রাখে তাও সে খাতাটা দিল না। তাসলিমা মেডাম এবং ইসমাইল স্যার আমাকে বের করে দিল। কতো করে বললাম ওটা ফেলে দিতে আমার মনে নেই তাও তারা আমাকে সুযোগ দিল না। তাই আমি অবশেষে চোখ লজ্জায় মুখ দেখাতে না পেরে দুনিয়া থেকে বিদায় নিচ্ছি। আমার ভুল ত্রুটি থাকলে সবাই মাফ করে দিবেন।আমার কাছে ফারহানা ২৫ টাকা পাবে এবং সুবর্ণনা ৫ টাকা পাবে এটা তোমরা দিয়ে দিও।
এবিষয়ে গোপালপুর কলেজ এন্ড স্কুল এর অধ্যক্ষ মোঃ রেজাউল করিম বলেন সাবিনার মৃত্যু খুবই দুঃখ জনক। আজ ইংরেজি পরিক্ষা চলছিলো পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে সাবিনার নিকট থেকে চিরকুট(নকল) দেখতে পাই সহকারী শিক্ষক ইসরাফিল।
তখন সাবিনার খাতা নিয়ে নেই।আমি বিকালে জানতে পারি সাবিনা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
যদি আমার কলেজের শিক্ষকের কোনো অপরাধ পাওয়া যাই অবশ্য আমি সহ কলেজের কমিটি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।মণিরামপুর থানা ইনচার্জ এবিএম মেহেদী মাসুদ জানায় সাবিনা খাতুন (১৮) মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে কি কারনে তার মৃত্যু হয়েছে।তার পরিবার মামলা করলে মামলা নেওয়া হবে এবং তদন্ত মুলুক আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।